পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

–g*^* SuSBBSBSDDuS Svoግ হয়ত একদিন আসবে দেখতে শিখতে অছু মাগী ব্রাজিলের অবদান সমান অধিকার, অসীম সম্ভাব্যতা । হিম্পানী ভাষায় আলাপ করছ আবার দেখি, লাতিন । কালো চুলে পরেছ ফুল কাজল-হারা চোখে কালো বিদ্যুৎ বেদুইন প্রেমের প্রচণ্ডত হয়ত এনেছ বয়ে উষ্ণ রক্তের মধ্যে । খোলা সবুজ মাঠে কচি ঘাসের জাজিম পাতা, গেয়ে গায়েন ধরে মেঠো গান জাগিয়ে তোলে তোমার পায়ে নাচের পরে নাচ ভুলিয়ে দেয় পুব-পশ্চিমের প্রভেদ । সাদাসিধে গায়ের মাহুষ দেথায় ঘোড় দেগায় বাছুর গরু, খাওয়ায় প্রচুর দুধ ক্ষীর, দুলচে দে লেইfচ’ আমার দেশের গরুচোর আর নীচোরের কথা শোনাই যদি, অবাক হয়ে বলে "এ যেন ঠিক আমাদেরই গাউচো ভায় গিরালদেসের নিপুণ পটে আক । আসে ফেরার পালা টিকিট-পত্র বক্স-প্যাটরা ওলট পালট চলে পুবের মানুষ ফিরছে শেষে পূবের দিকে জেটি থেকে সিটি মারে জাহাজ বিদায় নিতে বন্ধু-জনের মুখের দিকে চেয়ে অবাক হয়ে যাই এই বিদেশে দুচার দিনের চেনাশোনার শেষে লুকিয়ে ঝরে বাধনহার চোখের জল । সন্দেহ হয়—মানুষ বোধ হয় সব দেশেতেই এক জাতির দপে শক্তি-মোহে বন্দী মানুষ একটু মুক্তি পেলে সহজ হয়ে মিলতে ছুটে আসে ; এই কথাটাই আজ— বারে বারে জাগে কেন ? জানি না ত আজাস্তিন ! বোধ হয় আছে ভাবী-কালের সঙ্কেত উদাস কর। তোমার দিগন্তের উদার বুকে । অপরিবর্তনীয় শ্ৰীবীরেন্দ্রনাথ ঘোষ স্বমন্ত্র কত দিন পরে গ্রামে ফিরছে। যেখানে জীবনের প্রভাব কেটে গেছে কত কি স্বপ্নজাল বুনে, সেখানে আজ দীর্ঘ বারো বছর পরে। রাঙা সরু পথ একেবেঁকে চলেছে। দু-পাশে কোথাও মেহেদীর বেড়া, কোথাও আম জাম কঁঠাল বট বা অশথ গাছের ঠেলাঠেলি, কোথাও বা ঘেটু শেয়ালকাটার ঝোপঝাপ । অপরাহ্লের মুস্থ অস্পষ্টত পথে এসে নেমেছে ৷ পশ্চিম আকাশের বর্ণচ্ছটা তার মনে বুঝি রং ধরিয়ে দিল । এ পথে চলতে কত কথাই তার মনে জাগছে আজ ; স ভাবছে, গ্রামখানা কত ছোট হা গেছে এক-বছরে । গাছগুলো ত তেমন সরল ভাবে *, শাখাপ্রশাখা মেলে দত্যের মত দাড়িয়ে নেই, ওগুলে. আমন বুকে পড়ল কেন ? ঐ সেই কাকন-দীঘি, সাতার ॥দয়ে দীঘিট পার হতে হাতtা অবশ হয়ে পড়ত তখন, ওর কালে স্বচ্ছ জলে নীল মাকাশের ছায়া পড়ে পাতালরাজ্যের রাজকন্যাদের و ولاحـسمجة C নীলকান্তমণির প্রাসাদের কথা ভাকে মনে করিয়ে দিত, —এখন ওর পরিসর কত সংকীর্ণ হয়ে গেছে । কত বড়, কি বিরাট দেখাত ঐ বটগাছটা তপন । ঝুরিগুলো ছায়াধুসর গোধূলির আলোয় যেন কয়েকট কালে কালো সরলরেখা। এগন ওগুলো মাটির বুকে নেমে গিয়ে রস শুষে নিচ্ছে—বাতাসের দোলাতেও নিশ্চল । তথন ওরা শিশু ছিল—ব্যগ্র আগ্রহে হাত বাড়িয়ে দিলে হালকা হাওয়ায় সহজ চাঞ্চল্যে নেচে উঠত মানবশিশুদের সঙ্গে লুকোচুরি-খেলার ছলে । আজ এরা মাটির মধ্যে শেকড় চালিয়ে দিয়ে খাড়া দাড়িয়ে আছে অনমনীয় ভঙ্গীতে। ঝড়বাদলে এদের এখন নাড়া দিতে পারে না । এদের শিশুবৃত্তি ঘুচে গেছে । এই নিঃসঙ্গ সরু পথটা, তখন এটার অপর প্রাস্তের সীমারেখা লুপ্ত ছিল ওর মনে । এর বঁাকে বাকে কত লুকানো রাজ্যের সন্ধানে মন তার ফিরত শৈশবে । বনফুলের