পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কণৰ্ত্তিক স্বনীপুরের বুড়ী-বটতলার অল্প দূরে আসিয়া দীন্সর মনে হুইল গাছের একটা ডাল যেন অল্প অল্প দুলিতেছে । তরুণ দীন্সর তরল চিত্তে দুষ্টবুদ্ধি জাগিয়া উঠিল, সে পাকা রাস্ত ছাড়িয়া মাঠের পথে নামিয়া পড়িল । গাছটাকে পাশে থানিকটা দূরে ফেলিয়া স্থানটা সন্তপণে অতিক্রম করিয়া চলিয়া গেল। বল্লমের ঘণ্টাটা সে হাতের মুঠোর মধ্যে চাপিয়া ধরিয়াছিল, ঘণ্টারও কোন শব্দ হইল না । তার পর ও-পাশে আবার পাকা রাস্তায় উঠিয়া ষ্টেশনে ছুটিল। সেদিন খুব একচেটি হাসিয়৷ সে আপন মনেই বলিয়াছিল—থাক বাবাধন পথের পানে তাকিয়ে গাছের ওপর বসে ! ওভারসিয়ার এদিকে গাছের উপর বসিয়া ঘন ঘন ঘড়ি দেখিতেছিল। নির্দিষ্ট সময় পার হইয় গেল তবু মেল-রাণার আসিল না দেপিয়া সে চিন্তিত হইয়া পড়িল । অবশেষে সে নিজেই ছুটিতে ছুটিতে হরিপুর পোষ্টাপিসে আসিয়া হাজির হইল । সেগানে আসিয়! তাহার চিস্তার পরিমাণ দ্বিগুণিত হইয়া উঠিল, কোথায় গেল মেল-রাণার ! সে আবার আমদপুর ষ্টেশন রওনা হইল। দীক্ত তথন সেখানকার ডাক লষ্টয়া নিৰ্দ্দিষ্ট সময়েই হরিপুরে ফিরিয়া আসিতেছে । ওভারসিয়ার রিপোর্ট করিয়া বসিল । মিথ্যা বলিলে দীহুর জরিমান হইত না, বরং ওভারসিয়ারেরই লাঞ্চনা হঠত, কিন্তু দী মিথ্যা বলিতে পারে নাই । পিয়ন তাহাকে বারবার বলিয়া দিয়াছিল—তুঠ বলবি, আমি ঠিক গিয়েছি হুজুর, ইষ্টিশানের টাইম দেখুন—আবার ঠিক সময়ে ফিরেছি— এখানকার টাইম দেখুন। ওভারসিয়ার বাবু চয়ত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন । দীমু চিস্তিত মুখে উত্তর দিয়াছিল—তা আজ্ঞে কি ক’রে বলব আমি ? স্বন্দীপুরের বটতলার নিকট আসিয়া দীন্সর প্রায়ষ্ট কথাটা মনে পড়ে। সে অল্প একটু হাসে। আরও কতবার এইখানে ওভারসিয়ারের সহিত তাহার দেখা হইয়াছে । জঙ্গলের মধ্য হইতে এখনও কোন কোন দিন কণ্ঠস্বর শোনা যায়—ডাক-হরকরা ? দীয় উত্তরে প্রশ্ন করে—‘টায়েন ঠিক আছে বাৰু ? জঙ্গলের ভিতর হইতেই উত্তর আসে অথবা হাসিতে হাসিতে ওভারসিয়ার রাস্তার উপর আসিয়া বলে—ঠিক उछांक-छ्ज्ञ-कन्न هج আছে রে । তোর কিন্তু এক দিনও দেরি হ'ল না प्रेौशृ ।। " ডাক-ইরকর। কিন্তু দাড়ায় মা, ওভারসিয়ারের এ ছলঢুকুও সে জানে । সে তাহাকে অতিক্রম করিয়া চলিয়াই যায়, তাহার বর্শার ফলায় বাধা ঘণ্ট। ঝন ঝন শবে বাজিতেষ্ট থাকে । ঝুন-পুন-পাণ-ঝুণ । আজও দীক্ষ নিয়মিত গতিতে চুটিয়া চলিয়াছিল। ওভারসিয়ারের কথা মনে পড়ায় মিতাইয়ের চিস্তা ভুলিয়া সে প্রফুল্প হইয়া উঠিয়াছে। শ্রাবণের অন্ধকার রালি---আঞ্জও আকাশে মেঘ জমিয়া আছে । ভারকদেীপিঠী- মেঘল! আকাশ যেন অন্ধকারের মধ্যে মাটির বুকে নামিয়া আসিয়াছে । দীর হাতের আলোটা ধোয়ার কালিতে অন্ধ চক্ষুর মত জ্যোতিহীন পাণ্ডুর । অন্ধকার বটবৃক্ষের তলদেশ হং তে একটি মাহম আসিয়া পথের উপর পাড়াইল । দী প্রশ্ন করিল, ‘ওপরসার’ বাৰু! উত্তরে লাঠির আঘাতে তাঙ্গর হাতের লণ্ঠনটা চুরমার হইয়া গেল। ডাকা ও ! ৬াক লুটিতে আসিয়াছে ! মুহূৰ্ত্তে দা? ক্ষিপ্ৰ গতিতে সরিয়া দাড়াহঁয়! হাতের বল্লমটা উচু পন্ধি পরিল। —খবরদার, সরকারের জ্ঞাপ । —এই দেপ, স্থাঃ দাও বলছি । দীশুর হারে পল্লমা থল থর করিয়া কাপিয়া উঠিল ; সে পিকত কণ্ঠস্বরে বলিয়া উঠিল—ঞ্চে-নেতাত ? YBB ttggBBg BBB BBB BB BB BBBS কাড়িয়া লইল । পরমুহূৰ্বে সে ঝাপ দিয়া মেল-ব্যাগের উপর শিকারী পশুর মত লাফাঙ্গয় পড়িল । দী পড়িয়া গেল, মাথার মাথালীটী গড়াইয়া চলিয় গেল, কিন্তু তবুও দীত সবলে মেল-ব্যাগ নিজের বুকের মধ্যে আঁকড়াভয় ধরিয়া বলিল --সন্ননাশ হবে নেভাঙ্গ- কালাপামি—কালি হয়ে যাবে! 娜 নিতাঙ্গ ক্ষুধাৰ্ত্ত পশুর মত ব্যাগটা ধরিয়া টানিতেছিল —টানিতে টানিতেই হিংস্রভাবে সে বলিল—তখন বললে না কেনে-ব’লে রেখে দিলাম এমন ক’লে ! দাও বলছি, . রাতারাতি দেশ ছেড়ে পালাব চল ।