পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سوا۹SDخG SN9gNరీ তাহা পরিহার করিয়া চলেন । কোন জার্শনিকের প্রচেষ্টাই একেবারে বিফল হয় না—প্রত্যেকের চিন্তার মধ্যে আমরা সত্যের অংশবিশেষের সন্ধান পাই । তাহাঁদের প্রধান ক্রটি হয় যখন তাহার এই অংশকে পূর্ণ বলিয়া মনে করেন এবং জগতের যে সমস্ত অংশের সহিত র্তাহীদের মতের বিরোধ হয় সেই সমস্ত বিরোধী অংশকে র্তাহারা অসত্য বলিয়া উড়াইয় দিতে সঙ্কোচ করেন না। আর একটি গুরুতর কারণে দার্শনিকদিগের চেষ্ট্র ফুলপ্রস্থ হয় নাঙ্গ এবং নানা মতবিরোধের স্মৃষ্টি হইয়াছে । তাহা হইতেছে একটি চিন্তাসুত্রকে সত্যের একমাত্র মানদণ্ডরূপে গ্রহণ করা এবং সেই চিন্তাসুত্রটি অনেক সময়ে প্রতীতি নিরপেক্ষ ভাবে এবং জগৎতত্ত্বের সহিত ঐক্রিয়ক পরিচয়ের পুর্বেই মানব চিত্ত্বে ক্ষরিত হয়- ইহা মনে কর । এইরূপ ভ্রাস্তির নিবারণকল্পে প্রতীচ্য দার্শনিক জগতের প্রদীপ্ত ভাস্কর মহামতি কাণ্ট তাহার দার্শনিক চিস্তাব fèত্তি স্থাপন করেন প্রামাণ্যবাদের উপর । চিত্তের নান শক্তিস্বার। আমরা জগৎতত্ত্বের সহিত পরিচয় স্থাপন করি। এই শক্তিয় স্বরূপ ও সীমা নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারিলে আমাদের বস্তুতত্ত্ব জ্ঞানের পথ সহজ হইবে-এই বিশ্বাসে কাণ্ট Episteurologyর (জ্ঞান প্রক্রিয়ার) অবতারণা করিয়া তাহার সাহায্যে দার্শনিক চিন্থায় প্রবৃত্ত হন। ভারতবর্ষের সমস্ত দার্শনিক চিন্তারও এইভাবে ভিত্তিস্থাপন করা হইয়াছে । “মনোবিজ্ঞান (Psychology) s sta প্রক্রিয় ( Epistenology ) এই দুই দিক দিয়া মনোগ্রাজ্যের ব্যাপারগুলি বুঝবার চেষ্টা চলেছে, কিন্তু শাজ পৰ্য্যস্ত চিত্ত (twind) জিনিমট যে কি তা একরকম আমর কিছুই জানি না এবং মনোরাজ্যের ব্যাপারগুলির স্বতটুকু জামাদের কাছে ধরা পড়েছে তার অনেক বেণী গুণ জিনিষ আমাদের অজ্ঞাত রঙ্গিয়াছে” (৩৭ পু: ) । ডক্টর সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত মহাশয় তাহার ‘দার্শনিকী’ নামক পুস্তিকায় যে পূতন পন্থায় দার্শনিক চিস্তার অবতারণা করেছেন, তাঙ্গার মধ্যে অামঃ জ্ঞানপ্রক্রিয়ার ৪ বিশিষ্ট স্থান আছে দেখিতে পাইতেছি । কিন্তু তিনি সেভাবে সত্যানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়াছেন তাঙ্গ অপুর্বল এবং উীহার দৃষ্টি লষ্টয়া বিচার করিলে দর্শনশাস্ত্রের অনেক মামুলী বিবাদের নিস্পঞ্জি ইষ্টয়া বাইবে । জড় ও চৈতন্তের সম্পর্ক লইয়া যে মতভেদ ও কোলাহল স্ট্রথিত হইয়। দর্শনশাস্ত্রের চতুষ্পার্গ মুখরিত হইয়া আসিতেছে, তিনি নুতন ভাবে সেই সমস্তার সমাধান করিয়াছেন । জড় ও