পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(\రిపి “জ্যোৎস্ন' দেবীর সম্বন্ধে আপনি নিশ্চিন্তু থাকুন। এখানে তার কোন অসুবিধা হবে না।” সীমার এই কথাগুলির মধ্যে অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত ষে স্বরটি তার কানে পৌঁছল তাতে তার মনটা যেন কতকটা আশা এবং কতকটা ঔংস্থক্যে চকিত হয়ে প্রস্তুত হয়ে বসল। নিজের অজ্ঞাতেই প্রায়, সে তার স্বভাববিরুদ্ধ যুবজনস্থলভ স্বল্প কপটতায় সীমার মুখের উপর দৃষ্টি রেখে সহৃদয় গভীর স্বরে বললে, “জ্যোৎস্না দেবীর ইতিহাস অত্যন্ত করুণ, সীমা, কিন্তু ওর নিজের চরিত্রের মধ্যে এমন একটি শাস্ত নিষ্ঠা আছে যে ওর স্পর্শে এলে মনটা আপনিই সন্ত্রমে নত হ’য়ে আসে। ওর জন্যে আমি চিষ্ঠিত হই নি— আমি ভাবছি যে তোমার কাজের কোন অসুবিধা হবে कि न! ; वर्षां९••.” এই অর্থাৎট অবশু নিতান্তই অনাবশুক। সীমার দিকে চেয়ে নিখিল কোন বিশেষ ভাবের বৈলক্ষণ্য লক্ষ্য করতে পারলে না। সীমা বললে, “আমার আর এতে সুবিধে, অসুবিধে কি ? বরং বোর্ডিঙের একজন মেম্বর বাড়লে লাভই আমাদের । তবে বোর্ডিঙে যাদের থাকা অভ্যাস নেই তাদের প্রথম প্রথম একটু অস্থবিধে ঠেকেই—তা ছাড়া ওর ত আবার পরীক্ষা কাছে।” নিখিল হতাশ হয়ে ভাবলে, ওর মন যেন বিজলী বাতির নিষ্কম্প দ্বীপশিখার মত—কিছুতেই বিচলিত হয় না । অত্যন্ত চিন্তাকুল হ’য়ে নিখিল ফিরে গেল। সীমার মুথে যে একটা আসয় বিপৎপাতের ছায়া দেখেছিল তার কথা সে কিছুতেই ভুলতে পারছিল না। সীমার কথাগুলি অসহায় আবেগে তার মনকে উতলা করতে লাগল। 8& হাসপাতালে ফিরে সে এমন একটা ব্যাপারের মধ্যে পড়ে গেল যে কিছুক্ষণ তার অন্য চিস্তার কোন অবসরই রইল না । একটি মেয়েকে আগুনে-পোড়া অৰ্দ্ধদপ্ত অবস্থায় তাদের প্রবাসা SNEENGT হাসপাতালে এনেছিল। লোকজন আত্মীয়-অনাত্মীয় পুলিসডাক্তারের ভিড়ে হাসপাতালে আর স্থান নেই। নিখিল অগ্রসর হতেই ইনস্পেক্টর তাকে খুব পরিচিতের মত বললে, “আরে নিখিল যে ! জারে তুমিই ডক্টর রয় ? তার পর এখানে কত দিন ?--অারে, কি চিনতে পারছ না আমায় ? “বুলডগ’কে ভুলেই গেলে যে ” নিখিল সত্যিই প্রথমটা চিনতে পারে নি, সে তারই এক সহপাঠী ভুলু দত্ত। তা ছাড়া মৃতকল্প মেয়েটিকে সামনে রেখে রহস্যালাপ করবার মত মন তখন তার ছিল না । “ও, ভুলু! সত্যি ভাই তোমার ও পোষাকে এতদিন পরে তোমায় চিনতে পারি নি। একটু ব’স ভাই, মেয়েটিকে একটু দেখে আসি।” ভুলু দত্ত একটু তাচ্ছিল্য ভরে হেসে বললে, “স্থা, ও* আবার দেখবে কি ? ও ত হামেশাই হচ্ছে। একটা ফ্যাশান বই ত নয়। তুমি ঠিক তেমনিটিই আছ দেখছি।--” নিখিলনাথ আর তার রসিকতার জন্য অপেক্ষা না করে তাড়াতাড়ি মেয়েটির কাছে গেল। বিশেষ আর কিছু করবার ছিল না । মেয়েটির বাপ দাড়িয়ে অশ্রীবর্ষণ করছিল । মেয়েটির বয়স অল্প, কুমারী। তার মৃত্যুর কারণ প্রকাগু নয় দেখে নিখিল সকলকে বাইরে যেতে আদেশ ক'রে বাপকে নিয়ে পুলিসের কাছে ফিরে গেল। রিপোর্ট নেওয়া হ’লে ভুলু দত্ত উঠে নিখিলকে বললে, “এস হে একদিন আমার ওখানে, তোমার বৌদির সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেব। অবাক হচ্ছ আমাকে দেখে, ভাবছ বুলডগ আবার পুলিস ইনস্পেকটর হ’ল। তা ঠিকই হয়েছে—বুলডগ নাম দিয়েছিলে—বুলডগেরই কাজ করছি।” বলে নিজের রসিকতায় নিজেই উচ্ছসিত হয়ে হাসতে লাগল। তার পর চেয়ার ছেড়ে উঠে বললে, “ষেও একদিন নিশ্চয়—সব স্থখছুঃখের কথা হবে।” বলে সে সবলে নিখিলের পিঠে একটা চাপড় মেরে বেরিয়ে গেল। নিখিলের মনটা ভুলু দত্তের উপর প্রথমটা যতটা বিরক্ত হয়ে উঠেছিল শেষটা তা আর রইল না—একটু কোর্স এইয, লোকটাকে খারাপ বলে মনে হ’ল না। তা বুলডগ বরাবরই অমনই। এক কালে সে ত বিপ্লবী দলে ভিড়েছিল ওদেরই