পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৩ প্রবাসী NNපAL ও বিড়ি-সিগারেটের প্রাচুর্য্য দেখিয় দান্ত সন্দেহ করিত স্ত্রীকে—-সে-ই বোধ হয় নিভাঙ্গকে গোপনে পয়সাকড়ি দিয়া থাকে । কিন্তু আঞ্জ পুরা একটা টাকা এমন তাচ্ছিল্যভরে ফেলিয় দেওয়ায় দাহর চিও সনিপ্ত হইয় উঠিল, শেষ পয্যন্ত চিস্ত করিঙে কুরিতে সে স্কিত •৷ হইয়া পারিল | || স্ট্রা বলিল—মুড়ি দিয়েছি পাণ্ড । পেয়ে একটুকুল গড়াও, বিছানা করে দিয়েছি। ধাস আমি মাষ্টারবাবুর বাড়াতে দিয়ে আসছি । দাঁতু স্ত্রীকে প্রশ্ন পরিল- আচ্ছা, নেতা টাকা কোথ৷ পেলে বল দেখি ? স্ত্রী বলিল-ভাল। মাতুয তুমি বাপু ! গুচ্ছ নিয়ে তুমি ভাবতে বসলে ? বেটা&েণে– কোথাও হয়ত পেয়েছে ! দীচু কিন্তু নিশ্চিস্থ হহতে পারিল না । অপরাধুে আহারের সময় পিতাপুত্রে আবার সাক্ষাং হইল । তখন দৗল্পর মদের নেশ কাটিয়াছে, কিন্তু নিতাইয়ের চোথ ভগনণ্ড লাল । দাগু নিতাঙয়ের আপাদমস্তক বেশ করিয়া দেখিয়া লইল । দাহুর চোপ জুড়াহয় গেল। ভর-জোয়ান হইয়াড়ে নিতহে ! স্বন্দর স্বগঠিত সবল দেহখানি কে ধেন কালে পাথর কুদিয়া তৈয়ারী করিয়াছে ! সৰ্ব্বাঙ্গ ব্যাপিয়া একট। অস্থির চঞ্চলত খেলা করিতেছে, মনে হয় হচ্ছা করিলে নিতাই আকাশে উড়িয়া যাহতে পারে। দামু পরিতুষ্ট চিত্তে মেহাত্র কণ্ঠস্বরে বলিল—এহবার ত জোয়ান হয়েছিস নেতাই, এহবার একট। কাজে-কৰ্ম্মে লেগে যা । ডাকঘরের কাজেই লেগে পড় । নতুন ডাকঘর হচ্ছে আবার রামলগরে—এই ফাকে লেগে যা । নিতাই বাপের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল—ঢের লোক আছে তোর কাজ করবার । উ-কাজ আমি লারব। বাবা সার পথ ধুকুর-ধুকুর করে ছোট—উ কি মানুষে পারে ? নিতাইয়ের মা বলিল— কেনে, তোর বাবা পারে--অার তুই পারবি না কেনে ? তোর বাবা কি মানুষ লয় না কি ? নিতাই বাপের মুখের দিকে চাহিল—উ একটা আস্ত ভূত। লইলে হ্যাম—! দামু আশ্চৰ্য্য হইয় প্রশ্ন করিল—লইলে কি ? —যাও—যাও ব’কে না বেশী তুমি । বুদ্ধি থাকলে এতদিন বড়নেক হয়ে যেতে তুমি কোন দিন ! ——তার মানে ? —মানে আবার কি ? বললাম, তুমি ভেবে দেখো কেনে ! বলিয়া নিতাহ হাত মুখ ধুইয়া শিস দিতে দিতে চলিয়৷ গেল। দান্ত নিৰ্ব্বাক স্তম্ভিত হইয়। তাহার গমন-পথের দিকে চাহিয়া রহিল । স্ত্রা বলিল -হতভাগা উ কি বললে বল দেপি ? দীগু সে-কণার কোন উত্তর দিল ন!—তাহার আর সময় ছিল না, সে বল্লম-পেটি মাথালী ও লগুন লইয়া বাহির হইয় গেল । ডাক যাইবার সময় হইয়াছে । 肇 肇 鬍 ঝুন-মুন-ইনস্ট্রন ! ৬াক-ইরকরা মৃদুতালে ছুটিতে ছুটিতে চলিয়াছে । এই গতি তাহাকে বরাবর সমান ভাবে বজায় রাখিয়া চলিতে হইবে । পথে এক দণ্ড বিশ্রাম করিবার উপায় নাহ, গতি শিথিল করিবার উপায় নাই, সামান্য বিলম্ব ঘটিলে কি হইবে দান্ত কল্পনা করিতে পারে না, কিন্তু তাহার ভয় হয় । তাহার উপর পথে কোথায় ওভারসিয়ার হয়ত লুকাইয়া আছে, কোন জঙ্গলের মধ্যে কিংবা কোন গাছের ডালে বসিয়া ডাকহরকরার গতিবিধি লক্ষ্য করিতেছে। সামান্য একটু শৈখিল্য দেখিলেই সে রিপোর্ট করিস্থ বসিবে, সঙ্গে সঙ্গে উপর হইতে জরিমাণার হুকুম আসিয়া পড়িবে। দাঙ্ক একবার মাত্র জরিমানা দিয়াছে। গতি-শৈথিল্যের জন্তও নয়, পথে সে বিশ্রামও করে নাই, তবুও তাহাকে জরিমান দিতে হহয়াছে। তখন সে নূতন কাজে ভর্তি হহয়াছে, বয়সও তাহার তখন অল্প । ওভারসিয়ারকে সে ঠকাইয়াছিল । সেদিন যে পথে ওভারসিয়ার লুকাহয়৷ থাকিবে এ-সংবাদ হরিপুরের পিয়ন তাহাকে পূর্বেই জানাইয় দিয়াছিল—দীমু আজ সাবধান, পথে জাজ থাকবে । কে থাকিবে সে-কথা দীচু পিয়নের ভ্র-নৃত্য দেখিয়াই বুঝিয়া লইয়াছিল। পথে সে সতর্কদূষ্টি রাখিয়াই সেদিন আসিতেছিল । সেদিন চাদিনী রাত্রি—পৃথিবী যেন দুধে স্বান করিয়া উঠিয়াছে।