পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এসিয়া ( ভfপ্রভাজন রবীন্দ্রলাপ ঠাকুর শ্ৰীচরণকমলেষু) ঐকালিদাস মাগ বিচিত্র তোমার রূপ, বিরাট তোমার দেহ বিষমপদ ছন্দে হয়েছে গাথা জননী এসিয়া ! জন্ম দিয়েষ্ট অগণ্য জাত অসংপ্য জীবকে কেউ এখনও তোমার বুক অঁাকৃড়ে আছে— কোণ ছেড়ে দূরে চলে গেছে কেউ । তবু পৃথিবীর অৰ্দ্ধেকের বেশী মানুষ তোমারই বুকে নান। অচিার নালা ভাষ! নানা ধৰ্ম্ম— যেন মনে হয় অনৈক্যের মহাকাব্য। অথচ তার মধ্যেক্ত জেগেছে যুগে যুগে ঐক্যের অমর বাণী । fન 'tા ? ૮ાન ? છfા કરાર cમાન ના মাঙ্গমের আদিম চেতন বিধিবদ্ধ হ’ল বেদে– তার মধ্যে শুনি : "সত্য সে অসীম জ্ঞান, আনন্দে সে পায় রূপ মূলে সে দ্বৈতহী-, কৰ্ম্মে সে কল্যাণ শিব কস্মান্তে অপরিসীম শান্তি” । আজ সেই মহাদেশের ইতিহাসে দেখি পদে পদে দ্বৈত ছন্দ্বের বেড়ি কৰ্ম্মে নেই কল্যণের সাড়া সমাজে অ-শিব ভূতের উৎপাত আনন্দ গেছে উড়ে, শাস্তি পেয়েছে লোপ । আর কি দেখি এই অবনতি দুৰ্গতির ধ্বংসস্তুপে ? গেছে প্রায় সব, আছে তবু কিছু : সব চেয়ে প্রাচীন সব চেয়ে বড় পাহাড় জাঙ্গাল সব চেয়ে পুরান নর-কপাল চীনে যবদ্বীপে বিদ্ধ শিবালিক হিমালয়েও খোজ মিলবে। মিশর স্বমেরিয়ার সঙ্গে করছে মিতালি, সিন্ধু-ভারতের মানুষ, ইরাণে তুরাণে মঙ্গলে মালয়ে চলছে কোলাকুলি । এল মাটি পাথর শাখ ঝিনুকের খেলনা এল মণিরত্বের মহার্ঘ অলঙ্কার ; রূপসীদের বাক চাহনির তোড়ে উজাল বেয়ে চলে সুভ্যতার স্রোত— ভূমধ্যসাগরের প্রবাল, স্থদুর চীনের জেড়-মণি সিন্ধু-মুন্দরীর গায়ে চলে আসে অবাধে। সাগরের তল থেকে ওঠে মুক্ত মাটির বুক চিরে ওঠে সোনা হীরে লক্ষ্মীর শ্ৰী ফোটে বাণিজ্যের বিস্তারে ডাঙপিটে মাক্ষ্য ছোটে পৃথিবীটা লুটুতে সৰ্ব্বনাশের মুখে তুড়ি দিয়ে সৰ্ব্বজয়ী হতে ; বাধা দিতে পারে নি মধ্যএসিয়ার মহামরু, উত্তঙ্গ ভয়াল হিমালয়, ওন্ধকার সাগর পার হয়ে মানুষ গেয়েছে আদি উষার বন্দন! আদিত্যবর্ণের উদার আবির্ভাব বিশ্বমানবের সমান আকুতি, অসীম ঐক্য। সীমার কোটাল শুষ্ক লুটেছে নিষ্ঠুর হাতে ধন-রত্বের তবিল করেছে হাল্কা কিন্তু ধ্যান-রত্বের উপর চলে নি ইন্‌কম্‌-ট্যাক্স । দুনিয়ার দৌলত রাজ্য সাম্রাজ্য পড়ছে গুড়িয়ে - রাজায় রাজায় কুরুক্ষেত্ৰ— ইরাণে জাগে নতুন প্রশ্ন : “যুদ্ধটা বাইরে না ভিতরে ?