পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HOSO so SN93-9 একটি সংস্করণ বাছির হুইয়াছে তাহার নাম কণ্টাফ্লেজ । ছবির সাইজ ১৫× ১ ইঞ্চি। ক্যামেরার মূল্য ৮৪৮২ টাকা হইতে ১১৪৮ টাকা পৰ্য্যস্ত। ক্যামেরায় যে-সব স্ববিধা আছে তাহার তুলনায় মূল্য বেশী নহে। ক্যামেরা ছোট বলিয়াই এই মূল্যে বহু প্রকার সুবিধাজনক ব্যবস্থা ইহাতে করা সম্ভব হইয়াছে। সাইজ বড় হইলে মূল্য দশ-বারো হাজার টাকারও বেশী হইত। কোডাক ৩৫ লেন্স-যুক্ত একটি মিনিয়েচার ক্যামেরা বাহির করিয়াছেন। ক্যামেরাটির নাম রেটিনা, দাম ১০৫২ টাকা। ইহা ছাড়া, কোডাকের আরও দুইটি নূতন ক্যামের আছে । একটির নাম সিক্স-২০ ডুয়ে, অপরটির নাম ভোলেগু নং ৪৮। ছবির সাইজ যথাক্রমে ২৪ x ১৪ ও ১৪ x ১৪ ইঞ্চি, মূল্য যথাক্রমে ১১২২ টাকা ও ১৫৫২ টাকা। কণ্ট্যাক্স ক্যামেরার মূল্য ৪১৩ টাকা হইতে ১০৪৩২ টাকা। স্থবিধার তারতম্য অনুসারে মূল্যের তারতম্য। এই মূল্য প্রায়ই কিছু-লা-কিছু পরিবর্তন হইয়া থাকে। মিনিয়েচার ক্যামেরায় সন্তায় যে-সকল স্ববিধা পাওয়া যায় বড় ক্যামেরায় তাহ পাইতে গেলে তাহা আর কাহারও কিনিবার সাধ্য থাকিত না । ইহা ছাড়া, বড় ক্যামেরা এত বড় হইয়া উঠিত ষে তাহ ব্যবহার করাও । দুঃসাধ্য হইত। সেই জন্তই মিনিয়েচার ক্যামেরা এত জনপ্রিয় হইয়া উঠিয়াছে। ইহাতে যে-সকল সুবিধাজনক ব্যবস্থা করা হইয়াছে সে-সকল ব্যবস্থাও অল্পদিনের আবিষ্কার। একটি স্ববিধ—দ্রুত ফোকাস ঠিক করিয়া ছবি তোলা যায়। ইতিপূর্বে রিফ্লেক্স ক্যামেরা ছাড়া অন্ত কোন হাও-ক্যামেরায় এ স্থবিধা ছিল না। তখন দূরত্ব আন্দাজ করিয়া লইতে হইত, কিংবা পৃথক দূরত্বপরিমাপক যন্ত্রের সাহায্য লইতে হইত। কিন্তু লাইকা এবং কণ্ট্যাক্স ক্যামেরার সঙ্গে দূরত্বপরিমাপক যন্ত্র এরূপভাবে বসান আছে যে ভিউফাইণ্ডারে তাকাইলে একই সঙ্গে, কতটা স্থান ছবিতে উঠতেছে এবং সে স্থান কত দূরে অাছে তাহ মুহূৰ্ত্তে স্থির করা যায়। বড় অ্যাপারচারযুক্ত লেন্সে দূরত্বের সঠিক মাপ অত্যাবস্তক। মাপ ঠিক ন হইলে ছবি তোলা ব্যর্থ হইয়া যায়। . সস্তাদামের ফিক্সট-ফোকাস ক্যামেরায় অবশু ইহা গ্রয়োজন হয় না। কন্টাফ্লেক্স রিফ্লেক্স-ক্যামেরা, স্বতরাং দূরত্বপরিমাপক যন্ত্র ইহাতে প্রয়োজন নাই, কিন্তু ইহাতে অন্ত আর একটি স্ববিধা যোগ করা হইয়াছে। g লাইক, কণ্ট্যাক্স বা কন্টাফ্লেক্স ক্যামেরায় সিনেমা-ফিল্ম ব্যবহার করিতে হয়। এই সব ক্যামেরায় ব্যবহারের জন্ত পৃথক দৈর্ঘ্যের ফিল্ম পাওয়া যায়, তাহাতে ৩৬ খান ছবি হয়। ৩৬ খানা ছবি শেষ হইলে তবে তাহ বাহির করা যায়। কিন্তু কণ্টাফ্লেক্স ক্যামেরায় অ্যাডাপটার লাগাইয়া একখানি করিয়া ছবি তুলিবার ব্যবস্থাও আছে। ইহা ছাড়া এই ক্যামেরার সঙ্গে ফোটো ইলেকটিক এক্সপোজার-মিটার লাগানো আছে। ইহাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট এক্সপোজার মিটার। ছবিতে কতটা উঠতেছে, তাহা কত দূরে আছে, এবং তাহার জন্ত কত এক্সপোজার দিতে হুইবে এই তিনটিই একসঙ্গে } নিতুলভাবে জানিতে পারা যায়। - মিনিয়েচার ক্যামের প্রচলিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত দামের বক্স-ক্যামেরাতেও ছোট ছবি লইবার ব্যবস্থা হইয়াছে। বাজারে অনেক প্রকার সন্ত মিনিম্নেচার ক্যামের বাহির হইয়াছে। তন্মধ্যে নটন ( মূল্য ২• ) ও সিদা ( মূল্য ৫২) প্রভৃতি কিছু কিছু চলিতেছে। বন্ধটেম্বর ক্যামেরায় ১৪ × ১৪ ইঞ্চি ছবি তুলিবার ব্যবস্থা করা হইয়াছে। " ছোট একক-লেন্স রিফ্লেক্স ক্যামেরার মধ্যে একৃজাক্টা ক্যামেরা সৰ্ব্বাঙ্গম্বন্দর। ইহার ছবি ভেক্ট-পকেট সাইজের । ইহা ছাড়া, ২৪ x ২ ইঞ্চি ছবি তুলিবার জন্ত দুইটি লেন্সযুক্ত - রিফ্লেক্স ক্যামের বাজারে অনেকগুলি অাছে। তন্মধ্যে রোলাইফ্লেক্স, রোলাইকর্ড, ইকোফ্লেক্স প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য । এই প্রবন্ধের সঙ্গে যতগুলি ছবি দেওয়া গেল তাহার সবগুলিই ইকোয়েন্স ক্যামেরায় (মূল্য ১৩৩২) তোলা। মূল ছবি প্রত্যেকটিই সমচতুভূজ—২৪ x ২ ইঞ্চি। আবণ্ডক মত অংশ লইয়া এনলার্জ করা হইয়াছে। ইকোন্মে নুতন মডেলে যে-সকল সুবিধা আছে কম দামের রিফ্লেক্স ক্যামেরার মধ্যে তাহাতেই চিড়িয়াখানার ছবি তোলা আমার কাছে খুব সহজ মনে হইয়াছে। রিফ্লেজের কিছু স্থবিধাযুক্ত, অথচ । রিফ্লেক্স নয় এমন একটি ক্যামেরা এদেশে খুব জনপ্রিয় হইয়াছে। ক্যামেরাটির নাম ত্ৰিলিয়ান্ট । দাম ২৭২ টাকা इहेरङ । -