পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミわー প্রবাসী $NEgNE দীচ এবার উচ্চকণ্ঠে চীংকার করিয়া উঠিল—ণ্ডাকাত— ডাকাত ! নিতাই বিপুল হিংস্রতায় ক্ষিপ্ত হইয়া উঠিল । সহসা একটা আলোকরশ্মির আভাসে গাঢ় অন্ধকার ঈষৎ চকিত হষ্টয়া উঠিল। চমকিয়া উঠিয়া নিতাই সেই দিকে ফিরিয়া চাহিয়া দেখিল, একটা ক্ষুদ্র কিন্তু উজ্জল আলো দ্রুত অগ্রসর হত্তয়া আসিতেছে । ক্রমশঃ আলোর প্রভায় স্থানটা প্রদীপ্তভর হষ্টয়া উঠিতেছে । সে এবার শেষ চেষ্টা করিল, হাতের লাঠিটা কুড়াঙ্গয়া লইয়া সজোরে দৗম্বর মাথায় বসাইয়া দিল । মুহূৰ্বে ফিনকি দিয়া কাল একটা তরল ধারা ছুটিয়া বাহির হইয়: দীন্সর মুখখানাকে বীভৎস করিয়া তুলিল। দীর্ঘ কাতর স্বরে চীৎকার করিয়া উঠিল—বাব গোঃ ! আলোটা অতি নিকটে আসিয়া পড়িয়াছিল, নিতাই ব্যস্তভাবে আর একবার ব্যাগটা ধরিয়া আকর্ষণ করিল— কিন্তু দীন্সর জ্ঞান তখনও লুপ্ত হয় নাই, অগত্য নিতাষ্ট ব্যাগটা ছাড়িয়া দিয়া ছুটিয়া অন্ধকারের মধ্যে মিশিয়া গেল । আলোটা একটা বাইসিক্লের অালে । আরোহী পথিক রক্তাক্ত দীন্সকে দেখিয়া ভয়ে চীংকার আরম্ভ করিল। অন্ধকার দুৰ্য্যোগের মধ্যেও মাহসের প্রয়োজনের শেষ নাই, পথে পথিকের পথচলার বিরাম নাই, কিছুক্ষণ পরেই দূরে মানুষের সাড়া আসিল—কে সাড়া দিল । 肇 蠱 肇 দীন্সর স্থান হইলে সে দেখিল, প্রকাও একটা পাক ঘরে একখান লোহার খাটের উপর সে শুইয়া আছে—মাথায় ভয়ানক যন্ত্রণা—কপালে হাত দিয়া অনুভব করিল, কাপড় দিয়া মাথাটা তাহার বাধিয়া দিয়াছে । তাহার খাটের পাশেও সারি সারি লোহার খাটে আরও কত লোক গুইয়া আছে। দী বুঝিল এটা হাসপাতাল । সে পূৰ্ব্বে কয়বার শহরে আসিয়া হাসপাতাল দেখিয়া গিয়াছে। ধীরে ধীরে দীকুর সব মনে পড়িতে লাগিল । কিছুক্ষণ পরই পোষ্টাপিসের স্বপারিন্টেণ্ডেণ্ট সাহেব আসিয়া প্রসন্ন হাসি হাসিয়া বলিলেন—এই যে জ্ঞান হয়েছে তোমার ? দীয় তাহাকে চিনিত, কিন্তু সে তাহার মুখ-পানে ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়া রহিল শুধু। সাহেব বলিলেন—খুব বাহাদুর তুমি ! সরকার তোমার ওপর খুশী হয়েছেন। তুমি যে নিজের মাথা দিয়েও সরকারের ডাক বাচিয়েছ এর জন্তে তুমি রিওয়ার্ড—মানে পুরস্কার পাবে! দীচু তবুও নিৰ্ব্বাক ! সাহেব তাহার গায়ে হাত বুলাইয়া বলিলেন—কত জন ছিল তার—কাউকে তুমি চিনতে পেয়েছ ? দীচ এবার ঝর ঝর করিয়৷ কাদিয়া ফেলিল । সাহেব নিজে পাথাটা লইয়া বাতাস দিয়া বলিলেন— ভয় কি, কাদছ কেন তুমি ? কোন ভয় নেই, শীগগির ভাল হয়ে যাবে তুমি। ডাক্তার বলেছেন কোন ভয় নেই তোমার ! তিনি নিজে রুমাল দিয়া তাহার চোথ মুছাহঁয়া দিলেন । তার পর বলিলেন—আচ্ছ, সুস্থ হয়ে ওঠ তুমি, আমি আবার আসব—রোজ এসে তোমায় দেপে যাব । ওবেলায় ফল পাঠিয়ে দেল আমি । দাঁতু অকস্মাং যেন বলিয়া উঠিল—ছজর । -–কিছু বলবে আমায়, কি বলবে বল ? দীত অতিকষ্টে বলিল—হুজুর আমার ছেলে— —তোমার ছেলে, তোমার ছেলেকে তুমি দেখতে চাওঁ ? দী নিশ্বাস ফেলিয়। বাচিল-কহিল ইঁr হুজুর ঃ —আচ্ছা । সাহেব চলিয়া গেলেন । তাহার পর আসিল পুলিস । পুলিসের বড়সাহেব নিজে আসিয়া তাহাকে প্রশ্ন করিতে আরম্ভ করিলেন । তিনি কিন্তু ডাক-সাহেবের মত এত সহজে দীমুকে নিস্কৃতি দিলেন না । তিনি বার-বার তাহাকে প্রশ্ন করিলেন— কাউকেই তুমি চিনতে পার নি ? দীয় উত্তর দিল—অন্ধকার হুজুর ! —কত জন ছিল তার ? ভাবিয়া-চিন্তিয়া দীচু আবার বলিল—অন্ধকার হুজুর— ! —আচ্ছা কি রকম দেখতে বল ত ? খুব জোয়ান ? -व्षां८ख ईT ॥ —ভদ্রলোক—কি ছোটলোক ? দ্বীয় চুপ করিয়া রহিল। সে ভাবিতেছিল—সে কি বলিবে ? কাহার নাম সে করিবে ? মিথ্যা করিয়া অঙ্গ কাহারও নাম—দীকু শিহরিয়া উঠিল !