পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8SS9 Sళిfశాలి বছর গায়ে দিলেও ময়লা হত না বোধ হয়। শালখানা শীতের শেষে কাচিয়ে রাখতে হয়, তাই গত বছর কাচিয়েছিলাম। না কাঁচালেও কেউ বিশ্বাস করত না ষে সারা শীতের ব্যবহার। কি করে ষে বাবা পারেন ?” মহামায়া স্বধার সিন্ধের ব্লাউসে ছক টাকিতে টাকিতে বলিলেন, “যার ভাল হয় তার সবই ভাল । আমি ত বাপু দিবারাত্রি রাজসিংহাসনে বসে আছি, তবু আমন ক’রে জিনিব রাখতে পারি কই ? গায়ের থেকে জামা কাপড় নামিয়ে পাট না করে উনি কখনও আলনায় পৰ্য্যস্ত রাখেন না ।” পাশের বাড়ীর মণ্ডলগুহিণী তালপাতায় বোন ব্যাগে করিয়া উলকাটা লইয়া বেড়াইতে বাহির হইয়াছেন, ছুপুরবেল পাড়াপড়শীর বাড়ী একবার তাহার যাওয়া চাই । প্রথম প্রথম মহামায়ার কাছে পাড়ার গিরিরা বড় আসিতেন না, কিন্তু হঠাৎ যখন মণ্ডলগুহিণী একবার আবিষ্কার করিয়া বসিলেন যে মহামায়া মানুষটা বেশ গল্পে, তখন প্রত্যহ তাহার কাছে একবার করিয়া হাজিরা দেওয়া মণ্ডলগুহিণীর বাধা নিয়ম হইয়া উঠিল। কারণ এই মানুষটিকে বাড়ীতে আসিয়া অনুপস্থিত কখনও দেখা যাইবে না তাহা সকলেই জানিতেন । সুধা তালপাতার ব্যাগের দিকে তাকাইয়াই ভীত স্বরে বলিল, “ও মাসিম, আপনার ছেলেরা যে সব কলেজে পড়া স্বরু করে দিল, আপনি আবার উল বুনছেন কার जरक्क ?” মণ্ডলগুহিণী বলিলেন, “ওর কি আর জন্তে টম্ভে আছে মা ? হাতটা নাড়লে মনে সাজন হয় যে একটা কাজ করছি ; ভার পর জমা ক’রে রাখলে একে তাকে দিতে কত কাজে লেগে যায়। লোকলেীকুতাও ত আছে । ঐ দেখ না, তোমার মাও ত টুকটাক ক’রে হাত চালাচ্ছেন।” হাসিয়া মহামায়া বলিলেন, “টুকটাক নয় ভাই, চটপট, মেয়ের ব্লাউস তৈরি হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বরে বেড়াতে যাবে, ছুটোছুটির কাজগুলো জামার ও সেরে ফেলছে, আমি ওর হাঙ্ক কাজগুলো করে দি ” न्ख्न ७कüी भरब्रव्र अंक नाहेब थ७णश्रूहिनै खेत्रह्मैौव হইয়া বলিলেন, “তাই নাকি ? কার সঙ্গে যাচ্ছে গে৷ ” মহামায়া বলিলেন, “ওই ওর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই যাবে আমাদের স্থধীন-বাৰু আছেন, ছোটর সঙ্গে ছোট আব বড়র সঙ্গে বড়। তিনিই নিয়ে যাবেন, তবে যোগাড় যাগ করছে রণেন পালিতের মেয়ে হৈমন্ত্ৰী। স্থধাকে যে ভয়ান ভালবাসে । ওকে ছাড়া এক পা কোথাও যেতে চী नीं ।” মগুলগৃহিণী বাকা হাসি হাসিয়া বলিলেন, “ভালবাে ভালই, তবে মেয়ে না ভালবেসে ছেলে ভালবাসলেই বে: কাজ হত । বড়মানুষের প্রথম ছেলে ! আমাদের ক্রীশ্চা ঘর হ'লে লুফে নিত, তোমাদের আবার বামুনের জাত এ স্বা।” মহামায়া ঈষৎ বিরক্ত হইয়া বলিলেন, “ছেলেমানুষের সামনে কি যে ছাইভন্ম বকছ ভাই, তার ঠিক নেই মা-মাসির সম্পর্কও কি ভুলে গেলে ?” মণ্ডলগুহিণী সে কথার জবাব না দিয়া বলিলেন, “স্বধা বস্তু হয়েছে, এখন আর ঘরে-তৈরি জামা কাপড় পরিয়ে বাইরে পাঠিও না, ভাই। দরজি ডাকিয়ে মাপসই সব কাপড়চোপড় করাবে। যেখানে বাইরের পাচটা লোক আসে সেখানে দশ জনে দেখে ভাল বলে এমন ক’রে ত মেয়েকে পাঠানো উচিত ? মেয়েছেলেকে শুধু লেখাপড়া শেখালেই মানুষ হয় না, আরও অনেক জিনিব শেখানে চাই ।” এই বলিয়া তিনি মহামায়ার দিকে চোখ টিপিয়া একটা ইসার করিলেন—অর্থাৎ কাহার কখন স্থনজরে এ-বয়সের মেয়ের লাগিয়া যায় তাহার ত ঠিক নাই, মনোহরণ-বিদ্যার প্রথম ধাপ ষে প্রসাধন, সে কথা এখন আর জুলিয়া থাকা চলে না। মহামায়া ইসার বুঝিয়াও গায়ে না মাখিয়া বলিলেন, “হ্যা, বড়লোকের মেয়ের সঙ্গে গেলে গায়ে গরীবের মার্ক অত স্পষ্ট করে না মেরে যাওয়াই ভাল। সমানে সমানে মিশতে পারলেই মানুষের মান থাকে। তবে আমি ত জেলখানার কয়েদী, ঘরের বাইরের পৃথিবীটা কতদিন চোখে দেখি নি, কাজেই কোনখানে যে কি বেমানান হচ্ছে সব সময় বুঝতে পারি নে। মেয়েটাও বেশী সৌধীন নজর নিয়ে जग्रांब्र नि, ७ढे दणजर्चौ भिरणब्र कांनफ़ गtब्रहे छ कवल्लग्न এখানে কাটিয়ে ছিল। একটা হাবড়া হাটের কাপড় তাও ওকে সেখে পরাতে হয়। শুনছিল ত জুধ, পিসি ত পূজোতেও