পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ግ8 প্রৰণালী SegN9 গণিয়া সময় কাটে। কে এই স্বরথ ? কেন সে আসিল ? কেন সে অমন মুন্দর ঐ ছেলেটিকে পত্র দিতে গেল ! সে যে তাহার বালুচাপ ফন্তুর অস্তস্তল ভেদ করিয়া জলের উৎস বাহির কfরল । সে তাহার অন্তগ্রন্থী ধরিয়া টানিতেছে ! প্রভাভের বাতাসে জালা ! দিবসের প্রাত্যহিক কৰ্ম্মে ক্লান্তি আলত-গোলা গামল৷ উর্ণগহয়। গিয়া তাহার সারা উঠানটুকু রাঙা হইয়া উঠিল। দ্বিপ্রহরের অবিচ্ছেদ্য আলস্ত। সময় নড়িয়া বসিতে চায় না। মনে হয় ওই অস্তুভ মানুষটির কথা। “যদি আমার এ-কথায় তোমার বিশ্বাস হয়, তুমি কাল আবার আসবে I* নাঃ, আজ সে যাহবে না ; কোনমতেই ন । সে আলভার শিশির গায়ে লেবেল মারে। চক্ষু নিদ্রায় ঢুলিয়া আসে, সে ঘুমাইয়া পড়ে। কতক ক্ষণ সে ঘুমাহয়াছিল সে নিজেই জানে না। সহসা পায়ে কাহার উত্তপ্ত হস্তের স্পর্শ পাইয়া জাগিয়া উঠিয়া ডাকে, “কে ?” “ভয় পেও না,—আমি।” পরিচিত কাঙ্ক্ষিত বিস্ময়কে সম্মুথে পাইবার বিস্ময়টাও বড় কম নয়। স্বরথকে দেখিয়া সে বলে, “আপনি, এ সময়ে এখানে ?” স্বরথ বলে, “কেন ? কোন অন্যায় করেছি কি ?” নিজেকে সংবৃত করিয়া চন্দনা বলে, “কিছু না, অন্যায় আবার কি ? বস্থান, আসন এনে দিই ।” স্বরথ বলে, “থাক্, আসন আমার লাগবে না ; সেটা দেবার ইচ্ছা প্রকাশ পাওয়াতেই আমার প্রাপ্য সম্মানটুকু আমি পেয়েছি।” তবু বাঙালী মেয়ে চন্দনা, আসন আনিয়া বসিতে দিয়া বলে, “ও, বেলা যে পড়ে এল। আরও কতক্ষণ ঘুমুতাম কে জানে। ভাগ্যি আপনি ডাকলেন। আমার তো এ-ভাবের ঘুম কখনও ছিল না!” স্বরথ বলে, “কখনও যা ছিল না, কখনও তা আসবে না, এমন কথা কি জোর করে বলা চলে? আচ্ছ, ভূশয্যায় শয়ন কি বৈধব্য ব্রাতর একটা অবশুপালনীয় অঙ্গ নাকি ?” একটু মিষ্ট হাসিয়া চন্না বলিল, “বৈধব্য-ব্রত-পালনে যে আমি এক জন উৎকট তপস্বিনী এমন পরিচয় আপনাকে দিলে কে ?” “তোমাদের ধৰ্ম্ম সনাতন মতানুযায়ী র্যাকে আমার অবয়বের একাঙ্গ করে তুলেছেন তিনি তো তোমার নামে এমনি একটা অপবাদই দিচ্ছিলেন।” লজ্জিতভাবে চন্দ-1 বলিল, “ও, সেটুকুও পোড়ারমুখী বলতে ছাড়ে নি।” বিশ্বয়ের ভান করিয়া স্বরথ বলিল, “তুমি কার কথা বলছ জানি না চন্দনা, কিন্তু আমি যার কথা বলছিলাম তার মূপে অগ্নিদেবের প্রতাপের কোন চিহ্ন আমি পাই নি! আমি ত বরং• • •* “সবাই কি আর সমান দেখে ! আমার চোখে আপনিও যদি তাকে দেখেন, তবে ত সে বেচারী প্রাণে মারা যায়।” চন্দনার চক্ষুতে ঘুম জড়াইয়া ছিল, ছোট্ট একটি হাই সে কোন মতেই না তুলিয়া পারিল না। মুখে হাত চাপা দিল । সুরথ বলিল, হয় নি ।” “কি ক’রে আর হবে বলুন ; যা ঝড় আর জল গেছে ।” “সত্যিই কাল রাত্রের ঝড় আর জলের কথা মনে ক’রে আমার আজও ভারী ভয় বোধ হচ্ছিল । ত৷ এপন ত দেখতে পাচ্চি, আকাশ বেশ পরিচ্ছন্ন নিমেঘ।” কথাটায় দু-জনেই হাসিল । চন্দন বলিল, দিচ্ছেন।” কথাটা চাপ দিবার জন্ত বলিল, “একটু বসবেন, আমি দুটো ফল কেটে আর একটু সরবৎ করে আনি ?” “কেন ? জামাই-সংকার নাকি ?” হাসিয়া চন্দন বলিল, “সামাজিক বিপান যখন আছে তপন আর অমান্য কেন করি বলুন !” “সত্যি চন্দন, তুমি বেশ কথা কও।” কথাটা বলিয়াই চন্দনার মুখের পানে চাহিয়া স্বরথ একটু স্তব্ধ হইয় গেল । তার পর দৃঢ়ভাবে বলিল, “যাও, সামাজিক আপ্যায়ন কি j. তার ব্যবস্থা আমার স্বমুখেই এনে কর না, দুটো কথা r" গম্ভীর ভাবে উঠিয়া গিয়া, ক্ষণেকের মধ্যে দুটি আম, চারটি নারকেল-নাড়ু, এক টুকরা আনারস ও এক মাস সরবৎ ও লেবু লইয়া চন্দন উপস্থিত হইল । সমস্ত সরঞ্জামগুলি রাখিয়া, স্বরথের সম্মুগে বসিয়াই সে ফলগুলি বানাইতে লাগিল । সুরথ ধীরে ধীরে বলিল, “কাল রাত থেকেই আমাধ কি মনে হচ্ছে জান ? ঠিক তোমার মত আমার যদি একীি বোল হ’ত 1 কি ঝগড়াই করতাম চন্দন, কি বলব!” চন্দনার বাইরেকার আবরণ নড়িয়া উঠিল। সে মনে করিতে লাগিল এ ধরণের মিষ্টকথা শোনা তার উচিত নয় সে বলিল, “আপনি বোধ হয় জানেন আমার দেবতার মত এক বড় ভাই আছেন। বোন ব’লে আমায় পাবা লোভ আপনার জন্মালেও ভাই ব’লে তার চেয়ে বড় অা যোগ্য আমার আর কারুকে মনে হয় না ।” “কাল রাত্রে বোধ হয় ভাল ঘুম “কেন আর সে-কথা তুলে লজ্জা