পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

OraSe প্রৰণসী $N9gN9 উদ্ধার করিয়া, সুটকেশ বন্ধ করিয়া, চাবী যথাস্থানে রাখিয়া সে বাহির হইয়া গেল । দরমার বেড়ার এ ধারটায় ঐ জামগাছটার নীচে অন্ধকার । কে চনানার হাত চাপিয়া ধরিল। শব্দ করিবার পূর্বেই সে বলিল, “চুপ ; আমি স্বরথ । ভয় নেই, তুমি আমার স্কটকেশ থেকে কি নিয়ে যাচ্ছ ?” “আপনি হাত ছাড়ন। আমি আপনার প্রয়োজনীয় কোন জিনিষ নিয়ে যাচ্ছি না ।" “কিন্তু জিনিযটা যে তোমার খুব প্রয়োজনীয়, ভ। নেবার সময় ও পদ্ধতি থেকে বুঝেছি। কি জিনিষ বল ।” “আমি বলব না, আমায় ছাডুন ।” “তোমার ভয় নেই ; কিন্তু কি নিলে না-বললে আমি ছাড়ব না, তা নিশ্চয় ।” “তার মানে, আপনি আমায় চোর মনে করেন ?” “যা দেখলাম, তার পরে যদি তাই মনেও করি অন্যায় কিছু করব না ; তবু তোমায় আমি তা মনে করি না ।”

    • কেন f” “সে তুমি বুঝবে না চন্দন । কিন্তু ভেণমায় আমি ব'লে দিতে পারি তুমি কি নিয়েছ।”

“বলুন !" “ििठं יין “šsi s' **কেন f” “আমার লেখা চিঠি আপনার কাছে থাকবে না ।” “তোমার লেখা হোক, যার হোকৃ, চিঠি এখন আমার । ও চিঠি আমায় দিতেই হবে । ও চিঠি আমার স্ত্রী আমায় দিয়েছে। একথা অস্বীকার করলে তোমার সম্মান বাড়বে ন চলদল |” “আপনি প্যাচে ফেলে আমার কাছ থেকে এ-চিঠি আদায় করবেন ?”—প্রায় কাদ-কঁাদ হইয়া চন্দন বলিল, “এই নিন চিঠি, আমায় ছাডুন স্বরখবাবু। আপনার দুটি পায়ে পড়ি ।” “না চন্দন, ও চিঠি তুমি নাও। কিন্তু চিঠি ত হ’ল যন্ত্র, সে-যন্ত্র বুকে যে দাগ বসিয়েছে তা তুমি কি কেড়ে নিতে পার ? সে যে তোমার নিজের হাতে, নিজের মনের দান ! আমার অস্তরে সে-দাগ অক্ষয় হয়ে বিরাজ করবে।” চন্দনার বুকে কে দাপাদাপি করিয়া বেড়াইতে লাগিল । সে কাতরস্বরে বলিল, “ওগে, তুমি আমায় ছাড়, আমি তোমার পায়ে পড়ি ।” কিন্তু স্বরথ ছাড়িল না। সে ঋজু হইয়া দাড়াইয়া দৃঢ় কণ্ঠে প্রশ্ন করিল, “কেন তুমি চিঠি দিয়েছিলে ? তোমার णख्छ। इच्च नेि ?” চন্দন হাত ছাড়াইয়া বলিল, “তার জন্ত সহস্ৰ যাতন! আমি রোজ পাচ্ছি, তুমি আর দিও না।” —বলিয়াই ছুটিয়া সে ওধারে চলিয়া গেল। তাহার সর্বাঙ্গ দিয়া ঘাম ছুটিতে লাগিল, বুক টিপ, টিপ করিতে লাগিল ; তাহার মনে হইতে লাগিল, এখনই বুঝি তাহার নিঃশ্বাস বন্ধ হইয়া আসিবে । হঁাকে ডাকে ধড়ফড় করিয়া চাহিয়া দেখিল, “ও কত বেলা ! রূপেন্দু থাকী পোষাক পরিয়া তাহাকে ডাকিতেছে, “কি রে চন্দন , উইবি নে ? বেলা যে বডড হ’ল ? এত ক’রে বলি যে রাত জেগে কাজ করিসূ নে ! কাল অত রাতে কাজ সেরে আবার বুঝি আলভা নিয়ে মরছিলি ?” চন্দনা বিহুবলের ন্যায় চাৰ্চিয় রহিল। রাত্রের কথা মনে হইল। কি মিথ্যা-৪, কি দুঃস্বপ্ন ! ভবু সে একবার প্রশ্ন করিল, “ষ্ট্য। দীদ, তোমাদের বাস খারাপ হ’য়ে গেলে কি তোমরা ট্যাক্সি চালাও ?” রূপেন্দু উচ্ছসিত হইয়া হাসিয়া বলিল, “তা চালাঙে হয় বইকি ; কিন্তু সে-কথা এত সকালে কেন বল তো ?” অপ্রস্তুত হইয়া সে বলে, “ন, কিছু নয়, কিন্তু কাল কি খুব ঝড়বৃষ্টি হয়েছিল ?” রূপেন্দু বলিল, “তুই স্বপন দেখছিস-খুমো, ঘুমো, আরও ঘুমো-হ্য ঝড়বিষ্টি—যুমো—আমি চললাম।” রূপেন্দু বাহির হইয়া গেল । কিন্তু কি দুঃস্বপ্ন - সকালের কাজে হাত দিতে-নী-দিতে নন্দিনী একথান লাল খাম লইয়া উপস্থিত । “গৌর কই ?” “কেন রে ?” “চিঠিখানা ফেলে দিয়ে আক্ষক " “ঐ ঘরে গৌর, যা ” একবার মনে হইল এ-চিঠি সে দেবে না। আবার মনে হইল, একখানাই তো, যাক না। তার পর আর না। দ্বিপ্রহরে আলভার শিশিতে আলত ভরিতে ভরিতে চন্দনা গত রাত্রের কথা ভাবে, হাসে আর মাঝে মাঝে শিহরিয়া ওঠে। নন্দিনী আসিয়া পাশে বসে । চন্দন লেবেলের ঝুড়িটা আগাইয়া দেয় মাত্র। আর সব চাপা থাকে। লক্ষ্য করে নন্দিনীর চোখে মুখে চিকু চিকু করে অন্তরের পুলক ৷