পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

இ.இ প্রৰণসী SN98Nరి শব্দ হইয়া গেলেই সে আঁচল দিয়া মুখ টিপিয়া ধরে। কিন্তু তবু কি ষে হইয়াছে, তাহার হাসি জার থামিতে চাহে | || না বাপু ! ছেলেদের কলেজে পড়া আর তাহার চলিবে না। এত হাসাইতে পারে ওরা, অথচ হাসিতে পারিবে না, প্যাচার মত মুখ করিয়া বসিয়া থাকিতে হইবে। এই সেদিন বেশ ঠাও পড়িয়াছিল, সকলেই মোটা কোট কিংবা চাদর জড়াইয়া আসিয়াছে। অার এক জন আসিলেন একটি লেপ গায় দিয়া । প্রফেসর হাকিলেন—“গেট আউট।” ও বলিল,—“বডড যে শীত স্তর, লেপ ন গায় দিলে চলে না।” আচ্ছ, এই রকম নাকি দেখিয়াছে কেউ কোনও দিন ? আবার প্রফেসর যখন প্রশ্ন করিলেন, “কি নাম ?” এক গাল হাসিয়া সজারুর কাটার স্তায় অপরূপ কেশসহ মস্তক জুলাইয়া কহিলেন—“গদাধর” । ইহার পরেও নাকি কেহ না হাসিয়া থাকিতে পারে ? চোখের স্বমুখে এই চিড়িয়াখানা দেখিয়াও ? মেয়েরা বলে এই রকম হাসা অন্তায় ! কিন্তু কি করিবে সে ?-ন, ছেলেদের কলেজে পড়া আর কিছুতেই হইবে না তাহার, মাকে সে লিখিয়া দিবে, কলিকাতার কোন মেয়েদের কলেজে ভৰ্ত্তি না হইলে তাহার চলিবে না। একদৃষ্টি প্রফেসারের মুখের পানে চাহিয়া থাকাই কি সোজা কথা ? ঘাড় একেবারে ব্যথা হইয়া যায় না ! নীচের কক্ষ হইতে ঘড়িটা বাজিয়া উঠিল এক, দুই, তিন, চার...এগারটা বাজিয়া ঘড়িটা চুপ করিল। ঠিক এগারটার সময়ই না আসিবে তাহারা ? মেয়েদের কথায় যদি আর কোনদিন বিশ্বাস করে সে। তাহাকে জাগিয়া থাকিতে বলিয়া তাহারা বোধ হয় এতক্ষণ আরামে নিজা शंहेरउद्दछ । - পা টিপিয়া টিপিয়া মেয়েটি উঠিল। তাহার পর সস্তপণে দ্বার খুলিয়া অপর মেয়েদের কক্ষের প্রতি চাহিল। সমস্ত হোষ্টেলটা সম্পূর্ণ নীরব, বাইরে একটা বাতাস জোরে বহিয়া যাওয়াতে বৃক্ষের কতকগুলি শুষ্ক পত্র ঝরিয়া পড়িল--তাহার পর পুনরায় নিবিড় নীরবতা। " * * মুহূৰ্ত্ত কয়েক পরেই একটি কক্ষের দ্বার খুলিয়া গেল— একটি মেয়ে ধীরে ধীরে বাহির হইয়া আসিল, এবং তাঁহার অল্পক্ষণ পরেই আরও চার-পাচট কক্ষের দ্বার উন্মুক্ত করিয়া, পা টিপিয়া টিপিয়া চার-পাচটি মেয়ে এই মেয়েটির শয়নকক্ষের দিকে অগ্রসর হইয়া আসিল। কাহারও পাদ্ধকার মৃদ্ধ শব্ব হইতেই, অপরে অধরে আঙল চাপিয়া সতর্ক করিল। একটি মেয়ের অসম্ভব হাসি পাইতেছে, মুখের ভিতর অঞ্চল চাপা দিয়া অতিকষ্টে হাস্ত সংবরণ করিতে করিতে টলিয়া টলিয়া সে অগ্রসর হইল। তাহার পর একসঙ্গে অৰ্ধক্ষ,ট কণ্ঠে প্রশ্ন এবং উত্তরের আদান-প্রদান চলিল । “এগারটা বেজে গেল না ? হ্যা, আর অধি-ঘণ্টাখানেক, পরেই আসবে দেখিস ।” “আমার কিন্তু কেমন ভয়-ভয় করছে ভাই, যদি কোন রকমে সুপারিন্টেণ্ডেণ্ট জানতে পারেন।” “তোর যেন সব তাতেই ভয়, খারাপ কাজ করছি আমরা ?” “সত্যিই ত একটা শুধু সন্দেহভঞ্জন, বারাওয়ি দাড়ালেই ত দেখা যাবে, কতক ক্ষণেরই বা ব্যাপার !” “আচ্ছ, চিত্রী-দিকে ডাকলে হ’ত না ? যা বুদ্ধি ওর, যদিই বা কোন কিছু হয়, ও ঠিক আমাদের সববাইকে বাচিয়ে দেবে।” “হ্যা রাখো তোমার চিত্রা-দি। যা কুম্ভকৰ্ণ, ন’টা বাজতে-না-বাজতেই ত দিয়েছেন ঘুম, বাড়ীতে আগুন লাগলেও ওকে ওঠানো যাবে না।” “আর কি নীরস ভাই, সেদিন বলছিলুম, এত চমৎকার বঁাশী, একদিন একটু জেগে শোন, একেবারে চামড়, হয়ে যাবে। তা বললে, হাঃ ! রাত জেগে রইব আমি বঁাশী শোনবার জন্তে—পাগল নাকি তোরা ?” “আমার কিন্তু না দেখলেই চলবে না, এমন চমৎকার বাণী আমি জীবনে শুনি নি কোন দিন, গুনবও মা হয়ত । সত্যি ভারি রহস্যময় মনে হয় ওকে।" “কিন্তু যদি সেই খারাপ লোকটাই হয় ?” “কি-যে বলিস রেবা ! ও হ’লে এত রাত ক’রে আসত এদিকে, আমাদের চোখের আড়াল হয়ে ? আমরা জেগে কেন, কি এমন