পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TলYম্বT ৰৰিৰ প্রসঙ্গ-কষ্ণকুমার মিত্র இஒே কিছু কমিবার অন্ত একটি কারণ সাক্ষাৎপ্রতিকারপরায়ণ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী হয়। তাহার প্রধান উদ্যোক্ত যুবকদের কার্ধ্যের প্রভাব। জুবাট সাহেবের পুত্রকে এক দিন দর্শকদিগের মাথায় ও কৃষ্ণকুমার বাবুই বোধ হয় সৰ্ব্বপ্রথম বিদেশী বর্জন ও স্বদেশী গ্রহণের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এখনও স্বদেশী গ্রহণ ও বিদেশী বর্জন প্রচারে “সঞ্জীবনী” কোন খবরের কাগজের চেয়ে পশ্চাৎপদ নহে । বঙ্গে বাঙালীর স্থান ও গৌরব রক্ষার জন্য, ভারতবর্ষে বাঙালীর শ্বোপাজিত স্থান রক্ষার নিমিত্ত, কৃষ্ণকুমার বাৰু মৃত্যুকাল পৰ্য্যন্ত চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। বাঙালী “নিজ পিঠে লাঠি দিয়া টোক মারিতে দেখিয়া কৃষ্ণকুমার বাবু জুবাটকে ছেলেকে শাসন করিতে বলেন। জুবাট অহাতে কান না দেওয়ায় মিত্র মহাশয় স্বয়ং নিজের বাহুবল প্রয়োগ করেন। বরিশালে যে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্সের “বন্দেমাতরমূ" ধ্বনি নিষিদ্ধ হয় এবং যাহা বলপূৰ্ব্বক পুলিস ভাঙিয়া দেয়, তাহাতে কৃষ্ণকুমার বাবুর দৃঢ়তা ও সাহস বঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসে হুবিদিত। কৃষ্ণকুমার মিত্র ( অস্তিম শয্যায় ) বাসভূমে", বঙ্গে, “পরবাসী হইবে, এ চিন্তা তাহার ও তাহার “সঞ্জীবনী"র পক্ষে অসহ ছিল। তিনি পৌরুষের, শক্তিমত্তার ও অপরের প্রাণরক্ষার্থ আত্মোৎসর্গের একান্ত আকুরাগী ছিলেন। শক্তিমান বাঙালী" ও ‘পুণ্যকীৰ্ত্তি’ শীর্ষক সংবাদ ও মন্তব্য “সঞ্জীবনীতে প্রায়ই বাহির হইতে দেখিয়াছি। ১৮৮৩ বা ১৮৮৪ সালে কলিকাতায় মিউজিয়ামের সম্মুখে গড়ের মাঠে এক বৃহৎ জাতিধৰ্ম্মনির্বিশেষে নারীকুলের পরম সহায় ছিলেন কৃষ্ণকুমার বাৰু ও “সঞ্জীবনী” । সহবাস সম্মতি আইন আন্দোলনের সময় এবং বরাবর বাল্যবিবাহের বিরোধিতায় ইহা প্রকাশ পাইয়াছে। অধুনা গত ৭৮ বৎসর হইতে অস্তঃপুরে ও ঘরের বাহিরে নারীদের উপর অত্যাচার বুদ্ধি পাওয়ায় প্রধানতঃ কৃষ্ণকুমার বাবুর চেষ্টায় নারীরক্ষাসমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। নারীদের প্রতি অত্যাচার দমনে এই