পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাঘ পিতা-পুত্ৰ (Svరి ১৭৯১ সনের মে মাসে ( ১১৯৮ সনের গোড়ায় ) যখন তুরস্কট পরগণা রামকাস্ত রায়কে ইজারা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় তখন এই সঙ্গে আরও তিন খানি খাসমহাল আর তিন জন প্রার্থীকে ইজারা দেওয়ার প্রস্তাব করা হইয়াছিল। বৰ্দ্ধমানের কালেক্টর ( I. Mercer ) বোডের নিকট তাহার ১৭৯১ সালের ১লা মে তারিখের চিঠিতে রামকান্ত রায় এবং আর তিন জন প্রার্থী সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, Four of the most responsible nuen of the Distric!. জেলার সর্বাপেক্ষ দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন লোকের মধ্যে চারিজল ।” পূৰ্ব্বে বড় বড় খাসমহাল ইজারা লইয় এবং নিয়মমত সদর জমা পরিশোধ করিয়াই অবগু রামকস্ত রায় এই খ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন । এইরূপ একজন ইজারাদারকে যে জেলার লোক ধনী মনে করিবে ইহাতে আশ্চৰ্য্যাপ্তিত হইবার কোনও কারণ নাই । তাহার মত ধনী ব্যক্তি কেন ৫৬ হাজার টাকা দিয়া পুত্রকে কারামুক্ত করেন না তাহ লোক বুঝিতে পারিত না । কাজেই সন্দেহ করিত, বৰ্দ্ধমানের রাজা পাছে হরিরামপুর তালুক ক্রোক করিয়া পাওলা আদায় করে এই জন্য জগমোহন রায় মহালের রাজস্ব বাকী ফেলিয়া কারাবরণ করিয়াছিলেন । এই সন্দেহের কারণ স্বরূপ কালেক্টর সাহেব উপরে উদ্ধত ইংরেজী চিঠিতে বলিতেছেন— আমি জানিতে পারিয়াটি এই লোকের (রামকান্ত রায়ের ) নিকট বৰ্দ্ধমানের রাজার অনেক টাকা পাওন আছে, এবং এই দেনার জন্য সরকারী রাজস্থের দেনাদার তাহার পুত্র ( জগমোহন রায় ) গুণমান আছেন । কিছুকাল পূর্বে বৰ্দ্ধমানের রাজা বৰ্দ্ধমানের দেওয়াণী আদালতে পিতা পুত্রের উপর টাকার ডিক্ৰী পাইয়াছেন। লোকে অনুমান করে ( ' is supposrd ), চিত্বয় পরগণায় জগমোহন রায়ের যে তালুক ( হরিরামপুর ) আছে তাহ যাহাতে বৰ্দ্ধমানের রাক্তার ডিগ্রীর টাকার * †ats os a vita (to prevent the sale of the lands) এইজন্য ইচ্ছা পুৰ্ব্বক সদর গাজন বাকী ফেলিয়াছেন। তিনি (গুগমোহন রায় ) সঙ্কল্প করিয়াছেন, যত দিন না বৰ্দ্ধমানের রাজার সহিত র্তাহার দ্বাধী সম্বন্ধে একটা রদ করিতে পারেন ততদিন তিনি জেলে থাকিবেন । যে মুহূৰ্ত্তে এই রফা হইবে তৎক্ষণাৎ তিনি ( জগমোহন রায় ) বাকী রাজস্ব শোধ করিবেন, তাহার পূৰ্ব্বে করিবেন না। কালেক্টর সাহেব যে লৌকিক অল্পমান এখানে সমর্থন করিয়াছেন তাহাতে একটি ছিদ্র আছে । সেই ছিদ্রটি এক্ট, o છે t Board of Revenue. Proceedings, 2nd May, 1791. No. 29. হরিরামপুর তালুক নীলাম হইতে রক্ষা করাই যদি জগমোহন রায়ের উদ্দেশু হুইত তবে তিনি তজ্জন্য যে উপায় অবলম্বন করিয়াছিলেন তাহা অত্যন্ত বিপজ্জনক । বাকী রাজস্বের জন্যই এই তালুক নীলাম হইয়া যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল । পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, এই তালুকের এক মৌজা, সোমনগর, নীলামে বিক্রয় হইয়াছিল, এবং বাকী অংশ যে নীলামে বিক্রয় হয় নাই তাহার কারণ সরকারের আশঙ্ক । সরকার নীলামে উপযুক্ত মূল্য পাইবার আশা করেন নাই বলিয়া তালুকের বাকী অংশ নীলামে উঠান নাই। পূৰ্ব্বেই উক্ত হইয়াছে, ১৮৭১ সালের মই মে যখন সমস্ত হরিরামপুর তালুক নীলামে উঠান হইয়াছিল, তখন উছার জন্য কেহ ২১০০ টাকার বেশী মূল্য দিতে চাহে নাই। সে বাহাই হউক, এই লৌকিক গুজবের উপর নির্ভর করিয়া কালেক্টর সাহেব ১৮০৩ সালে বোর্ডকে স্বপারিশ করিয়া পাঠাইলেন, যত দিন না বাকী টাকা আদায় হয়, তত দিন জগমোহন রায়কে জেলে আবদ্ধ করিয়া রাখা হউক। বুেড় এই স্বপারিশ মঞ্জুর করিলেন। তারপর ১৮০৩ সালের ফেব্রুয়ার মাসে অথবা মার্চ মাসের গোড়ায় জগমোহন রায় এই মৰ্ম্মে এক আবেদন করিলেন, তাহার আর কোন প্রকার সম্পত্তি নাই । তাহার পিতা রামকান্ত রায় বদ্ধমানের রাজার নিকট অনেক টাকা ধারে ( very much in debt ) l q{\to রাজা হুগলীর দেওয়ানী আদালতে রামকাস্ত রায়ের বিরুদ্ধে পাওলা টাকার জন্য নালিশ করিয়া ডিক্ৰী করিয়া কিছুদিন র্তাহাকে হুগলীর দেওয়ানী জেলে আবদ্ধ রাখিয়াছিল এবং তার পর বদ্ধমানের জেলে বদলী করিয়াছে, কিন্তু তাহার দারিদ্র্য বশত: কিছুক্ত আদায় করিতে পারে নাই। স্বতরাং আবেদনকারী ( জগমোহন রায় ) প্রার্থনা করিতেছেন যে তাহার নিকট নগদ ৫০০২ টাকা লক্টয়, এবং বাকী টাক আদায় করিবার জন্য ছয় বৎসরের কিস্তিবন্দীর অল্পমতি দিয়া তাহাকে খালাস দেওয়া হউক । মেদিনীপুরের কলেক্টর ( Mr. T, II. Ernst, ) জগমোহন রায়ের আবেদনের নকল সহ বৰ্দ্ধমানের কালেক্‌টারের নিকট ১৮০৩ সালের ২৫শে মার্চ এই বিষয়ে অনুসন্ধান করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া চিঠি লিথিয়া পাঠাইলেন । এই চিঠির উত্তরে কালেক্টর (W. Parker) ৩০শে মার্চ লিখিয়া পাঠাইলেন یہی تھا হকতে