পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ ব্যাঙ্কের কথা enسsty সরকারী তহবিল ইহাতেই রাখা হয় এবং ইহা হইতেই খরচ করা হয়। গবষ্মেন্টের যখন ঋণ করিবার প্রয়োজন হয় তখন তাহার ব্যবস্থাও ইহারাই করিয়া থাকে। ইহারাই দেশের মুদ্রা ও নোট স্বষ্টি ও নিয়ন্ত্রিত করে এবং দেশের স্বর্ণ-তহবিলও ইহাদের নিকটই সঞ্চিত ও গচ্ছিত থাকে। এই ব্যাঙ্ক গবন্মেন্টের সহযোগিতায় পরিচালিত হইলেও যৌথ কারবারের স্থায় সৰ্ব্বসাধারণের অর্থে প্রতিষ্ঠিত এবং গবন্মেন্টের সম্পূর্ণ কর্তৃত্বাধীন মহে। রাজনৈতিক দলাদলি, ঝড়-ঝাপটার বাহিরে থাকিয়া দেশের আর্থিক স্বার্থ রক্ষা করিয়া চলাই ইহাদের মুখ্য কৰ্ম্ম ও মূল নীতি। বিলাতের এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নাম “ব্যাঙ্ক অব ইংলও”। আমাদের দেশে এই প্রকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের অভাব ছিল। দেশবাসীর বহুদিনের আন্দোলনের ফলে সম্প্রতি “রিজার্ত ব্যাঙ্ক অব ইণ্ডিয়া” নামে এইরূপ একটি ব্যাঙ্ক আমাদের দেশেও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করিবার স্থান ইহা নহে। এখানে শুধু এইটুকু উল্লেখ করিলেই যথেষ্ট হইবে যে, পণ্যমূল্য, ব্যবসা-বাণিজ্য ও দেশের আর্থিক অবস্থা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের গতি প্রভৃতির উপর দৃষ্টি রাখিয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ান-কমান নীতি এই কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কই নিৰ্দ্ধারণ করিয়া থাকে। কিন্তু এখানে আমাদের স্মরণ রাখিতে হইবে, অর্থ বলিতে মুদ্রা বা নোটই শুধু বুঝায় না ; ধার বা ‘ক্রেডিট’ মুলে যে বিরাট কাজকৰ্ম্ম আজ দুনিয়ায় চলিয়াছে, তাহাও অর্থেরই সামিল। মুদ্র ও নোট যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক স্বষ্টি করে, তেমনি ‘ক্রেডিট’ স্বষ্টি করিয়া থাকে প্রধানতঃ ব্যবসাদারী যৌথ ব্যাঙ্কগুলি । এই ক্রেডিট বা দাদনের সহিত কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সাক্ষাৎ সম্পর্ক তেমন না থাকিলেও, গৌণ প্রভাব যথেষ্ট রহিয়াছে। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করে যে, যৌথ ব্যাঙ্কগুলি অতিরিক্ত ক্রেডিট বা দাদন দ্বারা নূতন অর্থ স্বষ্টি করিয়া দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও আর্থিক অবস্থার মধ্যে একটা বিশৃঙ্খলার স্বষ্টি করিতেছে এবং নিজেদেরও বিপদ ডাকিয়া আনিতেছে, তাহা হইলে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক এক ধার হইতে কোম্পানীর কাগজ, ট্রেজারি বিল ও অন্যান্য সিকিউরিটি বাজারে বিক্রয় করিতে স্বরু করিবে এবং তখন এই সব সিকিউরিটি ক্রয় করিবার জন্য সৰ্ব্বসাধারণ ব্যাঙ্ক হইতে টাকা তুলিতে আরম্ভ করিবে। বিপদ দেখিয়া অন্যান্য ব্যাঙ্কগুলির তখন দাদন কমান ভিন্ন