পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5 Sనా প্রবাসা SN9gN9 তাহার পরের ঘরটিতে থাকে ফ্লোরিন । মা তাহার যুক্তপ্রদেশের মেয়ে, পিতা মান্দ্রাজের খ্ৰীষ্টিয়ান। পিতামাতা থাকেন অনেক দূরে, মাসে মাসে টাকা পাঠাইয়াই নিশ্চিন্ত, মেয়ে কিরূপ অধ্যয়ন করিতেছে সে-বিষয়ে অনুসন্ধান লইবার প্রয়োজন বোধ করেন না । অতএব ক্লোরিন দুইবার আই-এ পরীক্ষার পর এইবার “পারিব না একথাটিবলিও না আর” নীতির সারবত্ত উপলব্ধি করিয়া পুনরায় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হইতেছে। কয়েক দিন পূর্বে একটি ছেলের সঙ্গে তাহার অসম্ভব ভাব হইয় গিয়াছে, এবং তাহাকে না পাইলে যে সাহারা মরুভূমি এবং তাহার জীবনে কোন প্রভেদ থাকিবার সম্ভাবনা নাই, অনেক অশ্রুবিসর্জনের পর এই সত্য কথাটি সহপাঠিনীদের নিকট স্বীকার করিয়া ফেলিয়াছে। কিন্তু পরম দুঃখের কথা এই যে সহপাঠিনীদের দিক হইতে ইহাতে বিন্দুমাত্র উদ্বেগের আভাস পাওয়া যায় নাই। তাহারা কেবল স্মরণ করিতে চাহিয়াছে, ফ্লোরিনের জীবন এইবার লইয়া কয় বার সাহারাতে পরিণত হইল। লাইট জালাইয়া সে একখানা পত্র লিখিতেছিল। সহসা অরসিক সুপারিন্টেগুেন্টের ততোধিক রসবিহীন কণ্ঠস্বর কানে আসিল । অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া সে লাইট নিবাইয়া শুইয়া পড়িল, এবং অৰ্দ্ধসমাপ্ত পত্ৰখানাকে কি ভাবে শেষ করা যায় সে-বিষয়ে ভাবিতে লাগিল। বড়ই ইচ্ছা করিতেছিল উপসংহারে একটা কবিতা লিখিবে, কিন্তু সেইখানেই যত গণ্ডগোল। কবিত-টবিভা আবার তাহার মোটেই পড়া নাই, অথচ টমাস প্রতিটি পত্রে কতকগুলি করিয়া কবিতা লেখে। অতএব না লিখিলেও নয়, ভবিবে, দুইবার ফেল করিয়াছে তাই--নাঃ ! লেখা তাহার চাই-ই । শয্যা ত্যাগ করিয়া ফ্লোরিন উঠিল। টর্চ জলাষ্টয়া সে কবিতার বই খুলিয়া বসিল । হ্যা, কবিতা একটা তাহার চাই ! এমন একটা কবিতা চাই যাঙ্গতে চার-পাঁচ লাইনের ভিতর থাকিবে খানিকটা আকাশ—আকাশে যদি চাদ এবং তারা পাওয়া যায় তবে ত কথাই নাই—কিছু বসন্ত-বাতাস, কিছু ফুলের নাম এবং পরিশেষে কিছু বিরহের ব্যাকুলত৷ কিন্তু এতগুলির সম্মেলন কি বুদ্ধি করিয়া কোন কবি এত জয় লাইনের ভিতর ঘটাইতে পারিয়াছেন ? অথচ ইহার বেশী বড় কবিতা লিখিবার উপায় নাই—টমাস ভাবিবে, বই দেখিয়া লিথিয়াছে। কিন্তু সেইখানেই যত বিল্প। আকাশ পাইলেও ফুল পাওয়া যায় না, এবং অনেক কষ্টে আকাশ-বাতাস-ফুলকে চার লাইনের ভিতর আটক করিতে পারিলেও বিরহের ব্যাকুলতার আর স্থান হয় না। ভগবান, আজিকার এই এক রাত্রির জন্ত তুমি আমাকে কবিতা রচনা করিবার ক্ষমতা দাও । টর্চের ব্যাটারি প্রায় নিঃশেষ হইয়া আসিয়াছে, কিন্তু কবিতার সন্ধান মিলে নাই। সহসা তাহার মনে পড়িয়া গেল, অর্চনা বেশ ভাল কবিতা লিখিতে পারে। স্বস্তির একটা নিঃশ্বাস ফেলিয়া সে উঠিল; কাল অর্চনাকে যে কোন প্রকারে হাত করিতে হইবে। রাত্রির নিস্তব্ধতা ভেদ করিয়া ঘড়িটা উচ্চশব্দে জানাইয়া দিল, এগারটা বাজিয়া গিয়াছে। ক্লান্তদেহে ফ্লোরিন শুইয়া পড়িল। আচ্ছ, সেই লোকটা ন এই সময়েই বঁাশী বাজায় ? মেয়েরা কাল বলিতেছিল, এগারটার পর আসে ; ঘুমাইয়া না পড়িলেই হয়। খুব ভাল লাগে তাহার বঁাশী, টমাস যদি পারিত অমন করিয়া বাজাইতে ! তাহার পরের ঘরটিতে একটি মেয়ে মোমবাতি জালাইয়া মাফলার বুনিতেছে। চোখ দুইটি রহিয়াছে মাফলারের উপর একেবারে স্থির, কিন্তু মনের ভিতর চলচ্চিত্রের ছবির স্থায় চিন্তার পর চিন্ত উকি দিতেছে। স্বপারিন্টেণ্ডেটের উপর রাগ হয় কি সাধে ? কেন বাপু এত কি ডিসিপ্লিন তোমার ? কাল ত মোটে শেষ হইল পরীক্ষা, আজ রাত্রিটা কোথায় একটু খুলীমত কাজ করিবে—নাঃ ! ঠিক সাড়ে দশটার সময় লাইট নিবানো চাই। বেশ করিয়াছে সে ! তুমি ত নিশ্চিন্ত হইয়া নিজা ধাইভেচ্ছ, আর এদিকে যে সে মোমবাতি জালাইয় কেমন তোমার আদেশ মানিয়া চলিতেছে—সন্ধান পাও তুমি তাহার ? মাফলারটা কিন্তু শেষ করাই চাই। আচ্ছা, বাৰ৷ कि जबांक छ्हेञ्च झांझेट्दन ! भां उ छांदिब्राहे श्रृंॉशेटवन