পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষিকাৰ্য্য-পরিচালনার আধুনিক প্রণালী শ্ৰীসত্যপ্রসাদ রায়চৌধুরী, ডি-এসসি জলসেচনের ও জলনিকাশের ব্যবস্থা উদ্ভিদের উৎপত্তি ও পুষ্টিসাধনের জন্ত জমিতে উপযুক্ত পরিমাণে জল রক্ষা করা আবশ্যক। বিভিন্ন মুত্তিকার ছিদ্রের প্রকৃতি-বিশেষে জলধারণশক্তিও বিভিন্ন। যে মৃত্তিকার দানা বড়—যেমন বেলেমাটি—তাহার ছিদ্রও তত বেশী বড়। এইরূপ মৃত্তিকার জলশোষণশক্তি অপেক্ষাকৃত বেশী, কিন্তু জলধারণশক্তি অত্যন্ত কম, কারণ স্থল ছিদ্রের ভিতর দিয়া জুল আতি সহজেই উপরের স্তর হইতে নীচের স্তরে প্রবেশ করিতে পারে। পক্ষাস্তরে, মুত্তিকার দানগুলি যদি খুব ছোট হয়—যেমন এটেল মাটি—তবে তাহার জলশোষণ করিবার শক্তি অপেক্ষাকৃত কম হয়, কিন্তু জলধারণ করিবার শক্তি খুব বেশী থাকে । মুক্তিকায় সঞ্চিত জলের কতক অংশ বাস্প হইয়া উপরে চলিয়া ঘায়ু এবং এই জন্ত অপেক্ষাকৃত অল্প সময়ের মধ্যে বেলেমাটির মধ্যস্থিত জলরাশি নিঃশেষিত হয়। কিন্তু এটেল মাটির ছিদ্র ছোট বলিয়া উহা হইতে বাম্পের আকারে জলশোষণ অপেক্ষাকত সময়সাপেক্ষ । মুত্তিকার মধ্যস্থিত জল কৈশিক আকর্ষণ-শক্তি দ্বার। (capillarity) উদ্ভিদের মূলের সন্নিকটে উপস্থিত হয় এবং উদ্ভিদ তাহ মূলদ্বারা নিজের আবশ্বকমত গ্রহণ করে। এইরূপে গৃহীত জলরাশির কিয়দংশ উদ্ভিদের শরীর হস্ততে বাস্পাকারে উদগত হয় । মুণ্ডিকা ছোট ছোট দানাযুক্ত হইয়৷ চুণিত অবস্থায় থাকিলে তাহার মধ্যে কৈশিক আকর্ষণশক্তি বিশেষ প্রবল থাকে এবং এই জন্যই কর্ষণের দ্বারা ক্ষেত্রের বড় বড় ঢেলাগুলিকে ছোট ছোট দানার আকারে পরিণত করিতে পারিলে উদ্ভিদ অতি সহজেই পুষ্টিলাভ করে। বলা বাহুল্য, প্রত্যেক উদ্ভিদ তাহার মূলের প্রসার অন্তৰ্যায়ী মৃত্তিকার বিভিন্ন স্তর হইতে জল আকর্ষণ করে। উপরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হইতে প্রতীয়মান হইবে যে উদ্ভিদের পুষ্টিসাধনের জন্য জমিতে কি পরিমাণে জলসেচল করা দরকার, তাহ উদ্ভিদের এবং জমির প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে। এই সম্বন্ধে নানা দেশে প্রচুর গবেষণা হইয়াছে এবং হইতেছে। ক্ষেত্রে যে পরিমাণের কম জল থাকিলে উদ্ভিদের মূল তাহ মৃত্তিকা হইতে শোষণ করিতে সমর্থ হয় ন, তাহাকে উদ্ভিদের বিশীর্ণ-সীমা ( wilting point ) বলে । পক্ষাস্তরে যে পরিমাণের অতিরিক্ত জল ক্ষেত্র ধারণ করিতে পারে না, তাহাকে ক্ষেত্র-জল (field capacity) বলে । ক্ষেত্রে সেচিত জলরাশি সকল সময়েই এই দুই পরিমাণের মধ্যে নিৰ্দ্ধারিত হওয়া দরকার । কারণ মৃত্তিকার মধ্যস্থিত জলের পরিমাণ বিশীর্ণ-সামার কম হইলে উদ্ভিদের মূল তাহ গ্ৰহণ করিতে পারে না এবং ক্ষেত্র-জলের অধিক জলের কতকাংশ পয়ঃপ্রণালীযোগে ক্ষেত্র হইতে নিষ্কাশিত হক্টয়া যায় এবং কতকাংশ মৃত্তিকার মধ্যে প্রবেশ করে । হইলে ঐ জমিতে জলসেচনের ব্যবস্থা করিতে হইলে শস্যোৎপাদনের জন্ত কি পরিমাণ জল দরকার, তাহার একটা মোটামুটি ধারণ থাক; যে কি বিপুল পরিমাণ জল ব্যবহৃত হয় তাহ নিম্নের তালিকায় দেখান গুগুল ।* বিবিধ শস্য এক মণ শুষ্ক পদার্থ উৎপাদন করিতে কয় মণ জলের প্রয়োজন मृु 歌9 এই 权。8 ভুটা ≤ግ : মটরকলায় ፀፃፃ ఢాt { S = { জমিতে জলসেচন করার সময়ে দেখা দরকার যাহাতে অনেকটা জল এক স্থান হইতে অন্ত স্থানে দ্রুতবেগে ণ যায়, কারণ তাহাতে জলের স্রোতে জমির মূল্যবান সারপদার্থগুলি জমি হইতে নিষ্কাশিত হইয়া ধায়। ফলতঃ, সেচনকালে জল • F. 11. King ore Irriga/ion and Drainage (EI. 1{ll:; ) अप्इब्र s७ शृठे हश्ठ शृशैठ ।