পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●b〜8 ” প্রবাসী குwதே off ato (I promise to pay on demand) also করিতে আরম্ভ করে। ইহাদের প্রচলিত প্রমিসরি নোটে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া সকলেই উহা গ্রহণ করিতে থাকে এবং এই সব নোট সাধারণের হাতে স্বর্ণ বা রৌপ্য- মুদ্রার স্বতীয় চলিতে স্বরু করে। প্রয়োজনমত নোটের বিনিময়ে নগদ মুজ পাইতে কোনরূপ বাধা না-হওয়ায় এইরূপ নোটের প্রচলন সহজেই বিস্তার লাভ করে এবং এই ভাবেই ব্যাঙ্ক ও নোটের স্বষ্টি হয়। পরের ধনরত্ব গচ্ছিত রাখা, উহা পুনরায় অপরকে স্বদে ধার দেওয়া, নগদ টাকার বিনিময়ে নোট প্রচলন—ইহাই তখনকার স্বর্ণকার-ব্যাঙ্কারদের প্রধান কাজ ছিল। আমরা নিয়ে উহাদের হিসাবের একটি নমুনা দিতেছি— ব্যাঙ্কের দেন! : ব্যাঙ্কের সংস্থান ঃ ‘ক’-এর নিকট আমানত নগদ তহবিল (স্বর্ণ ও মুদ্র) বাৰৰ >, * = - \ د ه ه. د M সৰ্ব্বসাধারণের নিকট নোট 'रु,' “क्ष.' 'त्र,' शृ'-यज्ञ निको বাবদ -*,= • •९ ख्रीषनि --ه س, • • • \ ٨ه د ه,ه لا M • ه ه, = لا স্বর্ণকার যখন দেখিতে পাইল, তাহার প্রচলিত নোটগুলি অবলীলাক্রমে দশের মধ্যে চলিয়াছে এবং উহার বিনিময়ে নগদ অর্থ বেশী লোকে চাহিতেছে না, তখন তাহার সাহস ক্রমেই বাড়িয়া যায় এবং পূৰ্ব্বে যেখানে সে নগদ ১০০e২ টাকা হাতে রাখিয় ৯,০০০ টাকার নোট প্রচলন করিতে সাহসী হইয়াছিল, সেখানে সে দুঃসাহস করিয়া আরও অধিক টাকার নোট ধার দিতে আরম্ভ করে। যৎসামান্ত ব্যয়ে নোট ছাপাইয় তাহা স্বদে খাটাইয়া লাভবান হইবার লোভ ইহাদিগকে এমনই পাইয়া বসিল যে, সামাপ্ত নগদ অর্থ পুজি লইয়া ইহার অত্যন্ত অধিক পরিমাণ নোট স্বষ্টি করিতে মুরু করিল। সকলে সমস্ত নোট এককালীন উপস্থিত না করিলেও ষে পরিমাণ নোট উপস্থিত হইতে লাগিল তাহার টাকাও ইহারা দিতে পারিল না। ফলে উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ইহাদের অনেককে দরজা বন্ধ করিতে হইল, এবং সঙ্গে সঙ্গে আমানতকারিগণের গচ্ছিত অর্থও বিনাশ প্রাপ্ত হইল। এই অবস্থা দেখিয়া ১৮৪৪ সালে নূতন আইন করিয়া, কয়েকটি নিৰ্দিষ্ট ব্যাঙ্ক ব্যতীত আর সকল ব্যাঙ্কের হাত হইতে নোট প্রচলনের অধিকার কাড়িয়া লণ্ডয়া হয়। বর্তমান সময়ে প্রত্যেক দেশে আইন দ্বারা নোট প্রচলন নিয়ন্ত্রিত হইয়া থাকে এবং কয়েকটি দেশ ভিন্ন ( ইহার মধ্যে আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রই প্রধান ) আর সব দেশেই ব্যবসাদারী যৌথ ব্যাঙ্কের হাত হইতে নোট প্রচলনের অধিকার অপসারিত করা হইয়াছে। " চেকের স্থষ্টি নোট স্বাক্টর ক্ষমতা এই সব ব্যাঙ্কের হাত হইতে কাড়িয়া লওয়া হইল বটে, কিন্তু শীঘ্রই নোটের পরিবর্ভে ইহারা অর্থোপার্জনের আর একটি সহজ উপায় উদ্ভাবন করিয়া ফেলিল এবং গচ্ছিত টাকার বিনিময়ে প্রত্যেক আমানতকারীকে একখানা করিয়া পাস-বই ও চেক-বই দিতে আরম্ভ করিল। প্রত্যেক চেক-বইয়ে ২৫le el১• • কিংবা ততোধিক চেক থাকে। আমানতকারী তাহার প্রয়োজনমত বই হইতে এক-একখানা চেক লইয়া তাহ! যথাযথ পূরণ করিয়া পাওনাদারকে দিয়া থাকে। যাহাকে টাকা দিতে হইবে তাহার নাম ও যত টাকা দিতে হইবে তাহার সংখ্যা পূরণ করিয়া আমানতকারীকে তাহাতে স্বাক্ষর করিতে হয় । তাহার স্বাক্ষরের নমুনা পূৰ্ব্বারেই ব্যাঙ্কে রাখা হইয়া থাকে। র্যাহার নামে চেক দেওয়া হয়, তিনি এই চেক ব্যাঙ্কে দিয়া নগদ টাকা লইতে পারেন, কিংবা নিজ নামে ব্যাঙ্কের হিসাবে জমা করিয়া দিতে পারেন। মাসে একবার পাস-বইখানা ব্যাঙ্কে পাঠাইয়া দিলেই কত টাকা জমা ও কত টাকা খরচ হইল এবং কত টাকা উদ্ধৃত্ত (balance ) রহিল তাহ হিসাবে তুলিয়া দেওয়া হয়। আজকাল পাস-বইও পাঠাইতে হয় না—ব্যাঙ্ক হইতেই প্রতিমাসে হিসাব ডাকযোগে পাওয়া যায়। চেক-দাতা ও চেক-গ্রহীতা উভয়ের হিসাব যদি একই ব্যাঙ্কে থাকে, তাহা হইলে টাকাটা এক জনের হিসাবে খরচ ও অপরের হিসাবে শুধু জমা করিয়া লইলেই চলে ; ব্যাঙ্ককে নগদ কোন টাকা দিতে হয় না এবং সেই জন্ত ব্যাঙ্কের নগদ তহবিলের কোনরূপ নড়চড়ও হয় না। কিন্তু যদি চেক-গ্রহীতার হিসাব অন্ত ব্যাঙ্কে থাকে, তাহা হইলে সেই ব্যাঙ্ক চেক-দাতার ব্যাঙ্ক হইতে টাকাটা সংগ্ৰহ করিয়৷