পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ সঞ্জllছল ৷ বদ্ধমানের কালেক্টর (Mr Y. Burges ) ১৭৯৯ সালের ১৪ই নভেম্বর বোর্ডকে লিখিতেছেন— Rain ('hunt Roy, who holds the Farul of the Pergunnah Boursoot and (airillaloom under the security of his son, having with him abscontled. to avoid the riperation of sourie l Merret's tv:issel ug:tilist him in tlu. Adawhit. I beg leave to suggest the expediency of ntiaching the Pergrinualı, for although the Revolue havd becn hiflir-rio p;uil up regul:irly. fhcro is no s;vving. as this is the hist year of the l’ariuer's lease whether from the above “ircuinsłauet", the putsou lost in ch:tre." liy Ranı (':ınırıt Roy tunay not említezzle audt niisappropriate this Revenues, to guard against which, l aui induced to propose the allove measure heing titlopical innitoliately, for if it is oleluyeh. till after the month of Pous, little, if Huy assets can be expected from 11." Pergııııınalı. The lumiuit of ille Pergatullah faruled to Raiutount Roy p:ıyalıle to (invernment is Sa. Rs. 519(1259.2 of whicli sum ther has been paid to the eiul of Cantic ( Kariik) 74.419.* ১৭৯৯ সালের ১৪ই নবেম্বর বাংলা ১২০৬ সনের ১লা অগ্রহায়ণ। ইহার পর রামকাস্ত রায়ের দুইখানি পরগণার ইজারার মিয়াদের মাত্র বাকী ছিল পাচ মাস । বিগত সাত মাসে মোট জমা ১৫৪৯০২l/৯ মধ্যে ৭৬৪ ১৯২ পরিশোধ করা হইয়াছিল। এখনও বাকী ছিল ৭৮৪৮৩/১॥ গণ্ডা। বোর্ড তখনই রামকাস্ত রায়ের ইজারা মহাল ক্রোক করিতে সম্মত হইলেন না। রামকান্ত রায় বাকী পাচ মাসের মধ্যে সমস্ত বাকী জমা পরিশোধ করিতে পারিলেন না, ১৮৫১ry বাকী রহিল । ইহার অর্থ, ১১০৬ সনে এক লক্ষ পঞ্চাল্প হাজার টাকা জমার মহাল হইতে কিছুই তাহার মুনাফা হইল না, তার উপর দেন থাকিল ২৮৫১ । রামকান্ত রায় বোধ হয় সঞ্চয়কারী ছিলেন না । স্বতরাং এক বৎসরের মুনাফার টাকা না পাওয়াতে তাহার আর্থিক অবস্থা খারাপ হইল। ১২০৬ সনে রামকান্ত রায়ের এইরূপ ক্ষতির মূল বৰ্দ্ধমানের রাজার সহিত মোকদ্দমা লইয়া ব্যস্ততা। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে (৫৯৪ পৃঃ), রামলোচন রায় ১৮•৩ সালের এপ্রিল মাসে বৰ্দ্ধমানের কালেক্টরকে বলিয়াছিলেন, বৰ্দ্ধমানের রাজার রামকান্ত রায়ের নিকট ৮০ ০০০ আশি হাজার টাকা পাওনা আছে। এই অঙ্কে বোধ হয় ভুলে একটা পৃষ্ঠ বেশী পড়িয়াছে। ১৮২৩ সালের ১৬ই জুন মহারাজ, জেষ্টা কলিকাতা প্রাদেশিক আপিল আদালতে রামমোহন রায় এবং গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের নামে ১৫০০২ SSAA SLSL TTMMS • Burdwan Records, vol. 47, No. 329. পনের হাজার দুই টাকা দাবীতে নালিশ করিয়াছিলেন । আর্জিতে লিখিত হইয়াছিল, রামমোহন রায়ের পিতা এবং গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের পিতামহ, রাধানগর নিবাসী রামকাস্ত রায় বৰ্দ্ধমানের জমীদারীর অনেক অংশ ইজারা লইয়াছিলেন । পরগণা বুলিয়া এবং বাগড়ির জমার মধ্যে তাহার নিকট ৭০৫ ১২ বাকী পড়িয়াছিল । এষ্ট টাকা এক বৎসরের মধ্যে পরিশোধ করিতে অঙ্গীকার করিয়া তিনি ১২০৪ সনের ১৫ই আশ্বিন ( ১৮৯৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর ) কিস্তিবন্দী করিয়াছিলেন । এষ্ট কিস্তিবন্দীর থতে বৰ্দ্ধমানের জজ এবং রেজিষ্টার এবং হুগলীর ক্রস (Mr. G. Bruce) সাহেব স্বাক্ষর করিয়াছিলেন । এই টাকা পরিশোধ না করিয়া রামকাস্ত রায় ১৮০৩ সালে পরলোকগমন করিয়াছিলেন । স্বতরাং তাহার উত্তরাধিকারী রামমোহন রায় এবং গোবিন্দপ্রসাদ রায়ের নিকট স্বদ সমেত ১৫০০০ দাবী করা যাইতেছে । রামলোচন রায় বৰ্দ্ধমানের কালেকটরের নিকট অবশ্য এই দেনার কথাই বলিয়াছিলেন, এবং মোটের উপর ৮০০০ আট হাজার টাকার কথা বলিয়াছিলেন । ভূলে তাহাই ৮০ ০০০ টাকার আকার ধারণ করিয়াছে । এই দেনা সত্ত্বেও রামকান্ত রায় বৰ্দ্ধমানের রাজার নিকট এক লক্ষ টাকা বার্ষিক জমার একখানি মহাল ইজারা পাইয়াছিলেন । এক লক্ষ টাকার মহালে তাহার আয় অন্ততঃ ১৫০০০ হৃষ্টত, এবং তহশীল খরচ বাদে তাহার अखडः १०००९ টাক মুনাফ টিকিত । রামকাস্ত রায় বঁচিয়া থাকিলে অন্ত মহালও ইজারা লইতে পারিতেন এবং জগমোহন রায়ের জন্ত স্থব্যবস্থা করিতে পারিতেন। মহালের খাজনা আদায় ওয়াশীল কাৰ্য্যে জগমোহন পিতার সহযোগী ছিলেন। সুতরাং রামকান্ত রায়ের মৃত্যু কারাবদ্ধ জগমোহন রায়ের সর্বনাশ সাধন করিয়াছিল। তার পর হুদা রসিকপুরাদি মহাল সম্বন্ধে সদর দেওয়ানী আদালতে ১৮০৩ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় আপিলে হার হওয়ায় র্তাহার সকল আশাই নিৰ্ম্মল হইয়াছিল। এই সেপ্টেম্বর মাসেই জগমোহন রায় পুনরায় আবেদন করিলেন, তাহাকে খালাস দিলে তিনি নগদ হাজার টাকা দিবেন এবং মাসিক ১০০<হারে বাকী ৩৪৫৮ চৌত্ৰিশ মাসে পরিশোধ করিবেন। এই কিস্তিবন্দীর জামীন স্বরূপ তিনি