পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8sぐ2 প্রবাসী ১৩৪৩ বাদকের অস্পষ্ট বসিবার ভঙ্গীটি চোখে পড়ে—জলের একান্ত নিকটে বসিয়া কে ঐ যাদুকর মুক রাত্রির মুখে বাণী ফুটাইল ? শয্যায় গুইয়া বঁাশী শুনিতে শুনিতে আজ ঘুমাইয় পড়িবে। প্রতিটি রাত্রি যে দেবতার আশীৰ্ব্বাদের স্কায় নামিয়া আসিতেছে, সে ত তোমারই জন্ত ! আজিকার রাত্রিতে কাহারও চোখেই বুঝি ঘুম নাই, কেবল আপন কক্ষে চিত্রা অঘোরে ঘুমাইতেছে। যে তাহাকে ডাকিতে আসিয়াছিল ললাটে একটি হাত রাখিয়া মৃদুকণ্ঠে সে ডাকিল—“চিত্রা-দি ” চকিতে চিত্রা উঠিয়া বসিল, কেশপ্রসাধন হয় নাই আজ। এলোথোপা খুলিয়া দীর্ঘ কুঞ্চিত কেশরাশি পিঠ ঢাকিয়া শুভ্ৰ শয্যার উপর লুটাইয়া পড়িল। জানালার ভিতর দিয়া মেঘমুক্ত স্নিগ্ধ চন্দ্রালোক একটা বৃক্ষপত্রের ফাকে ফাকে খণ্ড খণ্ড হইয়া আসিয়া পড়িল তাহার ললাটের কুঞ্চিত অলকগুচ্ছে, দীর্ঘ ঘন আঁখিপল্পবে, নিদ্রালস দুটি চোখের তারায় ] চিত্রা প্রশ্ন করিল, “এত রাতে হঠাৎ কি মনে ক’রে ?” কিন্তু তাহার মুখের ভাবে মনে হইল না যে সে বিশেষ চমকিত হইয়াছে। অনেক অনুনয়-বিনয় করিয়া মেয়েটি তাহার আসিবার কারণ জানাইল। ঈষৎ হাসিয়া চিত্রা কহিল, “তবু ভাল, আমি ভাবছিলুম বুঝি ডাকাত-টাকাতই পড়ল তোমাদের ঘরে।” মেয়েটিও মৃদু হাসিল, এবং ঝুঁকিয়া পড়িয়া চিত্রার মুখের অত্যন্ত নিকটে মুখখান লইয়া কহিল, “আহা! কি আমার হিতাথিনী গো! ডাকাত যদিই বা আসে, তবে তোমায়ই প্রথম ডাকাতি ক’রে নিয়ে যাবে, তা জান ?” কপট ভয়ের ভঙ্গী করিয়া চিত্রা কহিল, "তাই নাকি ? ভাগ্যিস আসে নি”—বলিয়া সে এলোচুলগুলি হাতে জড়াইয়৷ মোটা চাদরটা বেশ করিয়া টানিয়া লইয়া গুইবার উপক্রম করিতেই মেয়েটি কহিল, “ও কি ! চিত্রাদি, গুচ্ছ যে বড় ? লক্ষ্মীটি চল না ভাই, কত দিন থেকে ভাবছি দেখব, একবার দেখে একটু সন্দেহ মেটানো বইত কিছু নয়।” চিত্রা উঠিয়া বসিল, এবং গম্ভীর কণ্ঠে কহিল, “কিন্তু এর পরিণাম কি হবে জান ? মেয়েদের হোষ্টেলের কাছে এসে যে বঁাশী বাজায়, সে আর যাই হোক ভাল লোক নয়। একটা খেয়ালের বশে তোমরা বারাণ্ডায় গিয়ে দাড়াবে, যাবার পথে উপর দিকে চাইলেই ও তোমাদের দেখতে পাবে, হয়ত একটা কিছু মধুর সম্ভাষণ করে বসবে। নীচে থেকে মেমসাহেব দৌড়ে আসবেন । তার পর ? রাত ছুপুরে বিছানা ছেড়ে এসে দাড়িয়েছ তোমরা, আর তোমাদের ঠিক নীচে পথের উপর দাড়িয়ে-, বুড়ো মেম যে এই বিংশ শতাব্দীর জুলিয়েটদের কি রকম সম্বৰ্দ্ধনা করবেন, তা ত বলে দিতে...” বাধা দিয়া ক্ষুগ্রকণ্ঠে মেয়েটি কহিল, “না চিত্রাদি, তোমার যাবার মতলব নেই বলেই তুমি যত মিথো ভয় দেখাচ্ছে। কিন্তু আমি তোমায় ঠিক বললাম, রাতের অন্ধকারে সস্তপণে আপনাকে লুকিয়ে যে এমন করে বঁাশী বাজায়—খারাপ লোক সে নয়, অসাধারণত্ব নিশ্চয়ই তার ভিতর কিছু আছে। এত আশ্চৰ্য্য ক্ষমতা ওর, অথচ কাউকে জানতে দেবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা নেই। তাই দেখতে ইচ্ছে করে, ভগবান ওকে কেমন ক’রে গড়েছেন ।” চিত্রা স্নান হাসি হাসিল । কহিল, “মনে ত কতই হতে পারে । কিন্তু জগৎটা ত স্বপ্ন দিয়ে তৈরি নয় স্থলেখা ; এর বাস্তবের স্বর এমন কঠিন, এমন তীব্র, যে এক মুহূৰ্ত্তে সকল রহস্যের জাল ছিড়ে যায়। এই ধর, আমারও ত মনে হতে পারে সাধারণ মানুষ সে নয়, গভীর রাত্রির নীরবতারই যেন সে প্রাণ ! শুদ্ধ বিরাট আকাশের মত প্রশাস্ত তার রূপ, যে ক্ষীণ চন্দ্রালোক নদীর বুকে পড়ে জলছে— এ যেন তারই অঙ্গ। দিনের কোলাহলে যে-কথা শোনা যায় না, প্রকৃতির সেই কথাটাই তার বঁাশীর স্বর। কিন্তু এ-সব ত কিছুই সত্যি নয়। রাত্রির এ অন্ধকারের যবনিকা তুলে ধর, দেখবে কোন মাধুর্ঘ্য নেই ; চোখ ছটো তার জলছে নিষ্ঠুর জয়ের উল্লাসে ; মুখে তার তীয় অবহেলার হাসি ; সৰ্ব্বাঙ্গে তার উদ্ধত অহঙ্কার । হাজার হাজার মানুষ তাকে পাবার জন্তে কঁাদছে, কিন্তু পাষাণের মত অবিচলিত সে—জয়ের গৌরবে হাসছে।” চিত্রা থামিল, কীশালোকে স্থলেখার মুখে বিশ্বয়ের জাভাস পাইয়া সে निद्दछब्र ऐं★ख्खनांञ्च अङाछ लजिकड श्ल ।