পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সত্য গোপন ঐরমাপ্রসাদ চনদ বড়দিনের ছুটির অব্যবহিত পূৰ্ব্বে ঐযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লিখিত ২১শে ডিসেম্বর তারিখের এই চিঠিপানি আমার হস্তগত হইয়াছিল—

  • "আপনি বৎসর তিন পুৰ্ব্ব রামমোছন রায় পিহার মৃত্যুশয্যায় উপস্থিত ছিলেন কিন এই প্রশ্নটি লক্টর বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছিলেন। সে জন্ত আপনাকে 'শনিবারের iিfঠতে প্রকাশিত একটি আলোচনা পাঠাইতেছি । ইহা হইতে মনে হইতেছে রামমোহন পিতার মুত্বাশয্যায় উপস্থিত থাকিতে পারেন না । এই বিষয়ে আপনার মত কি জানাইলে বিশেষ অনুগুগীত হইব । বল বাহুল্য, শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত আলোচনাটি আমার দ্বারা লিখিত নহে ; মুদ্রিত হইবার পর্বের আমি উহা দেখিও নাই ।” -

এই পত্রের সঙ্গে বর্তমান সনের পৌষ মাসের “শনিবারের চিঠিতে প্রকাশিত “রামমোহন রায়, ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রম"প্রসাদ চন্দ” শীর্ষক প্রসঙ্গ কথার কয়েকখানি (৪২৮-• ৪৩৩ পৃ: ) বিচ্ছিন্ন পত্র ছিল। এই পত্র পাইবার দুই দিন পূৰ্ব্বে (২০শে ডিসেম্বর রবিবার ) প্রদ্ধের প্রবাসী-সম্পাদক শ্ৰযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় এইরূপ তার এক প্রস্থ ছিন্নপত্র এবং কলিকাতা রিভিউতে ব্রজেন্দ্রবাবুর লিখিত একটি প্রবন্ধের ছিন্নপত্রসহ তাহার নিকট লিখিত ব্রজেন্দ্র বাবুর একখানি পত্র আমাকে দেখিতে দিয়াছিলেন । “শনিবারের চিঠি’র “প্রসঙ্গ কথা” পাঠ করিয়া অামি আনন্দিত্তই হইয়ছিলাম। তাহার এক কারণ, শনিবারের চিঠিতে সাধারণতঃ কবিসম্রাট, সাহিত্যসম্রাট, কথাসাহিত্যসম্রাট প্রভূতি মহারথগণের কথা আলোচিত হয় । এইরূপ সংসঙ্গে আমার মত নগণ্য ব্যক্তির প্রবেশ প্লাঘার বিযয় । দ্বিতীয় কারণ, এযাবৎ আর কোথাও আমার উক্ত লেখাটির আলোচনা দেখিয়াছি বলিয়া স্মরণ হয় না। শনিবারের চিঠি’র লেখক আমার অবজ্ঞাত লেখাটিতে প্রকাশিত মতের আলোচনা উপলক্ষে উহা হইতে দুই পৃষ্ঠা উদ্ধৃত করিয়া আমাকে সম্মানিত করিয়াছেন। অবশু গত ডিসেম্বর মাসে কলিকাতা রিভিউ পত্রে প্রকাশিত ঐযুক্ত উপেন্দ্রনাথ বলের একটি প্রবন্ধ হইতে একটি বচন উদ্ধৃত করিয়া এই লেখক মহাশয় আমাকে কাৰ্য্যতঃ সৎসাহসবিহীন সং্যগোপনকারী সাব্যস্ত করিয়াছেন । বিচারে আঘাতপ্রাপ্ত হইলেও আমি ইহার জন্য “শনিবারের চিঠি’র লেখক মহাশয়কে দোস দিতে পারি ন; ; দোষ আমার অদুষ্টের এবং তাহার সময়ের অভালের । বৰ্ত্তমান পৌষ সংখ্যার প্রবাসী বোধ হয় ২৯শে অগ্রহায়ণের ( ১৫ই ডিসেম্বরের) বা ১লা পৌধের (১৬ই ডিসেম্বরের) পর্বে তাঙ্গর হস্তগত হয় নাই । বজেন্দ্রবাবু পৌষ সংখ্যার শনিবারের চিঠি'র ছিন্নপত্রসহ আমার নিকট চিঠি লিথিয় পাঠাইয়াছেন ২১শে ডিসেম্বর, ৬ই পৌষ, এবং রামানন্দ বাবুর নিকট ঐক্লপ ছিন্নপত্রসহ চিঠি লিথিয় পাঠাইয়াছেন বোধ হয় ১৮ই ডিসেম্বর, ৩রা পৌষ । পৌষের “শনিবারের চিঠি’ কোন তারিখে প্রকাশিত হইয়াছিল জানি না । মাছ হউক, পৰ্ত্তমান পৌষ সংখ্যার প্রবাসীতে আমার রামমোহন রায় বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করিয়া, আমার বিস্তুত পুস্তিক খুজিয়া বাহির করিয়া, ৬পুষ্ঠাব্যাপী “প্রসঙ্গ কথা” লিখিয়া সময়-মত পৌধ সংখ্যার শনিবারের চিঠি’র জন্য দিতে গিয়া লেখক মহাশয়কে বিশেষ ভাড়াতাড়ি কাৰ্য্য শেষ করিতে হইয়াছিল। এই তাড়াতাড়িতে তিনি অস্থত দুইটি গুরুত্তর বিষয় লক্ষ্য করেন নাই । প্রথম, শ্রযুক্ত উপেন্দ্রনাথ বল বেচারাম সেনের জবানবন্দী হইতে রামকান্ত রায়ের মৃত্যুর তারিখের যে পাঠ উদ্ধত করিয়াছেন ভtহাই যদি শুদ্ধ হয় তবে এই শুদ্ধ পাঠে নিবদ্ধ সংবাদের উপেক্ষা যেমন আমার জ্ঞানকৃত সংসাহসের অভাববশতঃ হইতে পারে, তেমন অজ্ঞানকৃত অর্থাৎ একটা সাধারণ ভুল মাত্র হইতে পারে । সময়াভাব বশত: “শনিবারের চিঠি’র লেখক মহাশয় আমার অপরাধ অজ্ঞানরুতও হইতে পারে এইরূপ সন্দেহ মনে স্থান দিয়! আমাকে benefit of doubt—অর্থাৎ সন্দেহজনিত স্থবিধাটুকু হইতে বঞ্চিত করিয়াছেন। দ্বিতীয়, উক্ত লেখক মহাশয় ১৩৪০ সনের আশ্বিল