পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسون 3G প্রষণসী ു ব্রিটেন তাহাকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করাইবার চেষ্টা করিলে সে ব্রিটেনের সহিত সম্পর্ক ত্যাগ করিবে । আগে বলিয়াছি, ব্রিটেনের সহিত ভারতবর্ষের স্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতার কোন কারণ নাই। ভারতবর্ষ যদি একটা ভোমীনিয়ন হয়, তাহা হইলে ব্রিটেনের সহিত তাহাকে যে বাধ্যবাধকতা বা সম্পর্ক রাখিতে হইবে, অন্ত সব স্বাধীন দেশের সহিত তাহার সেরূপ সম্পর্ক না রাখিবার কোন স্বাভাবিক কারণ নাই। ব্রিটেনের যতগুলি ডোমীনিয়ন অাছে, তাহার প্রত্যেবটির লোকসংখ্যা ব্রিটেনের চেয়ে কম । কিন্তু ভারতবর্ষের লোকসংখ্যা ব্রিটেনের সাত গুণ। এ অবস্থায় ভারতবর্ষের পক্ষে ব্রিটেনের ডোমৗনিয়ন হওয়া সাজিবে না। এ সমস্তই অবশ্য ভবিষ্যতের কথা । কিন্তু যখন রাষ্ট্রীয় লক্ষ্যের কথা উঠিয়াছে, তখন ভবিষ্যতের কথাই বলিতে হইবে। তাহা অদূর ভবিষ্কং, দুব ভবিষ্যং বা স্বদুর ভবিষ্যৎ হইতে পারে। একমাত্র পূর্ণ স্বরাজকেই আমরা লক্ষ্যস্থল বলিয়া হৃদয়ের সহিত গ্রহণ করিতে পারি। স্বাঞ্জাতিকতা ও অন্তর্জাতিকতা এ-কথা ঠিক, যে, যেমন কোন দেশের কোন মানুষই সম্পূর্ণ স্বাবলম্বী হইতে পারে না, তাহাকে অন্যদের উপর নির্ভর করিতেই হয়, তেমনি বোন দেশের লোকই সম্পূর্ণরূপে অন্তদেশনিরপেক্ষ হইতে পাবে না। এই জন্ত পৃথিবীর সব দেশের পক্ষে পরস্পরনির্ভরশীলতা খুব বড় আদর্শ। কিন্তু যাহাদের প্রকৃত জাতীয়ত্ব জন্সিয়াছে, যাহার। স্বাধীন হইয়াছে, তাহারাই আত্মসম্মানের সহিত অপর জাতিদের সঙ্গে প্রকৃত পরম্পরনির্ভরশীলতার সম্পর্ক স্থাপন করিতে পারে। পরম্পরনির্ভরশীলতার অর্থ ইহা নহে, যে, একটা জাতি অন্য একটা জাতির আদেশ মানিয়া চলিবে কিন্তু অন্য সেই জাতিটা নিজের ইচ্ছামত চলিবে । কেহ কেহ পরস্পরনির্ভরশীলতার (ইণ্টারডিপেণ্ডেন্সের ) দোহাই দিয়া বলিয়াছেন, ইহা যগন বড় আদর্শ তখন ব্রিটেনের সহিত ভারতবর্ষের সম্বন্ধ রক্ষা করাই উচিত। কিন্তু সম্বন্ধটা ত পরম্পরনিভরশীলতা নয়। ভারতবর্ষকে যেমন ব্রিটেনের কথা শুনিতে হয়, ব্রিটেনকে ত তেমন ভারতবর্ষের কথা মানিতে হয় না। ভারতবর্ষ ভোমীনিয়ন হইলে অবশু উভয় দেশের মধ্যে, সম্পূর্ণ না হইলেও, বহু পরিমাণে প্রকৃত পরম্পবনির্ভরশীলতা জন্মিবে। যুর পরের কথাও কিছু আছে। ভাবতবৰ্ষ gই কেন পরস্পরনির্ভরশীল হইবে ? অন্ত :দোষ করিল ? তাহাজের সঙ্গে ভারতবর্ষ লি কেন না-হুইবে ? সব সময়ে সব দেশের সঙ্গে সব দেশের পরম্পরনির্ভরশীলতা জল্পিতে বা থাকিতে না *ांटग्न बटt ; किरू चाशैौनडांब्र ७कछि अर्षई dहे, cष, স্বাধীন দেশ অন্ত যে কোন দেশের সহিতই আবণ্ডকমত সম্পর্ক স্থাপনে অধিকারী। অতএব, স্বাজাতিকতার (ন্তাশঙ্গালিজমের) পূর্ণ বিকাশ স্বাধীনতালাভে, এবং স্বাধীনতা লব্ধ হইলে তবে জাতিসমূহ পরস্পরনির্ভরশীল হইতে পারে। তখন অন্তজাতিকতার (ইন্টারন্যাশন্তালিজমের ) বাস্তব রূপ উপলব্ধি করিতে পারা যায়। ভারতবর্ষের স্বাজাতিকতা এবং ইউরোপের বহু জাতির ও জাপানের স্বাজাতিকতায় প্রভেদ আছে । আমরা স্বাধীন হইয়া স্বাঞ্জাতিকতার বাস্তব রূপ উপলব্ধি করিতে চাহিতেছি, অন্ত কোন দেশকে আমাদের অধীন করিয় তাহীদের স্বাঞ্জাতিকতা নষ্ট করিতে চাহিতেছি না। ইউরোপের অনেক দেশ কিন্তু অন্য অনেক দেশে আপনাদের প্রভুত্ব স্থাপন করিয় তাহাদের স্বাজাতিকতা নষ্ট করিয়াছে। এখনও তাহাদের অনেকের এই চেষ্টা থামে নাই। জাপানের স্বাঞ্জাতিকতাও ইউরোপের স্বাঞ্জাতিকতার মত । যে স্বাঞ্জাতিকতার সহিত অন্তজাতিকতার বিরোধ নাই, বরং যাহা ব্যতিরেকে প্রকৃত অন্তজাতিকতার উদ্ভব হইতে পারে না, আমরা সেই স্বাঞ্জাতিকতার পক্ষপাতী। খাদ্যের ঘাটতি ও জলসেচনের প্রয়োজন গবর্ণর-জেনার্যাল লর্ড লিনলিথগো ভারতবর্ষে সকলের যথেষ্ট খাদ্য পাওয়ার প্রয়োজন জানাইয়াছেন এবং যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদনের নিমিত্ত জলসেচনের যথেষ্ট বন্দোবস্ত দরকার বলিয়াছেন। ঠিক কথা । এ-পর্য্যন্ত কিন্তু বঙ্গে জলসেচনের ব্যবস্থা অত্যন্ত অসন্তোযজনক হইয়া আছে। পঞ্জাব সিন্ধু প্রভূতি বহু প্রদেশে জলসেচনের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয়িত হইয়াছে। বঙ্গে তাহার তুলনায় কিছুই হয় নাই। যে-সকল প্রদেশে এ-যাবৎ জলসেচনের কৃত্রিম খাল প্রভৃতির জন্য বহু কোটি টাকা খরচ হইয়াছে, তাহাদের নিজের অত খরচ করিবার টাকা প্রাদেশিক তহবিলে কখনও ছিল না, ভারত-গবন্মেন্টের টাকাতেই তাহাদের মুবিধা করিয়া দেওয়া হইয়াছে। ভারত-গবন্মেণ্ট টাকা পান প্রদেশগুলিতে সংগৃহীত রাজস্ব হইতে। বঙ্গে সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক রাজস্ব সংগৃহীত হয় এবং বঙ্গের প্রাদেশিক তহবিলকে বঞ্চিত করা হয় সকলের চেয়ে বেশী ও ভারতগবশ্নেণ্ট বঙ্গে সংগৃহীত রাজস্ব হইতে শতকরা সকলের চেয়ে বেশী টাকা লইয়া থাকেন। ইহা মেস্টন স্থাওয়ার্ডেরও আগে হইতে চলিয়া আসিতেছে । স্বতরাং যে-সকল প্রদেশে