পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• • ঝরণ হইতে জল সংগ্ৰহ করিতেছে , • • • প্রতিষ্ঠান। ইহা বাঙালীর গৌরব, দানবীর, শিক্ষাভি ভাবক স্বৰ্গীয় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নদী মহাশয়ের পুণ্য কীৰ্ত্তি, এবং কয়েক জন আশ্রমশিক্ষ-প্রবর্তনপ্রয়াসী ত্যাগী মনস্বীর দৃঢ়সঙ্কল্প ও অধ্যবসায়ের ফল। ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে, বিষ্ঠায় বুদ্ধিতে, আচার-ব্যবহারে ছেলেরা যাহাতে দৃঢ়চরিত্র মানুষ হইয়া উঠে—ইহাই ব্ৰহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয়ের উদ্দেশু। এই বিদ্যালয়ের বাট ও তৎসংলগ্ন স্ববৃহৎ উদ্যান মহারাজারই দান। মহারাজার দেহাস্তের পর হইতে উপযুক্ত আনুকূল্যের অভাবে ইহার পূর্বের সমৃদ্ধ ও সতেজ অবস্থা এখন আর নাই। ইহা দুঃখের বিষয় সন্দেহ নাই। মোহাবাদী পাহাড়ের গায়ে স্বৰ্গীয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের আবাসগৃহ এবং পাহাড়ের শীর্ষদেশে তাহার নিৰ্ম্মিত উপাসন-মন্দির লোকান্তরিত গৃহস্বামীর সদাশয়ত, ঔদার্ধ্য, সদালাপিত্ব, উচ্চনীচনিৰ্ব্বিশেষে সৌজন্ত এবং সঙ্গীত প্রবাসী $w&8 రి ও চিত্রশিল্পাঙ্গুরাগের স্মৃতিমন্দিরস্বরূপ বাঙালীর তীর্থস্থানে পরিণত হইয়াছে। রেল বা মোটর ঘানে এখন যে-কোন দিক হইতে রাচি গমনাগমন সহজসাধ্য হইয়াছে। রাচি শহরের মধ্যে বিশেষ চিত্তাকর্ষক বস্তু বা দৃপ্ত অধিক না থাকিলেও এই জেলার প্রাকৃতিক দৃপ্তাবলী আগস্তুকের মনোমুগ্ধকর। চুটুপালু ঘাট রাচি হইতে হাজারিবাগের রাস্তায় ২০ মাইল দূরে পর্বতের গায়ে জাকিয়া বাকিয়া উঠিয়াছে। সৰ্ব্বোচ্চ স্থানটি হইতে নিম্নে হাজারিবাগের উপত্যক ছবির মত দেখায় ও দূরে পরেশনাথ পৰ্ব্বতের গভীর দৃপ্ত দেখা যায়। এখান হইতে রাস্তাটি তিন মাইলের মধ্যে ৭০০ ফুট নামিয়া গিয়াছে । রাচি-চক্ৰধরপুর রাস্তাটিও সিংহভূম জেলার মধ্যে বান্দগাও হইতে টেবোর অপর পার পর্য্যন্ত চমৎকার দৃশ্বের মধ্য দিয়া সর্পিল গতিতে নামিয়া গিয়াছে । সিম্ডেগা রাচি জেলার পশ্চিম প্রান্তে, সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ১৬০০ ফুট উচ্চ একটি বিস্তৃত মালভূমির উপরে স্বরম্য দৃশ্বের মধ্যে অবস্থিত। রাচি হইতে গুমূল, পালকোট ও কোলেবীরা হইয়া সিমূডেগা যাওয়া যায়। গুমূল হইতে