পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●b〜8 " " فكان يغات فجة তট বিস্তৃত কিন্তু সমতল নহে । আমরা নদী ডাহিনে রাখিয়া আগে চলিলাম, কিছুক্ষণ চলিবার পর নদী বহু দূরে পড়িয়া গেল। বেলা চারটার সময় নে-চোঙ, গ্রামে পৌছিলাম, এখানে খচ্চর, গাধ ইত্যাদি রাখিবার ব্যবস্থা আছে । এখানকার লোকে চ ভূষি প্রভৃতি-জিনিষ বিক্রয় করিয়া বেশ দু-পয়সা লাভ করে, সুতরাং এইরূপ গাধ:-খচ্চরের দলকে আদর-যত্ন করিয়া থাকে। আজিকার পথ দীর্ঘ, থচ্চরে চড়িয়া চলিতে চলিতে গায়ে ব্যথা হইয়াছিল । আমি গিয়াই, যে-ঘর আমাদের দেওয়া হইল সেখানে বিছানা বিছাইয়া শুক্রয়া পড়িলাম, স্বমতি-প্রজ্ঞ আমাকে দু-চার কথা শুনাইয়া চা তৈয়ারী করিতে বসিলেন । রাত্রে খুক-পা রাধিবার সময়ও তিনি বেশ দ্ব-কথা শুনাইলেন, এই ত তাহার প্রধান দোষ— তবে আমি কিছুষ্ট বলিলাম না। ২৯শে জুন প্রাতে রওয়ানা হইয়া সোজা সমতল পথ দিয়া আমরা চলিলাম। দশটার সময় ল অর্থাৎ ঘাট পার হইলাম। চড়াই-উৎরাই না থাকায় ইহাকে লা বলা উচিত •হে, তবে দস্থ্যভয় যথেষ্ট আছে। তাহার পর সামান্য উৎরাই এবং আরও পরে প্রায় সমতল ঢালু উপত্যকার বিস্তুত জfম । বারটার পর আমরা নার-থঙ, পৌছিলাম, এখানকার কম্বুরতথুরের ছাপাখানা বৃহৎ, সে বিষয়ে পরে বলিব । এখানে অল্পক্ষণ থাকিয়া চা পান করিয়া আমরা অগ্রসর হইলাম ; দুইটার পর পর্বতমূলে বিশাল মঠ দেখিতে পাইলাম, ইহাই টন্ট লামার বিখ্যাত টশ লুম্পে মঠ। মঠ দৃষ্টিগোচর হইবামাত্র সকলে খচ্চর হইতে নামিয়া পড়িল। উপর নীচে সাজানো স্থদুরবিস্তৃত হৰ্ম্মরাজির মধ্যস্থিত মন্দিরগুলির চীন-ধরণের ছাদের সোনালী শোভা অতি স্বন্দর দেখাইতেছিল। মঠের সর্বনিম্ন অংশে টশী লামার উদ্যান, তাহারই দেওয়ালের পাশ দিয়া আমরা মঠের দ্বারে উপস্থিত হইলাম। দ্বারের কাছে বাগানে ছোট ছোট কেয়ারীতেও গামলায় মূল এবং শাকসজ লাগানো রহিয়াছে। এখান হইতে শীগচীর বস্তী মাত্র কয়েক শত গজ দূরে । সৰ্ব্বপ্রথমে প্রাচীন চীনা ছর্গের নগ্ন মুখ-প্রাচীর, তাহার পর প্রস্তরে ক্ষোদিত বহু মন্ত্র ও দেবমূৰ্ত্তি প্রাচীরে স্থাপিত আছে, তাহার নাম “মাণী”। অবলোকিতেশ্বরের সর্বপ্রধান মন্ত্র “ওঁ মণিপদ্মে ছ” ; মণি শব্দ হইতে এইরূপে জপচক্র ও মন্ত্রপূত স্তুপের নাম “মাণী” হইয়াছে। মাণীর বাম পাশ দিয়া আমরা শীগচাতে প্রবেশ করিলাম । গন্তব্যস্থানে উপস্থিত হইয়। খচ্চরওয়ালার আমাদের জিনিষপত্র নামাইয়া দিল এবং স্নমতি-প্রজ্ঞ আশ্রদের সন্ধানে গেলেন। র্তাহার পরিচিত গৃহস্থের বাড়ীতে ডাকাডাকি করিয়াও কেহ বাহিরে আপিল না দেখিয়া আমরা আরও কয়েক জায়গায় চেষ্টা করিলাম কিন্তু ভিক্ষুকের ন্যায় আমাদের বেশ, এমন জীর্ণ মলিন বসনধারীকে স্থান দেয় কে ? শেষে অনেক চেষ্টার পর এক সরাইয়ের বারাণ্ডায়, দৈনিক এক টঙ্কা ভাড়ায় জায়গা পাওয়া গেল । সে-রাত্রেও স্বমতি-প্রঞ্জ অশেষ কটুক্তি করায় আমি ভাবিলাম ইহার সঙ্গে আর চলা যায় না । ইহার এ অভ্যাস যাইবে না, আমি উত্তর না-হয়-নাক্ত দিলাম কিন্তু মনের শাস্তি অটুট রাগাও সম্ভব নহে। পরদিন সকাল হইতে আমি মালপত্র ছাড়িয়া কোন নেপালীর খোজে বাহির হইলাম। নেপালে এক সজ্জন শীগচীবাদী নেপালী দুষ্ট সওদাগর ভ্রাতার ঠিকানা দিয়াছিলেন। আমি তাহাদের নাম ভুলিয়া গিয়ছিলাম, কিন্তু দুই ভাই একত্রে এখানে ব্যবসায় করেন বলায় এথানকার এক নেপালী সজ্জন তাহাদের নাম ঠিকানা বলিয়া দিলেন । এখানে বিশ-পচিশটি নেপালী দোকান আছে, তাহার মধ্যে চার-পাচটি বেশ বড়, স্বতরাং আমি সহজেই তাহাদের খুজিছ পাইলাম। সকাল সাতটা--তখনও পর্যন্ত সাছ নিদ্রিত ছিলেন, কিন্তু আমার খবর পাওয়ায় বাহিরে আসিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিলেন এবং অতি আদরের সহিত আমাকে স্বাগত করিয়া তাহার লোককে আমার সঙ্গে মালপত্র আনিতে পাঠাঃ প্লেন । সরাইয়ে আমাদের দু-জনের ভাড়া চুকাইয় এবং স্বমতি-প্রজ্ঞের জন্য নিজের ঠিকানা রাখিয়া আমি চলিয়া আসিলাম । সেখানে গরম জল ও সাবানে মুখ হাত ধুইধা সৰু-সহ চা ও মাংস ভোজন করিলাম। ভোজনের পর ঐআনন্দ ও অন্ত বন্ধুদের নামে চিঠি লিখিয়া সাছ মহাশয়কে দিলাম এবং শীঘ্র আমার লাসা যাওয়ার ব্যবস্থা করিয়া দিতে অনুরোধ করিলাম। তিনি দশ-বার দিন থাকিতে বলায় বলিলাম, “আমি লুকাইয়া