পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 fਸੰ فaفاذ জায়গায় জাসিলেন । অতঃপর ছেলেকেও কৰ্ম্মস্থলে কোন একটা স্কুলে ভত্তি করিয়া দেওয়া হইল। সেই স্থলে উন্দু পড়ান হই ন-কুতরাং উর্দু ছাড়িয়া অন্ত ভাষা শিক্ষা করিতে লাগিল। ইহাতে কোনটাতেই ব্যুৎপত্তি লাভ হয় না। হয়ত বা উর্দু ছাড়াইয়া বাংলা ধরান হইল, চতুর্থ মানের ছাত্ৰ অ আ ক খ আরম্ভ করিল। ইহাতে ছাত্র এবং শিক্ষক উভয়েরই অন্ধবিধা। আবার এমন অভিভাবক আছেন ধাহারা উৎসাহী ছাত্রের মাতৃভাষা শিক্ষার ও চর্চার আগ্রহকে জনজরে দেখেন না। বাংলা পড়িয়া কোন লাভ নাই, এই মনোভাব। সময় সময় এইরূপও দেখা যায় যে, ইংরেজী যে-কোন রকমের বই পড়িলেও কোন আপত্তি হয় না, কিন্তু বাংলা কোন ভাল বই পড়িতে বসিলেও আপত্তি হয়। মাতৃভাষা শিক্ষার প্রতি অভিভাবকগণের এইরূপ অবহেলার ও ষত্বহীনতার ফলে ছাত্রেরাও তৎপ্রতি উদাসীন। তার পর স্কুল-কলেজের দিক দিয়া বাংলা ভাষা শিক্ষার জুবিধা ও অন্ধবিধাগুলির কথা। কলেজে বাংলা পড়াইবার কোন ব্যবস্থা নাই। সমগ্র ত্রহ্মের স্কুলগুলির সংখ্যার অনুপাতে ভারতীয় কর্তৃক পরিচালিত স্কুলের সংখ্যা অতি অল্প। বাঙালী কর্তৃক পরিচালিত স্কুল মাত্র একটি— রেজুনের বেঙ্গল একাডেমী। কেবল এই স্কুলেই নিয়মিত বাংলা পড়ান হয়। বাকী ভারতীয় অধিকাংশ স্কুলগুলিতেই বাংলা পড়াইবার ব্যবস্থা নাই। গভমেণ্ট পরিচালিত স্কুলসমূহে ত মোটেই নাই। পরম্ভ বম্বী লইয়া হাইস্কুল ফাইদ্যাল পাস না করিলে এখানকার কলেজে ভর্তি হওয়া কঠিন। বেঙ্গল একাডেমীর ছাত্রগণকে বাদ দিলে ত্রন্ধের প্রায় সব বাঙালী ছাত্রই কেবল বৰ্ম্মী লইয়া পাস করেন। অতি অল্পসংখ্যক ছাত্র উর্দু হিন্দী কিংবা বাংলা লইয়া পাস করেন। অবশু অতিরিক্ত বিষয় হিসাবে বাংলা অনায়াসেই পড়া বায় এবং উহাতে পরীক্ষাও দেওয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ ছাত্রই তাহার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেন না। যে-দেশে থাকিতে হইবে সেই দেশের ভাষায় অভিজ্ঞ হওয়া আবগুৰু বটে, কিন্তু তজ্জন্য মাতৃভাষাকে জুলিলে চলিবে কেন ? - মাতৃভাষার প্রতি এইরূপ অবহেলার ফলে বর্তমানে কলেজের ছাত্রদের মধ্যে কেহ কেহ সামাঙ্গ বাংলা জানেন, কেহবা একেবারেই জানেন না । ভাল বাংলা-জানা ছাত্রের সংখ্যা অতি অল্প। অন্তান্ত বিষয়ে কৃতী হইলেও তাহারা মাতৃভাষায় সম্পূর্ণ অজ্ঞ। স্কুলের কথা পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি। বেঙ্গল একাডেমী ভিন্ন অঙ্গ কোন স্কুলে ভাল করিয়া বাংলা পড়ান হয় না। দুইএকটি স্কুলে পড়াইবার ব্যবস্থা থাকিলেও বাংলা পড়িবার প্রতি ছাত্রদের আগ্রহ খুব কমই দেখা যায়। ফলে ব্রহ্মের শতকরা ৭৫ জন বাঙালী ছাত্রই বাংলায় অনভিজ্ঞ । এমন অনেক ছাত্র আছেন বাহারা বাংলায় কথা বলিতে জানেন কিন্তু অক্ষর চিনেন না। কেহ কেহ নাম দস্তখত করিতে ও ধীরে ধীরে থামিয়া থামিয়া পড়িতে পারেন। কেহ সামান্ত লিখিতে ও পড়িতে জানেন, কেহবা চলনসই বাংলা জানেন। শুদ্ধ করিয়া মোটামুটি লিখিতে পড়িতে পারেন, এমন ছাত্রের সংখ্যা খুব কম। বাংলা ভাষার সহিত ঘনিষ্ঠ পরিচয় না থাকাতে বাংলা দেশের ভাবধারার সহিতও ঘনিষ্ঠ পরিচয় নাই। মাতৃভাষায় সম্বন্ধে অমূলক ধারণা পোষণের মূলেও এই অনভিজ্ঞতা। যদি বাংলা দেশে কোন আত্মীয়ের কাছে চিঠি লিখিতে হয় তবে ইংরেজীতে লিখিতে হইবে। সেই আত্মীয়ের ইংরেজী জানা না থাকিলে হয়ত আবার এক জন অম্বুবাদকের সন্ধান করিতে হইবে। মাতৃভাষার প্রতি এইরূপ অবজ্ঞা এবং তাহার ফলে অজ্ঞতা দেশে ও জাতির পক্ষে কখনও মঙ্গলকর নহে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ হইতে এমন কোন প্রতিকূল ব্যবস্থা নাই যাহা বাংলা শিক্ষার চর্চার ব্যাঘাত ও অন্ধবিধা জন্মাইতে পারে, একথা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। অধিকন্তু নূতন নিয়ম হইয়াছে ষে ১৯৩৮ সালের পর হইতে যাহারা বাংলা লইয়া পাস করিতে চান তাহাদিগকে বাংলা এবং ষষ্ঠমানের উপযোগী বৰ্ম্মীতে পরীক্ষা দিতে হইবে। ব্ৰহ্মদেশে থাকিতে হইলে বৰ্ম্মী জানা আবগুক এবং উহা অাবশুিক করা ভালই হইয়াছে। কিন্তু ব্ৰহ্মভাষা শিক্ষা যেমন প্রয়োজনীয় মাতৃভাষা শিক্ষাও সেইরূপ সমভাবে প্রয়োজনীয়। স্বতরাং বাংলা শিক্ষার স্বষৌগ ও সুবিধা কোনক্রমেই হারান উচিত নহে। ধাহারা পূৰ্ব্বে বিদ্যালয়াদিতে বাংলা শিক্ষা করিবার স্থযোগ नॉन नांदे, ऍांशंरबब्र श्रृंरश् चङजस्रांप्य लिंक ७ व्é कब्र উচিত। অন্তত বাহাতে শুদ্ধ করিয়া লিখিতে পড়িতে ও