পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

l --اے-السـ --মাম্ব ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের ধৰ্ম্মমত ●の、こ জলা জমি হইতে জলনিকাশ করিয়া ক্রমে ঐ সকল অঞ্চলকে বাসোপযোগী ও শস্তোৎপাদনের অনুকুল করা হইয়াছে। ঐ সকল উদ্যমের সাফল্যের মূল কারণ জনসাধারণ দ্বারা গঠিত বিবিধ সমবায়-সমিতির অক্লান্ত চেষ্টা ও অধ্যবসায়। আমেরিকায় ও ক্যানাডাতে ১০০,০০০ বর্গমাইলের অধিক বিস্তীর্ণ জলাভূমি ছড়াঙ্গয়া আছে। এই সকল স্থান হইতে জল বাহির করিয়া ভাল ফসল উৎপাদন করার চেষ্টা ধীরে ধীরে প্রসার লাভ করিতেছে। পৃথিবীর জনসংখ্যা যেরূপ দ্রুতগতিতে বাড়িতেছে তাহাতে জনসাধারণের মুখস্বাচ্ছন্দোর জন্য উর্বর ও বাসোপযোগী জমির পরিমাণ বদ্ধিত কর নিতান্ত আবশুক। আমাদের বাংলা দেশে নীচু জমি ও বিলের অভাব নাই। বলা বাহুল্য, অতিরিক্ত জল বাহির করিয়া দিলে এই সকল স্থানে উৎকষ্ট ফসল উৎপন্ন হইবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা আছে। ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকারের ধৰ্ম্মমত শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ বস্থ জগতের প্রায় সৰ্ব্বত্র বিজ্ঞানব্রতীদের ভগবদ্ধক্তি বিষয়ে লোকে সন্দেহ প্রকাশ করিয়া থাকে। ভারতগৌরব বিজ্ঞানগতপ্রাণ মনীষী ডাক্তার মহেন্দ্রলাল সরকার মহাশয়ের ভগবস্তুক্তি বিষয়েও দেশের লোকে সন্দেহ প্রকাশ করিত। অনেকে তাহাকে হিন্দুধর্মের বিদ্বেষী এবং কেই কেষ্ট নাস্তিক বলিতেন। কিন্তু তাহার সহিত যাহারা ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশিবার স্থযোগ পাইয়াছিলেন, তাহার। সকলেই জানিতেন যে, ডাক্তার সরকার একজন প্রকৃত ভক্ত ছিলেন । ঈশ্বরে তাহার দৃঢ় বিশ্বাস ও ভক্তি ছিল, জীবনের প্রত্যেক কাব্যে তিনি ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ প্রার্থনা করিতেন। বিজ্ঞানের আলোচনা করিয়া তিনি কখনও ঈশ্বরের অস্তিত্বে অবিশ্বাস করেন নাই, বরং অনন্তশক্তি জগৎশ্রষ্টার অপার মহিমায় অধিকতর আকৃষ্ট হইয়াহ পড়িয়াছিলেন । মহেন্দ্রলাল যথন কলেজের ছাত্র, সেই সময় তাহার অভিভাবক কনিষ্ঠ মাতুল মহাশয় তাহাকে পাদরি মিলনার ( Rev. Milnor ) প্রণীত “টুর রাউণ্ড দি fossa” (Tour Round the Creation ) of No একখানি পুস্তক পাঠ করিতে দেন। ইহাতে নানাবিধ বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব আলোচিত ছিল । মহেন্দ্রলাল র্তাহার স্বাভাবিক অধ্যয়ন-স্পৃহার সহিত পুস্তকথানি পাঠ ও আয়ত্ত করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। তিনি যতই পাঠ করিতে লাগিলেন, ততই তাহার কৌতুহল বদ্ধিত ও জ্ঞা-লালস উদ্দীপিত হইতে লাগিল । স্পষ্ট পদার্থের বং ত্ব ও বিশালত্ব এবং জগৎশ্রষ্টার অন্তপম শক্তি ও কৌশল চিস্ত করিয়া তাহার তরুণ-হৃদয় বিস্ময়ে অভিভূত ইষ্টয়া পড়িল । পুস্তকপানির একস্থলে স্বৰ্য্য সম্বন্ধে সর উইলিয়াম হাশেলের মত উদ্ধৃত করিয়া লিখিত ছিল যে, “আমাদের বাসভূমি এই পৃথিবী যেমন স্বর্ঘ্যের চতুৰ্দ্দিকে পরিভ্রমণ করিতেছে, তেমনই এই গ্ৰহ-উপগ্রহসম্বলিত সৌরজগৎ অন্য কোন বৃহত্তর সূর্য্যের এবং তাহাও হয়ত অপর কোন মহাস্বয্যের চতুদিকে পরিভ্রমণ করিতেছে।” মহেন্দ্রলাল বলিয়াছিলেন—“যখন আমি এই অংশটি পাঠ করিলাম, তখন আমার মনের ভাব যে কিরূপ হইয়াছিল, তাহ। এক্ষণে প্রকাশ করিবার সাধ্য আমার নাই। আমার মনে হইলে, জগতত্বের একটি পুঢ় রহস্ত আমার নিকট সহসা প্রকাশিত হইল। স্বৰ্য্য যদি বৃহত্তর সূর্ষ্যের এবং তাহাও যদি তদপেক্ষা আরও বৃহৎ কোন সূর্ঘ্যের চতুদিকে ভ্রমণ করে, তবে এই সমগ্ৰ ব্ৰহ্মাণ্ড হয়ত সেই অনন্ত শক্তি, মহামহিমময় জগৎশ্রষ্টার সিংহাসনের চতুদ্ধিকে ভ্রমণ করিতেছে। ভাবের উচ্ছ্বাসে অামি নিৰ্ব্বাক হইলাম এবং মনের সেই অবস্থায় নগ্নপদে ও নগ্নগাত্রে মাতুল মহাশয়দিগের গৃহ হইতে নেবুভলার গীর্জা পৰ্য্যন্ত অনবরত