পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য-সম্পদ VM ঐঅরুণচন্দ্র গুপ্ত, আই. এফ. এস. শিক্ষার প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের লোকের মনে অরণ্যসংরক্ষণের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থা সম্বন্ধে বিশেষ কোন ধারণা ছাপ ফেলতে পারে নি। কাঠের গুড়ি বা জালানী কাঠ ছাড়া জগতের অরণ্য-লোক থেকে প্রতিদিনের ব্যবহার্ধ্য যে-সব জিনিষ আমরা পাই, এ প্রবন্ধ তারই আলোচন । প্রথমে কাগজের কথা ধরি। বেশী কাগজ তৈরি হয় জাৰ্ম্মেনী, নরওয়ে, স্বইডেন এবং আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে । ezjąt=RE: Gojsitri Ft H ( Douglas Fir ) এবং শুম—এই দুই জাতের গাছের কাঠই ও-সব দেশের কাগজের মূল উপাদান। প্রথমে কাঠকে মণ্ডে পরিণত করা হয়। তার পর যে শ্রেণীর কাগজ তৈরি করতে হবে, সেই অনুপাতে অংশতঃ অথবা সম্পূর্ণভাবে তা রিচ অর্থাৎ বৈজ্ঞানিক উপায়ে পরিষ্কার করা হয়। তার পর ষন্ত্রের পেষণে তা হয় কাগজ । ভারতবর্ষে যে-কয়টি কাগজের কল অাছে, তাদের মধ্যে টিটাগড় পেপার মিলস উল্লেখযোগ্য। এই মিলে কিন্তু মূল উপাদান হিসাবে কাঠের বদলে বাশ অথবা ঘাস ব্যবহার করা হয় । এর কারণ অবশ্য এ নয় যে, আমাদের দেশের অরণ্যে কাগজের উপযুক্ত কাঠ পাওয়া যায় এমন গাছের অভাব আছে। আসল ব্যাপার হ’ল যে সেই সব গাছ ইতস্তত ভাবে অন্ত নানা জাতীয় গাছের সঙ্গে মিশে সারা দেশময় ছড়িয়ে আছে, সেই জন্তে সেই সব গাছ থেকে কাঠ সংগ্রহ করার খরচ বেশী পড়ে যায়। স্বতরাং নানা জাতীয় বঁাশ এবং ঘাসই উপযুক্ত। কাগজ তৈরি করবার জন্তে ধে ঘাস ব্যবহৃত হয়, সেগুলো লম্বা জঙ্গলী ঘাস-তাদের মধ্যে ভাবর অথবা সাবাই ঘাসই হ’ল প্রয়োজনীয়তার দিক থেকে প্রথম উল্লেখযোগ্য। উদ্ভিদ-বিজ্ঞানে তার একটা লম্বা নাম আছে—ইসকোইমাম এঙ্গাসটি ফোলামূ ( Ischoemum angusti folum ) i się stri ofns SvēH 3 جست-e = ভারতের পাহাড়ে পাহাড়ে জন্মায় । ১৯০৮-৯ সালে বাংলা দেশের অরণ্য থেকে এই ঘাস ৩২৯৪ টন পাওয়া যায়, মূল্য চব্বিশ হাজার চুরানব্বই টাকা । তার পর ছিপির কথা। কোয়েরকাস মুবার ও কোয়েরকাস অক্সিডেণ্টালিস নামে দু-জাত্তের ওক গাছ আছে। সেই দু-জাতের ওক গাছের ছাল থেকে ছিপি তৈরি হয়। ভূমধ্যসাগরের তীরে তীরে যে-সব দেশ আছে, সেই সব দেশে, যেমন স্পেন, পর্তুগাল, কর্সিক', দক্ষিণফ্রান্স, ইতালী, উত্তর-আফ্রিকায় এই গাছ যখন গাছগুলোর কুড়ি বছর বয়স হয় তখন তার ছালের উপরের স্তর কেটে ফেলা হয়। এই উপরের ছালকে সাধরণতঃ মেল কর্ক অর্থাৎ পুরুষ কর্ক বলা হয় এবং সেটা কোনও কাজে লাগে না । তার পর যে নতুন ছাল জন্মায় তাকে বলে ফিমেল কর্ক অর্থাৎ মেয়ে কর্ক ; সেই নূতন ছাল বা ফিমেল কর্ক থেকেই ছিপি হয়। প্রত্যেক ৮ কিংবা ১০ বৎসর অন্তর সেই গাছ কাটা হয়। আমাদের ভারতবর্ষে বহু বিভিন্ন জাতের গাছ আছে যা থেকে ছিপি হয় এবং সেই সব ছিপি এত নিকৃষ্ট শ্রেণীর যে ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী দেশ থেকে যে-সব ছিপি আমদানী হয়, তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় দাড়াতে পারে না । এবার রবারের ব্যাপার বলি। রবার হ’ল সাধারণ নাম, কারণ জিনিষটা নানা বিভিন্ন ধরণের হয়। যাকে আমরা ইণ্ডিয়া রবার বলি এবং বাণিজ্য সম্পর্কে ধার নাম হ’ল Cantchonc, সেটা নানা গাছগাছড়া এবং শুন্মের গোড়া অথবা শাখার রস জমিয়ে তৈরি হয়। আমাদের দেশে এই জাতীয় গাছের মধ্যে বটশ্রেণীর এক রকম গাছ আছে —ভার নাম হ’ল Ficus charitica, সেইটাই হ’ল সকলের চেয়ে প্রয়োজনীয়। এই জাতীয় গাছ স্বভাবতই পূৰ্ব্ব দিকে নেপাল পর্য্যস্ত হিমালয়ের বাইরের অঞ্চলে కాt్క