পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ఆసి প্রবাসা পোলা থাকিবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রণচীতে শীত খুব বেশী। অতএব প্রতিনিধিগণের ও দর্শকবর্গের যথোপযুক্ত শীতবস্ত্র এবং রাত্রির জন্ত বিছানা ও লেপ কম্বল যথেষ্ট লইয়া যাওয়া আবশ্যক। অভ্যর্থনাসমিতি খবরের কাগজে ভিন্ন ভিন্ন দিক হইতে রাচী যাইবার পথ বিস্তারিত ভাবে ছাপাইয়া দিয়াছেন। সাধারণ সভাপতির, মহিলা-বিভাগের সভানেত্রীর, এবং ভিন্ন ভিন্ন বিভাগের সভাপতির নাম আগেই অনেক খবরের কাগজে ও প্রবাসীতে ছাপা হইয়াছে। শিল্প-বিভাগের কথা আগে জানাইতে পারা যায় নাই । তাহার পরিচালক হইবেন শ্রযুক্ত যামিনীরঞ্জন রায় । অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতি রায়বাহাদুর ত্রযুক্ত শরচ্চন্দ্র রায়ের ফোটোগ্রাফ আমরা আগেই প্রকাশিত করিয়াছি। এবার অন্য কৰ্ম্মীদের ফোটোগ্রাফও মুদ্রিত হইল। সাধারণ সভাপতির, মহিল;-বিভাগের সভানেত্রীর, এবং বিভাগীয় সভাপতিগণের ছবিও দিলাম। কেবল শ্ৰীযুক্ত যামিনীরঞ্জন রায় মহাশয়ের ছবি দিতে পারিলাম না। রাচী সম্বন্ধে অগ্রহায়ণের প্রবাসীতে আমরা কিছু লিখিয়াছিলাম। এবার তাহার ও তাহার সন্নিহিত স্থানসমূহের সম্বন্ধে এবটি সচিত্র প্রবন্ধ প্রকাশিত হইল। বৎসরাস্তে বহুদূরের বহু পরিচিত ব্যক্তির দর্শনলাভ ও ত:হাদের সংস্পর্শে আসা আনন্দদায়ক । র্যাহাদের সহিত আগে পরিচয় ছিল না তাহাদের সহিত পরিচয় ও সংস্পর্শও সুখকর । বাঙালী জাতির যিনি যেখানেই থাকুন, সকলের সহিতই যে আমাদের আত্মীয়তা আছে হৃদয়ের যোগ আছে, যে-প্রতিষ্ঠান তাহা স্মরণ করাইয়া দেয় তাহার গৌরব সহজেই উপলব্ধি করিতে পারা যায় । ইহার অধিবেশনে যে অনেক সুলিখিত সুচিস্তিত অভিভাষণ পঠিত হয়, অন্য ভাল প্রবন্ধও পঠিত হয়, তাহ স্ববিদিত । অধিবেশনের সহিত চিত্তবিনোদনের মানা স্বব্যবস্থাও থাকে । ভূপেন্দ্রলাল দত্ত প্রবাসী ও মডার্ণ রিভিয়ুর অন্যতম সহকারী সম্পাদক ভূপেন্দ্রলাল দত্ত মহাশয়ের ৪৫ বৎসর বয়সে হঠাৎ মৃত্যু হওয়ায় আমরা ব্যথিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হুইয়াছি। সাংবাদিকদিগের মধ্য হইতে এক জন প্রতিভাশালী লেখকের তিরোধান হইয়াছে। তিনি ১৩ই অগ্রহায়ণ পৰ্য্যস্ত কাজ করিয়াছিলেন ; ১৪ই প্রাতে সন্ন্যাস রোগে আক্রান্ত হন, এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাহার মৃত্যু হয়। তিনি বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতে নানা প্রকার সারবান প্রবন্ধ লিখিতেন, গল্প লিখি অস্তিম শয্যায় ভুপেন্দ্রলাল দত্ত বার শক্তিও তাহার ছিল । ঐতিহাসিক গবেষণাতে র্তাহার অনুরাগ ছিল। গবেষণামূলক ঐতিহাসিক গ্রন্থ তিনি লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছেন। লেখাতে র্তাহার উৎসাহ ছিল, লিখিতে ভাল লাগিত বলিয়া, লেখার দ্বারা দেশের লোকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করিতে পারিবেন বলিয়া, দেশের হিত হইবে বলিয়া—অর্থলাভের সম্ভাবনা বা আশা তাহার উৎসাহের কারণ ছিল না। তিনি মিতবাকৃ, নম্র ও সাতিশয় শিষ্টাচারসম্পন্ন ছিলেন। কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠ তাহার চরিত্রের ভূষণ ছিল। এই সকল গুণে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ ও সহকৰ্ম্মীদের প্রীতি ও শ্রদ্ধা লাভ করিয়াছিলেন । তিনি বাচিয়া থাকিলে দেশের এক জন বিশিষ্ট সেবক হইতে পারিতেন । পূর্ববঙ্গ ব্রাহ্মসম্মিলনী ব্রাহ্মসম্মিলনীর অধিবেশন গত ৪৬ বৎসর ধরিয়া হইয়া আসিতেছে । এবার ইহার ষটচত্বারিংশ অধিবেশন পূজার ছুটিতে টাঙ্গাইলে হইয়া গিয়াছে। অন্যান্ত ধর্শ্বসম্প্রদায়ের লোকদের পক্ষে এই সম্মিলনীর কোন গুরুত্ব আছে কিনা তাহা স্থির করিবার ভার তাহাদের উপর— আমরা বলিতে ইচ্ছা করি না, কারণ আমরা ব্ৰাক্ষসমাজের লোক। কিন্তু ছুটি কারণে টাঙ্গাইলের অধিবেশনটির