পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌৰ -- অলখ-বেণরণ \9N9 সুধার সঙ্গে কথা বলিতে গেলেই সে যেন স্বধাকে নিতান্ত ছেলেমানুষ মনে করে । - হৈমন্ত্ৰী হাসিয়া বলিল, “দু-চার মিনিট দেরী হলেই কি আমি থিদেয় ককিয়ে মরে যাব ? আমাকে তোমার মতন অমন কচি মেয়ে পাওনি !” বলিয়া সে স্বধার দুইটি গাল সজোরে টপিয়া দিল। স্বধা অগত্যা হার মানিয়া হৈমন্তীর সঙ্গেই ঘাইতে রাজি হইল। বই গুছাইতে ক্লাসে যাইতেই মনীষা বলিল, “এত তাড়াহুড়ো কিসের ? যাবে ত সেই ৫টায় সেকেণ্ড বাসে । চল না মাঠে একটু ঘুরে আসি ।” ১ স্বধা বলিল, “আমি যে হৈমন্তীর গাড়ীতে যাচ্ছি।” মনীষ বলিল, “চালাক মেয়ে বাবা ! বড়মানুষের মেয়ে দেখেই অমনি পিছনে ছুটতে মুরু করে দিয়েছ ? তবু যদি এক ক্লাসে পড়ত ।” অপমানে স্বধার কান দুইট লাল হইয়া উঠিল। তবু হৈমন্তীকে প্রত্যাখ্যান করিতে অথবা তাহার বন্ধুত্ব লইয় হাটের ভিতর অসভোর মত ঝগড়া করিতে স্বধার মানসিক আভিজাত্য অস্বীকার করিল। সে নীরবেই চলিয়া যায় দেখিয়া স্নেহলতাও বলিল, “আমাদের ভাই একেবারে ভুলে যেও না, হাজার হোক আমরা ত পুরনো বন্ধু।” স্বধী তাড়াতাড়ি বই লষ্টয়া পলাইল। গাড়ীর ভিতর স্বধা ও হৈমন্তী পরম্পরের গা ঘেসিয়া হাত ধরাধরি করিয়া বসিল । তাঁহাদের হাতের স্পর্শের ভিতর দিয়াই যেন মনের সমস্ত প্রীতি উচ্ছ্বসিয়া উঠিতেছিল, যেন শবহীন কি একটা বাণী-বিনিময় অঙ্গুক্ষণ চলিতেছিল, কথা বলিবার বিশেষ প্রয়োজন নাই। একটি দিনের মাত্র পরিচয়, তবু মধা ও হৈমন্তী দুইজনেই এই স্পর্শের ভিতর দিয়া বুঝিতেছিল যে কথা বলিয়া পরস্পরের পূর্ণ পরিচয় সংগ্ৰহ করিবার যে বৃথা চেষ্টামান্বষ করে, কোন একটা দৈব আশীৰ্ব্বাদে তাহারা তাহার উৰ্দ্ধে উঠিয়া গিয়াছে। কথার আবরণ অতিক্রম করিয়া তাঁহাদের হৃদয় পরস্পরকে চিনিয়া লইয়াছে। মৃধা বাড়ীর পথ দেখাইয়া দিল । হৈমন্তী ভূাইভারকে বলিল, “গাড়ীটা একটু আস্তে চালিও, নয়ত কখন ভুলে বাড়ী ছাড়িয়ে চলে যাব।” - পথে যেখানে ঘরবাড়ীর ভিড় একটু কমিয়াছে সেইখানে جس-اس-3۹} পরিচিত গলিটুকুর কাছে আসিতেই মৃধা বলিল, “এই যে এই গলিতে আমাদের বাড়ী।” o এতবড় একখানা গাড়ী হইতে এই সরু গলির মধ্যে নামিতে স্বধার মনে কোন সঙ্কোচই আসিল না, কারণ অর্থের আড়ম্বরের কাছে মাথা নীচু করার শিক্ষা জীবনে তাহার হয় নাই। কিন্তু তবু তাহীর মনে হইয়াছিল হৈমন্ত্রী নিশ্চয়ই এই রকম ঘরবাড়ী দেখিতে অভ্যন্ত নয়, হয়ত স্বধার এই রকম জায়গায় বাড়ী দেখিয়া হৈমষ্টী বিস্থিত হইতে পারে। কিন্তু হৈমষ্ঠীর আনন্দিত মুখে বিশ্বয়ের কোন চিহ্ন দেখা গেল না। স্বধাকে নামিবার চেষ্টা করিতে দেখিয়াই সে বলিল, “ড্রাইভার, গাড়ীটা একটু খানি রাখ, আমি একবারটি বাড়ীটা দেখে আসি।” স্বধার বাড়ীর এত নিকট হইতে বাড়ী ন দেখিয়া সে কি করিয়া ফিরিয়া যাইবে । ড্রাইভার মনিব-কন্যার কথার উপর কথা বলিতে সাহস করে না, তবু একেবারে নূতন বাড়ীতে গলির মধ্যে হৈমষ্ঠীকে নামিতে দেখিয়া একটু আমতা আমতা করিয়া বলিল, “বছং দেরী হো যায়েগা বাবা, সাহব গুস্সা করেঙ্গে।” হৈমন্তী “আমি এখখুনি আসব” বলিয়া প্রায় স্বধার সঙ্গে সঙ্গেই লাফাইয়া পড়িল। অগত্যা বেচারী ড্রাইভার নীরবে পথের ধারের কৃষ্ণচূড়া গাছের তলায় গাড়ীটা দঁাড় করাইয়া সিটের উপর পা দুষ্টট উদ্ধমুখী করিয়া একটু ঘুমাইয়া লওয়া যায় কিনা তাহারই চেষ্টা দেখিতে লাগিল । স্বধাদের গলি হইতে খাড়া মইয়ের মত সিঁড়িটি অতিক্রম করিয়া তাহার দেখিল বি ননীর মা পিছনের কাঠের সিড়ি বাহিয়া একবোঝা বাসন লইয়া আসিতেছে। দিদিমণির সঙ্গে এমন মেম সাহেবের মত ফিটফাট মেয়েটকে দেখিয়া ভাল করিয়া পৰ্য্যবেক্ষণ করিবার উৎসাহে কখন তাহার হাতের বাধন আলগা হইয়া একখানা থালা ঝন ঝন করিয়া পড়িয়া ভাঙিল সে লক্ষ্যই করে নাই। বাসন ভাঙার শৰো চমকিয়া স্থধার মা উপর হইতে ডাকিয় বলিলেন, “শেয করলে না কি গা সব ক’খানা বাসন ?” “মোটে একখানা ভেঙেছে” বলিতে বলিতে জুধ ছুইফুট চওড়া খাড়া অককার সিড়ি দিয়া হৈমন্তীকে লইয়া তিনতলায় উঠতে লাগিল। শিৰু সবেমাত্র ইস্থল হইতে ৰিরির রায়