চৈতন্তের মধ্যে, জড় ও প্রাণের মধ্যে এবং প্রাণ ও বিজ্ঞানের মধ্যে বিরোধিত লক্টয়। যে সমস্ত তর্কের "খান হইয় থাকে, তাহা ডক্টর দাশগুপ্ত মহাশয়ের দুটিতে জনাবগুক । অনেকে এক ও বক্তর বিরোধের সহজ সমাধানের চেষ্টায় বল্পকে মিথ্য বলিয়: উড়াইয়া দিয়াছেন কিংব বল্পকে জোড়াতাড় দিয় একের মধ্যে স্থান দিয়া বিশিষ্ট্রান্ধেত বা শুদ্ধাদ্বৈতবাদ প্রচার করিয়াছেন । কিন্তু এরূপ অদ্বৈত ব: বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের স্থান আমর! উাছার দার্শনিক চিন্তার মধ্যে পাই না । তাহার মতবাদের নামকরণ এক কথায় করা কঠিন এবং এরূপ এক কথায় তাহার পরিচয় দেওয়া শামাদের শক্তির অতীত। আমরা এ বিষয়ের ভার তাহার উপরেই গুপ্ত করিলাম। বাস্তবিক একটি সংজ্ঞার দ্বারা কোন জটিল, বৈচিত্র্যপূর্ণ নবীন চিন্তার ধারাকে প্রথ্যাপিত করার একটা মুস্থিল আছে— তাহাণ্ডে পুরাতন প্রসিদ্ধ কোন মতবাদের সঙ্কিত তাহাকে এক করিয়া ফেলিয়৷ ইহার নূতনতাকে বিকৃত করিয়া ফেলা অপভাবিক নয় । আমরা প্তাহার চিন্তার কতকগুলি বিশিষ্ট ধারা জালোচনা করিব এবং গেহার দার্শনিক দৃষ্টির গতিও লক্ষ্য করিবার চেষ্ট করিব। এই রূপ বুঝিবার চেষ্ট দ্বার আমরা তাহাকে ভুল বুঝি ইহাও খুব স্বাভাবিক। ভুল বুঝিবার আশঙ্কায় আমার নিজের কোন মতামত ব্যক্ত না করিয়া তাহার কথাতেই তাছার বক্তব্যগুলি পাঠকের নিকট উপস্থাপিত কপ্লিব এবং তাঁহাতে আমরা যে সংক্ষিপ্ত টিল্পনী যোজনা করিয, তাহা মুল বুঝিবার স্ববিধার অনুরোধে । ডক্টর দাশগুপ্ত পদার্শনিকী’ নাম দিয়া কতকগুলি দার্শনিক প্রবন্ধ একত্র সন্নিবেশিত করিয়াছেন। তাহার মধ্যে “দর্শনের দৃষ্টি’, ‘পরিচয়”, ‘জড়, জীব ও ধাতু পুরুষ নামে তিনটি স্বতন্ত্র প্রবন্ধে তাহার নবীন মতের অভিব্যক্তি পাওয়া যায়। ‘বেদ ও বেদাভ” নামক প্রবন্ধে তিনি যে মতবাদের পরিচয় দিয়াছেন, তাহ শঙ্করাচার্ষ্য প্রচারিত মায়াবাদের বিপরীত । ‘তত্ত্ব কথা নামক প্রবন্ধটি লেখকের বহু পূর্বের লেখা এবং তাহার মধ্যে Hegel এবং চৈতষ্ঠ মহাপ্রভুর প্রচারিত মতবাদের সাদৃপ্ত অনেকে উপলব্ধি করিতে পারেন । “তথাপি---পূর্বেবর চিন্তার সহিত BBBB BBB BB BBBS BB BB BBB BBB BBB BBS জগতের কোন অংশকে বাদ দিবার চেষ্টা নাই । জড়, জীব প্রাণ ও চিত্ত সকলেরই সার্থকত ও বাস্তবতা স্টভয় চিন্তার মধ্যেই "কৃত হইয়াছে। কিন্তু প্রথম তিনটি প্রবন্ধের মধ্যেই আমর তাহার চিস্থার অপূর্বত। লক্ষ্য করিতেছি । জড়জগতের বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে তিনি বলিতেছেন—“জড়ের কোনও প্রয়োজন সিদ্ধির আড়ম্ব: নেই, তাই নান অবস্থায় তার ব্যবহারের