পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আছে । লাসা হইতে লদার্থ যাইবার পথে ল্যসে পড়ে এবং এই মুসলমানেরা লম্বাধী মুসলমানদিগের ভোটীয় স্ত্রীদের সন্তান। অন্ত ভোটিয় অপেক্ষা ইহারা ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে মজবুত। ২২শে জুন কয়েকগালি কা ( চামড়ার নৌকা) আসিল, তাহাতে আমরা যাইতে পারিতাম কিন্তু সঙ্গীরা তাহাদের সঙ্গে ঘাইতে বলায় থাকিয় গেলাম। পরদিন তাহদের কা আসিলে দুই দিনের পাখেয়ের ব্যবস্থা করিতে লাগিলাম। কিঞ্চিং শুষ্ক ভেড়ার মাংস কিনিয়া সিদ্ধ করিয়া লইলাম । ভোটিয়দের মতে শুষ্ক মাংস “স্বয়ংপঙ্ক", কিন্তু আমি তখনও অতটা অগ্রসর হইতে পারি নাই। সঙ্গী বলিলেন, সিদ্ধ করিলে মাংসের সার বাহির হইয়। যাইবে, তাহ। শুনিয়াও মাংস সিদ্ধ করিয়া খণ্ডগুলি পথের জন্য বাধিয়া লইলাম এবং ক্ষাথ ঢাবাকে দিতে চাহিলাম। ঢাবা স্বরুয়৷ লইতে অস্বীকার করায় প্রথমে বুঝিতে পারি নাই পরে শুনিলাম তাহীকে মাংসখণ্ড না দেওয়ায় সে চটিয়াছে । আমার মভলবই ছিল যে পথে তাঁহাকে দিব এবং সেই জন্যই বুঝিতে পারি নাই যে এখন না দেওয়ায় কিছু অন্যায় হইয়াছে। যাহা হউক, যাহা ভুল হইবার তাহা ত হইয়াই গিয়াছে, এখন শোধরাইবার উপায় নাই। পথে গাধার পিঠে আসিতে আসিতে নৌকার চামড়া শুকাইয়া গিয়াছিল, সেই জন্য মাল্লার দল সেগুলি পাথর চাপ দিয়া নদীর জলে এক দিন চুবাইয়া রাখিয়া পরের দিন কাঠের কাঠামোতে আঁটিতে লাগিল। চামড়া অঁাট হইলে নৌক৷ জলে ভাসাইয়া প্রথমে খোলের নীচের দিকে সঙ্গীদের সংগৃহীত কাঠ সাজানো হইল এবং তাহার উপর মালপত্র বোঝাই করা হইল। সকালে ঢাবা নিজে আসিয়া বলিল, “নৌকায় আপনাদের স্থান হইবে না।” দ্বিপ্রহরে মাল বোঝাই শেষ হইলে সে সেই কথা পুনৰ্ব্বার বলিল, কিন্তু আমি ইহা ঠাট্ট হিসাবে লইলাম। পরে মটকা-ভরা ছড়, আসিল এবং डांशंब्र गांशंष्ट्वा यांझांटमब्र cडांछ श्दे८ण लांज नैौण কাপড়ের টুকরার নিশান-পতাকা এক এক জোড়ী-বাধা নৌকার সম্মুখে লাগানো স্বরু হইল। ইতিমধ্যে শীগচীযাত্রী কয়েক জন পথিক আলিলে তাঁহাদের যাইবার ব্যবস্থাও ছইল, কিন্তু স্বমতি-প্রজ্ঞ ও আমার যাওয়ার কোনও ব্যবস্থা হইল না। অন্ত সওদাগর বলিল, “আমার সর্দার আপনাদের লইতে চাহে না, আমি কি করিতে পারি ”ি আমি একটি কথাও না বলিয়া আমাদের জিনিষপত্র স্বমতি-প্রজ্ঞ ও আমার নিজের কাধে উঠাইয় গুস্থায় চলিয়া আসিলাম । গুম্বায় আসিয়া আমি চা-পানের ব্যবস্থা করিয়া স্বমতি-প্ৰজ্ঞকে ঘোড়া বা খচ্চরের ব্যবস্থা করিতে বলিলাম। তিনি সেই কাজে বাহির হইবার কিছুক্ষণ পরে লাসার সেই দুই সওদাগর আসিয়া বলিল, “আমরা সর্দারকে বুঝাইয়া বলিয়া রাজী করিয়াছি, আপনি চলুন।" আমি সাথীর কথা বলায় তাহারা বলিল, তাহার স্থান হইবে না। আমি বলিলাম, “তবে তোমাদের সঙ্গে লাসায় দেখা হইবে । আমি তোমাদের উপর বিন্দুমাত্র অসন্তুষ্ট নহি, কিন্তু এরূপ স্থলে আমি সঙ্গীকে ছাড়িয়া যাইতে পারিব না।" তাহারা চলিয়া যাইবার পরেই মুমতি-প্রজ্ঞ আসিয়া বঞ্চিলেন, “লাসগামী এক খচ্চরের দল আসিয়াছে। আমি শীগচী পৰ্য্যন্ত দুইটি খচ্চর চার সাং ( প্রায় ৩২ টাকা ) ভাড়ায় ঠিক করিয়াছি। তাহার কাল সকালে রওয়ান হইবে।” ২৬শে জুন সকালেই চা-পান করিয়া মালপত্র লইয়া আমরা খচ্চরওয়ালাদের কাছে গেলাম । তাহারা বলিল যে ঐস্থানের রাজকৰ্ম্মচারীর কিছু জিনিষপত্র লইয়া যাইতে হইবে, সুতরাং পরদিন যাত্রারম্ভ হইবে। আমরা গুম্বা ছাড়িয়া চলিয়া আসিয়াছি,থচ্চরের আড্ডায় থাকিবার জায়গাওনাই, স্বতরাং মালপত্র তাঁহাদের কাছে ছাড়িয়া দেড় মাইল পথ অগ্রসর হুইয়া হুমতি-প্রজ্ঞের পরিচিত এক গৃহস্থের বাড়ীতে উঠিলাম। স্বমতি-প্রজ্ঞ চা-পানের পর চাঙ-বোমো বিহার অভিমুখে— তাহার মহাস্তুপ দুরে দেখা যাইতেছিল—কাহার সঙ্গে দেখা করিতে চলিলেন। আমি কিছুক্ষণ গৃহবধূর তাত বোন দেখিতে লাগিলাম। তিব্বতে ঘরে ঘরে পশমের স্বতা কাটা ও বোনা হয়। উলের কাপড় এক বিঘং মাত্র চওড়া করিয়া বোন হয়, সহজেই ইহার প্রস্থ বড় করা যায়, কিন্তু সেদিকে ইহাদের দৃষ্টি নাই। কাপড় স্বন্দর ও মজবুত হয়। কিছুক্ষণ পরে ছাতে বেড়াইতে গেলাম। কিন্তু অল্প পরেই গৃহকত্রী বৃদ্ধ নামিয়া আসিতে বলিল । পরে শুনিলাম, এখানকার লোকেরা ছাতে বেড়ানো অমঙ্গল মনে করে। এই গৃহ ব্ৰহ্মপুত্রর তীর হইতে দূরে, কিন্তু এখানেও উপত্যক বিস্তৃত ও সমতল, যদিও নদীর জল এখানে আসে না । ক্ষেতে চার অল্প অল্প অঙ্কুরিত