পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Nご* ডিগবী সাহেল যশোহরের অস্থার কালেক্টরের কার্য্যভার গ্রহণ করিয়াছিলেন, এবং তিন সপ্তাহ পরে ( ১৮৪৮ সালের ১৫ষ্ট জানুয়ারী ) ভাগলপুরের রেজিষ্টার নিযুক্ত হইয়াছিলেন । কয়েক মাস ভাগলপুরে কাজ করিয়া আবার তিনি যশোহরে বদলী হইয়াছিলেন, এবং ১৮০৯ সালের ৩০শে জুন রংপুরের কালেক্টর নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ডিগবী সাহেবের সঙ্গে রামমোহন রায় যশোচর, ভাগলপুর এবং শেষে রংপুর গিয়াছিলেন । ১৮০৩ গুঙ্গতে ১৮০৯ সালের মধ্যে রামমোহন রামু চারি খালি পত্তী তালুক পরিদ করিয়াছিলেন । ১৮১০ সনে ( ১৮০৩-০৪ সালে ) তাহার নায়ের জগমোহন মজুমদারের দ্বারা তিনি বায়াড় পরগণার অন্তর্গত লাঙ্গুড়পাড়। তালুক খরিদ করিয়াছিলেন । বোপ হয় ইঙ্গার কিছু কাল পরে, উক্ত মজুমদারের লোগে, ৭১৫২ টাকা মূল্যে ভুরসুট পরগণার অন্তর্গত শ্রীরামপুর নামক পন্তনী ভালুক গfরদ করা হইয়াছিল। ১২১৫ সালে (১৮০৮-০৯ সালে) রামমোহন রায় রাজীবলোচন রায়ের নামে জাহানাবাদ পরগণার অস্তগত বীরলোক নামক পত্তী তালুক, এবং ১২১৬ সনে ( ১৮০৯১০ সালে ) ঐ পরগণার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর নামক পত্তণী তালুক খরিদ করিয়াছিলেন । গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের কৰ্ম্মচারী এবং গোবিন্দপ্রসাদ রায় বনাম রামমোহন রায় মোকদ্দমায় তাহার পক্ষের সাক্ষী বেচারাম সে- তাহার জবানবন্দীতে এই চারিপানি তালুকের সদর-জম এবং মূল্যের এই প্রকার হিসাব দিয়াছেন— তালুকের নাম সদর-জম! भूलI লাঙ্গুড়পাড়া প্রায় ৬০ ০২ --- শ্রীরামপুর Է էր ս օ -, ১৩০ e~ বীরলোক S४० ० ०९ ১১ ০০ ০২ কৃষ্ণনগর a - ۹ بچه ه د তার পর বেচারাম সেন বলিয়াছেন, এই চারিখানি তালুক হইতে রামমোহন রায় মোট পাস-ছয় হাজার টাকা মুনাফা পাইতেন । বেচারাম সেন কিছু দিন রামমোহন রায়ের দপ্তরের মোহরের কায্য করিয়াছিলেন, এবং তাহার পূৰ্ব্বে রাজীবলোচন রায়ের দপ্তরের মোহরের ছিলেন। ও রামমোহন রায়ের জবাব । প্রবাসী SN989 স্বতরাং এই সকল বিষয়ে খবর পাইবার তাহার সুযোগ ছিল । কিন্তু মূনাফার হিসাব দেখিতে গেলে বেচারাম সেন তিনখামি তালুকের যে-মূল্য উল্লেখ করিয়াছেন তাহা অভ্যধিক বলিয়া মনে হয়। রামমোহন রায়ের জবাবের সহায়তায় বেচারাম সেনের একটি ভুল সংশোধন করা যাইতে পারে । এই জবাবে উক্ত হইয়াছে, রামপন চট্টোপাধ্যায়ের নিকট হইতে শীরামপুর তালুক সিঙ্ক ৭২৫২ মূল্যে খরিদ করা তষ্টয়াছিল। বেচারাম সেন বলিয়াছেন শ্রীরামপুরের মূল্য ১৩০০ - টাকা । রামমোহন রায়ের জবাবে আর তিনখানি তালুকের মূল্য উল্লিখিত হয় মাষ্ট । কৃষ্ণনগর এবং শ্রীরামপুর তালুকের মূল্যের টাকা দেওয়া সম্বন্ধে বেচারাম সেন বলিয়াছেন, এক্ট টাকা সাক্ষীর ( বেচারাম সেনের ) সাক্ষাতে লাঙ্গুড়পাড়! তহঁতে বৰ্দ্ধমানে পাঠান হইয়াছিল ( money was despatched to Burdwan from Langulparuh in the praesence of him this deponent ) i বীরলোক ভালুকের মূল্যের টাকা সঙ্গন্ধে লেচারাম সেন বলিয়াছেন, “আমার সাক্ষাতে জগন্নাথ মজুমদার কতক টাকা রামমোহন রায়ের নগদ তহবিল হইতে ( partly out of the funds in his hands belonging to the said Ramniohun Roy ) fotfrīzi, qe zrzą stą রামমোহন রায়ের নামে পার করিয়া দিয়াছিলেন " (partly with money which he borrowed on the credit of the said Rammohun Roy) ১৮০৯ সালের ২০শে অকৃটোবর ডিগবী সাহেব রংপুরের স্থায়ী কালেক্টর নিযুক্ত হইয়াছিলেন । ১৮০৯ সনের নবেম্বর মাসের গোড়ায় রংপুরের কালেক্টরীর দেওয়ানের পদ খালি হওয়ায় ডিগবী সাহেব রামমোহন রায়কে ঐ পদে অস্থায়ী ভাবে নিযুক্ত করিয় ঐ নিয়োগ অনুমোদন করিবার জন্য ৫ই নবেম্বর রেভিনিউ বোর্ডকে একখানি চিঠি লিখিয়াছিলেন । এই চিঠিতে রামমোহন রায়ের যোগ্যতার এইরূপ পরিচয় দেওয়া হইয়াছে— A man of very respectable family and excellent education ; fully competent to discharge the duties of such an office, and from a long acquaintance with him I have reason to suppose