বৈচিত্র্য নেই ” “গ্রডের মধ্যে যদি কোনও উদ্দেগু দেখ যায় সে উদ্দেন্ত জড়ের নিজের উপকারের জন্য নয়, সে উদ্দেশ্য জীবের উপকারের জন্ত--- সাখ্যদর্শনকার জড়ের এই তত্ত্বটুকু ভাল কপ্লেই বুঝেছিলেন, তাই তিনি প্রকৃতিকে পরার্থ এবং পুরমের শ্লেগাপবাসাধনে ব্যাপৃত বলে বর্ণনা করেছেন।” কিন্তু তাহ হইলেও জঙরাজ্য একটি স্বতন্ত্র রাজ্য। "বরাহ্য জডরাজ্যের সহিত সংশ্লিষ্ট কিন্তু তাঙ্গ ও একেবারে স্বঙথ । *জড়ের উপাদানকে অবলম্বন করেই জীব তার কার্য্য আরম্ভ করে - “ কিন্তু তাহণ সম্পূর্ণ রূপাঙ্গতি হঠয়াই জীবের কাজে লাগে । “গুীলঙ্গহির দ্বার BBB BB BBB B BBB DDB BBBB BBBB BBB DDBBBB ব্যবহার করতে পারে ন " (শ পু.) “জামঃ সাধারণত জনি যে কোনও কিছু যদি এক হয় হবে সে বৎ নয়, যদি বহু হয় তবে সে এক নয় : হাই ধর্শনশাস্থের ক্ষেত্রে র্যাপ্ল বস্তুর মায়ায় পড়েছেন তার এককে জলাঞ্চলি দিয়েছেন, আর যার একের মায়ায় পড়েছেন তার বল্পকে মিথ্য বলেছেন কেট য বলেছেন, বষ্ট অংশকে নিয়ে এক । কিন্তু প্রাণজগতে এসে BBB BB BB BB BB BBB BK BBB BBB BB BBB BBg একটি সত্ত্ব বা সম্বন্ধই অপর সস্তু ধ। সম্বন্ধ ছাড়া তার আপন থরপর্কে লাভ করতে পারে না। এখানে ক্ষয় ছাড়া বুদ্ধিকে পাওয়া যায় না . বুদ্ধিয় মধ্যেই থয়, ক্ষয়ের মধ্যেই বৃদ্ধি । বৃদ্ধির পর ক্ষয় আসে এ আমরা গুণনি, ব খায়ের পর বৃদ্ধি আসে এ আমরা জানি । কিন্তু এখানে দেখি বৃদ্ধি ক্ষয়ের যোগপদ্য ।--একের সমষ্টিতেও বহু নয়, বছর সমষ্টিঙ্গেও এক নয়, কিন্তু যাকে এক বলি তাই বহু এবং বাকে বহু বলি তাই এক।” গ্রন্থকারের ভাসায় আমরা পাশ্চাত্য দার্শনিকগণের চিন্ত - পদ্ধতি হইতে তাহার চিস্তা-পদ্ধতির ভেদ বর্ণনা কল্পিক । “সাধারণতঃ স্কুরোপীয় দর্শনশাস্ত্রে যেটাকে organic view বা জৈবদ্ধৃষ্টি বলে সেটাতে একের জীবনের মধ্যে বড় এসে কেমন ওতপ্রোতভাবে মিশেছে এই কথাটিই বিশেস জোর দিয়ে দেপান হয় । , একের সঙ্গে যে বয়ে বিরোধ নেই, বক্তকে নিয়েই যে এক আপনাকে সার্থক করছেন” এই কথাটিষ্ট তাহারা প্রতিপাদন করেন । “কিন্তু এ সমস্ত মতবাদের মধ্যে জৈবদুটির যথার্থ শিক্ষাটি যে প্রকাশ পেয়েছে আমার ত মনে হয় না । জৈবদুটির যথার্থ তত্ত্ব এইপানেই প্রকাশ পায়--যে এই দৃষ্টিতে এক ও বহুর চিরপ্রসিদ্ধ ভিন্নতাটি তিরোহিত হইয়াছে ॥•••একের স্বতন্ত্রতায় যে বহুর উৎপত্তি এবং একের স্বতস্থত যে বস্তর পতন্ত্রতা ছাড় হয় না, এই যে কাৰ্য্যকারণ বিরোধী সত্য এতে এক এবং বহুর সীমানাকে এমন অনিবাৰ্য্য করে তুলেছে যে এক বলাও পার্শ্বদৃষ্টি বহু বলাও পার্শ্বদৃষ্টি। বৃদ্ধির মধ্যে ক্ষয় ও