উপায়াস্তর থাকিবে না। ফলে ক্রেডিট মূলে বাজারে যে অতিরিক্ত অর্থের স্বষ্টি হইতেছিল তাহা প্রতিহত হইবে । পক্ষাস্তরে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক যদি মনে করে যে, যৌথ ব্যাঙ্কগুলি ক্রেডিট দ্বারা যথোচিত অর্থ স্বষ্টি করিতে না পারায় পণ্যমূল্য অত্যন্ত হ্রাস পাইতেছে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষতি হইতেছে, তাহা হইলে ব্যাঙ্ক অব ইংলও আমনই কোম্পানীর কাগজ, শেয়ার ও অন্যান্য সিকিউরিটি খরিদ করিতে আরম্ভ করিবে। ইহার ফলে বাজারে নূতন অর্থের আমদানী হইয়া উহা যৌথ ব্যাঙ্কগুলির অামানত হিসাবে স্থান লাভ করিবে এবং উহাদের নগদ তহবিল বৃদ্ধি করিবে । তখন দাদন দিবার পক্ষে ব্যাঙ্কগুলির আর কোন বাধা বা প্রতিবন্ধক থাকিবে না। তাই বলিতেছিলাম, যৌথ ব্যাঙ্কগুলি ক্রেডিট-স্বষ্টির প্রধান কেন্দ্র হইলেও, এই বিষয়ে ইহার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রভাব বা কর্তৃত্ব হইতে একেবারে মুক্ত নহে। মুক্ত নহে বলিয়াই দেশের প্রয়োজনীয় অর্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যাপারে একটি স্বনিদিষ্ট নীতি ও পরিকল্পনা অনুসরণ করা সম্ভবপর হইয়াছে । যৌথ ব্যাঙ্ক ও তাহার কৰ্ম্মতালিকা প্রত্যেক ব্যবসায়েরই দুইটি দিক আছে। একটি তাহার দেনার দিক, আর একটি তাহার আয় বা সংস্থানের দিক । ইতিপূৰ্ব্বে আমরা ব্যাঙ্কের প্রাথমিক যুগের দেনাপাওনার একটি সহজ হিসাব দিয়াছি। এক্ষণে ষোলটি প্রধান বিলাতী ব্যাঙ্কের দেনাপাওনার হিসাব দিতেছি । উহা হইতে ইহাদের সম্মিলিত অর্থবল ও দেনাপাওনার সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া যাইবে । ১৬টি বিলাতী যৌথ ব্যাঙ্কের সমষ্টিগত হিসাব ( ১৯৩২ সালের ডিসেম্বর পর্য্যন্ত ) {Wጓ! পাউণ্ড সংস্থান পাউণ্ড মূলধন , নগদ প্রাপ্ত ) ৮•• লক্ষ নগৰ তহবিল (ৰা জ্বৰ, রিজার্ভ ৫৫ - লক্ষ ইংলণ্ডে গচ্ছিত টীকা অrন্তু লভ্যাংশ ●●研郊 সহ) a,响·研夺 জামিন ৯৬. লক্ষ শেয়ার মার্কেটে স্বল্প - ২•,৬৪০ লক্ষ cषश्चोर्ध्ौ lनि S,8வை சாத पश्रांश्वांनङ, বিল বা হুঙী খরিদ °v●·研零 কুলি, শিল্প ও ব্যবস-বাণিজ্যের জগু ঋণ দান *,>> • लक कीभ्क्रrांनौब कात्रज्ज s সিকিউরিটি খরিদ ০,২• • লক্ষ রামিনের সিকিউরিটি a●·町军 I্যাঙ্ক-গুহ ও অস্তান্ত সম্পত্তি e • • লক্ষ মোট ২ e, a • • লক্ষ মোট ২৩, • • • লক্ষ প্রথমতঃ দেনার দিক সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা করা wfè I wW« ¢!!!! ( unclaimed dividend) «fw দিলে, এই সব ব্যাঙ্কের দেন প্রধানতঃ চারি প্রকারের। ১ । যে-সব অংশীদারের নিকট হইতে ব্যাঙ্ক তাহার মূলধন জোগাড় করিয়াছে, তাহদের নিকট ঐ মূলধনের নিমিত্ত ব্যাঙ্ক দায়ী। ২। ব্যাঙ্ক তাহার কারবারের লাভ হইতে যে টাকার রিজার্ত তহবিল করিয়াছে তাহার জন্ম সে দায়ী। এই দায় অবগু তাহার নিজের নিকটেই।