কীৰ্ত্তিক खोक-झञ्चकन्नो SS ষোল মাইলের পাথর সে পার হইল! এখনও যে তিন রামলাল বন্দ্যোপাধ্যায়—এই বাড়ুজ্জে মশায়—চিঠি। মাইল পথ তাহাকে যাইতে হইবে ! এটা আবার হিন্দী—কি— ডাংখানা হরিপুর। স্ব— দীয় যখন হরিপুর পোষ্টাপিসে পৌছিল তখন বেলা সাড়ে সাতট}–প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরি হষ্টয়া গিয়াছে। পোষ্টমাষ্টার, পিয়ন, সংবাদপ্রার্থীর দল উৎকণ্ঠিত প্রতীক্ষায় দাওয়ার উপর দাড়াইয়া ছিলেন । দী প্রান্ত ক্লাস্ত ভাবে ব্যাগট ফেলিয়া দিয়া অবসন্ন হইয় বসিয়া পড়িল । তাহার মুখের দিকে চাহিয়া পোষ্টমাষ্টার বলিলেন--এভ দেরি কেন হ’ল রে 7–এ কি, তোর কি অসুখ ক’রেছে দীন্ত ? দৗতু গপাইতে স্থাপাহঁতে বলিল—ডাকট কেটে ফেলেন বাবু! —আচ্ছা—আচ্ছা ব’স, শীগগির তোর ছুটি ক’রে দিচ্ছি। ডাক কাটিয়া পোষ্টমাষ্টার বলিলেন—এ কি রে, তোর নামে যে একটা ইনশিওর দাঁত ! টাকাও ত কম নয়, সাড়ে পাচ-শ ! ও এ যে আফ্রিকা থেকে আসছে দেখি ! দাঁত কথা কহিতে পারিল না, শুধু হাত পাতিয়া দাড়াইল, সে হাত তাহার থর থর করিয়া কঁাপিতেছিল । পোষ্টমাষ্টার হাসিয়া বলিলেন—দাড়া একটু, জমা ক’রে नि । পিয়ল বলিল—আমাদের কিন্তু পাচ টাকা দিতে হবে, মিষ্টি খাব ৷ দীক্ষ নিৰ্ব্বাক। জমা করিয়া লইয়৷ পোষ্টমাষ্টার বলিল— এইখানে একটা টিপ ছাপ দে তদীয়, ইঁ্য-—নে এই নে । থামখানা হাতে লইয়া দাম ঘুরাইয় ফিরাইয়া দেখিল— জাহাজের ছবি আঁকা সুন্দর খাম, ছাপা হরফে নাম লেখ।। মাষ্টার বলিলেন—দে, দেখি খুলে ! সস্তপণে ছুরি দিয়া থামখানা কাটিয়া সৰ্ব্বাগ্রে তিনি মোট কয়খনি দেখিয়া বলিলেন—নে ঠিক আছে সব। এ নোট আবার তোকে ভাঙাতে হবে। এই যে চিঠিও রয়েছে ? চিঠিখানা তিনি মনে মনে পড়িতে আরম্ভ করিলেন। ওদিকে পিওন ডাক বিলি করিতেছিল— পরম কল্যাণীয়া—জগত্তারিণী দাসী কুড়িগ্রাম! স্থখন চৌবে। দান্ত বলিল—বাৰু ! বাবু ভাবিতেছিলেন, কি বলিবেন ? নিতাইয়েরষ্ট সংবাদ, নিতাই সেখানে জাহাজে খালাসীর কাজ কল্পিত, সে মারা গিয়াছে ! কোম্পাণী তাহার অস্তিম-নির্দেশ মত তাহার সঞ্চিত অর্থ দীকে পাঠাইয়াছে । দী আবার প্রশ্ন কুরিল--বাৰু ! —কি লিপেছে বেশ বুঝতে পারছি না বে! আচ্ছা নিতাই কে ? নিতাই ত তোর সেই ছেলে ? —ষ্ট্যী-ঔ্য-ষ্ট্য!--কেমন আছে সে— কোথা আছে ? পোষ্টমাষ্টার নীরবে মাপ •ত করিয় রছিলেন। অনেক ক্ষণ স্টাঙ্গর মুখের দিকে চাহিয়া থাকিয়া একটা গভীর দীঘনিঃশ্বাস ফেলিয় দাঁত বলিল—ণিতাক্ট নাই । পোষ্টমাষ্টার নীরব হইয়াঙ্গ রহিলেন । দা গু মাটির দিকে চাহিয়া বসিয়া রহিল। তাহার ঢোগ দিয়া মধ্যে মধ্যে ফোটা ফোটা জল মাটির বুকে ঝরিয়া পড়িয়া ধীরে ধীরে শুকাইয়া যাইতেছিল। কঙ কথা এলোমেলে ভাবে তাহার শোকাতুর মনে জাগিয়া উঠিঙেছিল, সবই নিতাইয়ের কথা । পোষ্টমাষ্টার অপরাধীর মত বলিলেন—মানন্দ ক’রে চিঠিটা খুললাম দান্ত, কিন্তু শেষ আমিষ্ঠ ভোকে এই খবরটা দিলাম ! দী চমকাই উঠিল—তাহাব মনে পড়িল—সে নিজেক্ট ত চিঠিখানা আমিয়াছে ! থাকিতে থাকিতে অকস্মাৎ ভাঙ্গার মনে হষ্টম—উ, এমন সংবাদ এই দীর্ঘকাল ধরিয়া নিত্য নিত্য কত সে বহিয়া আনিয়াছে ! কত—কত—কত—সংখ্যা হয় না । মনে হুইল আজও পৰ্য্যস্ত যত রোদনপলনি সে শুনিয়াছে সে সমস্ত দুঃসংবাদ সে-ই বহন করিয়া আনিয়াছে ! সে চোখের জল মুছিয়া ধারে ধীরে উঠিয় দাড়াইয় বলিল —আমি আর কাজ করব না বাৰু, কাজে জবাৰ দিলাম ।
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।