পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টাঙ্গাইলে আচার্ষ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ও কৃষ্ণকুমার মিত্র বিশেষত্ব ব্রাহ্ম ভিন্ন অন্ত লোকদের নিকটও আছে, ইহা বলা আবশ্যক মনে করি । ইহার অভ্যর্থনাসমিতির সভাপতি হইয়াছিলেন কৃষ্ণকুমার মিত্র মহাশয় । তিনি অৰ্দ্ধশতাব্দীর অধিক কাল ব্রাহ্মসমাজের সেবা করিয়া গিয়াছেন সত্য ; কিন্তু ব্রাহ্মদের চেয়ে সংখ্যায় বহু শতগুণ অধিক স্বদেশবাসীর সেবা, রাজনীতি, শিক্ষাবিস্তার, সমাজসংস্কার, মাদকতা নিবারণ, স্বদেশী দ্রব্য উৎপাদন ও ব্যবহার, স্থনীতি সংরক্ষণ, অবনত জাতিসমূহের উন্নতিসাধন, দুৰ্ভিক্ষ ও জলপ্লাবনাদিতে বিপন্ন লোকদিগকে Tাহায্য দান, নারীরক্ষা প্রভূতি কাৰ্য্যক্ষেত্রে করিয়া গয়াছেন। সার্বজনিক কার্ধ্যে বৃহৎ সভাস্থলে এই কৰ্ম্মবীরের শষ আবির্ভাব টাঙ্গাইলে হইয়াছিল, ইহা স্মরণীয়। আচাৰ্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় বৈজ্ঞানিক ও বিজ্ঞানাধ্যাপক বলিয়া বখ্যাত, স্বদেশী নানা পণ্যশিল্পের কারখানার এক জন প্রধান বৰ্ত্তক বলিয়া ক্ষুবিদিত, দুভিক্ষ জলপ্লাবনাদিতে বিপন্ন গাকদের অন্ততম প্রধান সহায় বলিয়া লোকে তাহাকে জানে, কি দিকে চরখা ও খন্দরের এবং অন্ত দিকে স্বদেশী কাপড়ের লের কার্ধ্যজ্ঞ সমর্থক তিনি, দরিদ্র ছাত্রদের সাহায্যদাতা, 3SeN9 টাঙ্গাইলে কৃষ্ণকুমার মিত্র । বাম পাশ্বে জ্যেষ্ঠ কষ্ঠা শ্ৰীমতী কুমুদিনী বসু । এবং তাহদেরই মত দীনভাবে জীবনযাত্ৰানিৰ্ব্বাহক তিনি। বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যক্ষেত্রেও র্তাহার কৃতিত্ব আছে। টাঙ্গাইলেই তিনি প্রথম, অন্যান্য কথার মধ্যে, ভারতবর্ষে ব্রাহ্মসমাজের উপযোগিতার কথা বলিয়াছিলেন, ইহা লক্ষ্য করিবার বিষয়। আধুনিক ভারতবর্ষের সমস্ত। একটি নহে, অনেক । ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের মধ্যে অসদ্ভাব ও বিরোধ তন্মধ্যে অন্যতম । সে-বিষয়ে আচাধ্য রায় তাহার অভিভাষণে বলিয়াছেন :– হিন্দুতে মুসলমানে, হিন্দুতে হিন্দুতে, এবং জাতিতে জাতিতে, যদুবংশ३८नग्न छाघ्र cवङ्ग* बाञ्चनडौ व ६-यूशद्र पि tा१ वाअग्न। चूँfiग्राrइ, ७द६ দিকে দিকে এই বিদ্বেষ-বহির খুমারমাণ শিখা লোলজিহ্বা বিস্তার করতঃ যেভাবে আত্মপ্রকাশ করিতেছে, এবং ভারতের পশ্চিম ব:টে আরব-সমুদ্রের উীরে ষে কালবৈশাখীর ঝড় উঠিয়াছে, তাহাতে নি:সংশয়ে ভৰিষ্যাণী করিতে পারি যে, ব্ৰাহ্মসমাজের এই আদর্শ,— “এক জাতি, এক ভগবান এক দেশ, এক মন প্রাণ”, এই আদর্শ গ্রহণ না করিলে ভারতের মুক্তি শত সহস্ৰ বৎসরেও সন্তৰ হইৰে ন ।