\939 ১৭৯৯ সনের শেষভাগে রামমোহন রায় পাটনা, বারাণসী এব অন্যান্য দূর দেশ ভ্রমণে বাহির হইবেন এইরূপ সংকল্প করিয়াছিলেন । কলিকাতায় এমন উন্নতিশীল কারবার আরম্ভ করিবার পরে কেন যে রামমোহন রায় এই সংকল্প করিয়াছিলেন তাহ! লল। সহজ নহে । তাহার অনুপস্থিতে যাঙ্গতে তালুক দুইথাণির শাসন-সংরক্ষণের কার্য্য ভালরূপে চলিতে পারে তজ্জন্য তিনি উহ। রাজাবলোচন রায়ের নামে বিনাম করিয়াছিলেন, অর্থাৎ তাহাকে সাফ কবালা করিয়া দিয়াছিলেন । এই কবালা পারস্য ভাযায় লিখিত ( ১ নং চিত্র ) । কিন্তু রামমোহন রায় এই দলীলে বাংলায় নাম দস্তগত করিয়াছেন শ্রীরামমোহন রায় সাকিম লাঙ্গুড়পাড়া পরগণে বায়ড়া— এই দলীলে রামমোহন রায়ের পিতামহ মুত ব্ৰজবিনোদ রায়ের নাম আছে, এবং দুইখানি তালুকের মোট সদর গুমা লেপা আছে এবং নামত মূল্য ৪•• ১২। এই দলীলের তারিখ ১২০৬ সন, ৭ই পৌষ ( ১৭৯৯ সালের ২০শে ডিসেম্বর ) । বিনামদার রাজীবলোচন রায় রামমোহল রায়ের বিশ্বাসভাজন বন্ধু ছিলেন। তাহার নিবাস ছিল চন্দ্রকোণ পরগণার অন্তর্গত জাড়া মৌজায় । চন্দ্রকোণ সেকালে বৰ্দ্ধমান ( এখন মেদিনীপুর ) জেলার অন্তর্গত। রামমোহন রায় ধগন বিদেশ-ভ্রমণে যাইবার সংকল্প করিয়াছিলেন তখন তাহার কোনও সন্তান ছিল না । সুতরাং বিদেশে তাহার মৃত্যু ঘটিলে তালুক দুইখানি যাহাতে তাহার ভগিনীর একমাত্র পুত্র, তৎকালে দশ-এগার বৎসর বয়স্ক, গুরুদাস মুখোপাধ্যায় পাইতে পারে এই জন্ত রামমোহন রায় রাজীবলোচন রায়ের দ্বারা গুরুপ্রসাদের বরাবরে একখানি একরার-পত্র লেখাইয়া লইয়াছিলেন ( ২ নং চিত্র ) । এই একরার-পত্রে লিখিত হইয়াছে— “মহামহিম ঐযুক্ত গুরুদাস মুখোপাধ্যায় মহাশয় বরাবরেষু। লিখিতং রাজীবলোচন রায় কক্স একরার নামা পত্রমিদং কাৰ্য্যঞ্চ আগে আমী আপনকার অনুমতি ক্রমে ও আপনকার টাকায় লাট রামেশ্বরপুর মোতালকে ২১৮৬৮M১৯, প্রবাসী $N98Nరి পরগনে চন্দ্রকোন ও লাট গোবিন্দপুর মোতালকে পরগনে জাহানাবদ জে দুই লাটের সদর জমা মবলগে ২১৮৬৮%১৯ একুইস গজার আট সত আটসটি তঙ্ক বার আন উনিস গণ্ড ৪০০১ চারি হাজার এক টাকা সিক্কা পণে স্ত্রীরামমোহন রায় তালুকদার হক্টতে ১২০৬ সালের ৭ই পৌষে কোবালা করিয়া আমার আপন নামে আপনকার বিনামীতে খরিদ করিলাম এই দুই লাটের মালিক ও দান বিক্রীর অধিকারী আপনী আমার সহিত কিম্বা অামার ওয়ারিসানের সহিত কিছু এলাকা নাই কোন মিছা দাওয়া আমী ইহাতে করি কিম্বা কেহ করে সে বাতিল এবং মিথ্যা এতদার্থে একরার পত্র লিপিয়া দিলাম ইতি সন ১২০৬ বার সত ছয় সাল তারিখ ৭ সাতএী পৌষ " এই দলীলের সাক্ষীগণের মধ্যে এক জন, শ্রীনন্দকুমার শৰ্ম্ম, সাং রঘুনাথপুর। ইনিই স্বপ্রসিদ্ধ নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কার বা হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী । এই একরার-পত্ৰ সম্পাদিত হইবার পরের বৎসর রামমোহন রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র রাধাপ্রসাদ ভূমিষ্ঠ হইয়াছিলেন । অনুপস্থিতে তালুকরক্ষার এবং উত্তরাধিকারের এইরূপ ব্যবস্থা করিয়৷ ১৮০০ সালের আরম্ভেই বোধ হয় রামমোহন রায় বিদেশ যাত্রা করিয়াছিলেন । কত দিন তিনি বিদেশে ছিলেন তাহা জানা যায় না । বোধ হয় ১২০৮ ( ১৮০১—১৮০২ ) সনে তিনি কলিকাতা ফিরিয়াছিলেন । এই বংসর গোপীমোহন চট্টোপাধ্যায় নামক এক ব্যক্তি তাহার কলিকাতার তহবিলদার নিযুক্ত হইয়াছিল। গোপীমোহনের জবানবন্দীতে ১৮০১ হইতে ১৮১৪ সাল পৰ্য্যন্ত রামমোহন রায়ের কলিকাতার কারবারের কিছু সংবাদ পাওয়া যায়। কলিকাতায় রামমোহন রায়ের স্থায়ী দপ্তর বা গদি ছিল। ১২০৯ সনে ( ১৮৪২ সালে ) রামমোহন রায়ের আদেশমত গোপীমোহন Bätortosta totă şgoté (Thomas Woodforde ) নামক কোম্পানীর এক জন সিভিল কৰ্ম্মচারীকে ৫০ • •২ পাচ হাজার টাকা ধার দিয়াছিলেন । এই উডফোর্ড সাহেবের সহিত পরিচয়ের ফলে রামমোহন রায়ের চাকরী আরম্ভ হইয়াছিল। উভফোর্ড সাহেব ঢাকাজালালপুরের (ফরিদপুরের ) অস্থায়ী , কালেকুটার
পাতা:প্রবাসী (ষট্ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।