পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوالاج3 প্রবাসী きNごENご ভাবিতেও স্বধার ভয় হয়। স্বশোভন কি অশোভন কোনও ভাবেষ্ট মানুষের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করা বিষয়ে তাহার একটা সঙ্কোচ ছিল। মগুলগৃহিণীর কৌতুহল তখনও মিটে লাই, সছুপদেশ দিবার ইচ্ছাও তেমনই ছিল । তিনি বলিলেন, “গিন্নিবান্ত্রি ত সঙ্গে কেউ যাচ্ছে না দেখছি, শুধু একপাল মেয়ে নিয়েষ্ট সুধীন-বাৰু যাবেন, না ছেলেছোকরাও থাকবে ?" মহামায়াবলিলেন, "ছেলেরাও কেউ কেউ আছে শুনেছি। তবে সবই ওদের চিরকালের চেনাগুনো। আমরা এখানে বেশী দিনের ত মানুষ নয়, আমাদের কাছে একটু নৃতন বটে।” মণ্ডলগুহিণী কি একটু ভাবিয়া বলিলেন, “আমার ছেলেদের ও সব বালাই নেই । তারা ক্রিকেট, ফুটবল আর হকি নিয়েই মেতে আছে । মা ছাড়া কোনও মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখলাম না আজ পর্যাস্ত। বড়টা উনিশ বছরের হ’ল, এখনও মা না হ’লে খাবে না ঘুমোবে না, যতক্ষণ বাড়ী থাকে আমারই পিছন পিছন ঘোরে । মেয়ে তোমার সব বোঝেসোঝে ত ? একলা ত দিব্যি ছেড়ে দিচ্ছ ?” মহামায়া বলিলেন, “তোমার এক কথা ভাই ! জানবার বোঝবার কি আছে ? দল বেঁধে পাচজনের সঙ্গে い国守。 বেড়াতে যাচ্ছে, তারা ত কেউ বাঘ ভাল্লুক নয় যে ওকে খেয়ে ফেলবে ।” মণ্ডলগুহিণী বলিলেন, “থাকৃ, আমার অত কথায় কাজ কি ? তোমার ছাগল তুমি যেদিক দিয়ে খুনী কাট!” মণ্ডলগুহিণী ব্যাগ গুছাইয়া বাড়ী চলিয়া গেলে স্বধা চুল বধিতে বাধিতে ভাবিতেছিল, পৃথিবীট স্বন্দর, কিন্তু তাহার তলায় তলায় কি যেন কি একটা রহস্তের ধারা বহিয়া যাইতেছে। কেউ ইঙ্গিত করে কালো কুৎসিত ভয়ঙ্কর কি একটা রহস্য পৃথিবীর সুন্দর মুখোসের আড়াল হইতে উকি মারিতেছে, কখন না জানি উপরের সমস্ত সৌন্দৰ্য্যকে গ্রাস করিয়া ফেলিবে । কেউ বা গানের স্বরের ভিতর দিয়া বলে, এই সৌন্দয্যের অস্তরালে আরও কত অ-স্ত সৌন্দয্যের খনি রহস্তগভীর গোপন অন্ধকারের তলায় রহিয়াছে, মাঝে মাঝে শুধু নিমেষের মত তাহ দেখা যায়। মধার মনটাও বলে, পৃথিবী রহস্যময়ী। একবার তার আন্তরালের অন্ধকার তমিস্রার স্রোত বুকে ভয়ের কপিল আনিয়! দেয়, আবার তার চকিতের দেথা সোনালী আলোর শ্ৰোত বলে, মিথ্য ও অন্ধকার, মিথ্য ভয় ভাবন । তখন ইচ্ছা করে, চোখ বুজিয়: ছুটিয়া চলিতে ঐ নী-দেপা রহঙ্গপুরীর আনন্দের সন্ধানে । ቖቕ“:: তুমি ভালবাসো নীল শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্যা তুমি ভালবাসো নীল, ভালবাসে প্রিয়ার মতন ; গোলাপী-কোমল তনু ধেরি তুমি পর নীল শাড়ী, অপরাজিতার মত স্বমন্থণ স্থনীলিমা তারি,— সে নীলের স্নিগ্ধ কাস্তি কলাপীর কামনার ধন । কাজল কালির মত নীলা রাত্রি ভালবাসে তুমি, ভালবাসো আকাশের সীমাহীন প্রশাস্ত নীলিমা, ভালবাসে সমুদ্রের স্থবিশাল ঘন কাজলিম, ভালবাসো অরণ্যের ছায়াঘন নীলা বনভূমি। আমিও তোমাবি মত সবচেয়ে নীল ভালবাসি, যে নীল তোমার তন্ম জড়াখেছে স্নেহ-আলিঙ্গনে, যে নীল নয়ন-কোণে কঁাপিতেছে প্রণয়-অঞ্চলে, যে নীল কিশোরী-মনে লক্ষ রূপে উঠিছে উদ্ভাসি । আমি কেন পাই নাই আকাশের নীলিমার কণা ? স্বনীল সাগরে কেন হই নাই সলিল-কুমার ? বনরাজি কেন হায় হ’ল নাকে নিলয় আমার ? রজনীর কাজলিমা কেন মোরে ধিরে রহিল না ? তুমি যদি ভালবাসে আকাশের সাগরের নীল কেন তার এক কণা মোর মাঝে দিল না নিখিল ?