न्कांडिक
- . লঙ্গয় রাঙা হইয়া হাসিমুখে চুপ করিয়া থাকিতাম।
তেরো বছরের ছেলে কি কথাই বা জানি! —কলকাতা দেখেছ পাৰু? —না, কে নিয়ে যাবে ? —আ স্থা, এবার আমি যখন যাব এখান থেকে, নিয়ে ধাব সঙ্গে ক’রে । বেশ আমাদের বাড়ী গিয়ে থাকবে, কেমন ত ? —কবে যাবেন খুড়ীম ? শ্রাবণ মাসে ? না, এখন কিছু দিন থাকুন এখানে । যাবেন না এখন। —কেন বল ত ? হাসিয়া তাহার মুখের দিকে ন চাহিয়া বলিতাম—আপনি খাকলে বেশ লাগে । নতুন বামুন হইয়াছি। তখনও একাদশী ছাড়ি নাই, যদিও এক বৎসরের বেশী উপনয়ন হইয়া গিয়াছে। প্রত্যেক একাদশীতে খুড়ীমা নিমন্ত্ৰণ করিয়৷ আমায় খাওয়াহঁতেন । নিজের হাতে আমার জন্য থাবার করিয়া রাখেন, কোন দিন মোহনভোগ, কোন দিন নিমকি কি কচুরি, বৈকালে বেড়াইতে গেলে কাছে বসিয়া যত্ন করিয়া খাইতে দেন। অনেক রকম ব্ৰত করিতেন, তার ব্রতের বামুন আমিই। পৈতে ও পয়সাই কত জমা হইয় গেল আমার টিনের ছোট বাক্সটাতে । আমিও অবসর পাইলেই খুড়ীমার কাছে ছুটিয়া যাইতাম, ছাদের কোণে বসিয়া কত আবোলতাবোল বকিতাম তার সঙ্গে। বই পড়িয়া শোনাইতাম। খুড়ীম বেশ ভালই লেখাপড়া জানিতেন, কিন্তু বলিতেন—পাবু, তুই পড়ে শোনা নিকি ? ভারি ভাল লাগে আমার তোর মুখে বই-পড়া শুনতে। তোর গলার স্বর ভারী মিষ্টি— আমাদের গ্রামে সে-বার “নিমাহ-সন্ন্যাস’ পাল হইয়াছিল }বারোয়ারিতে। পালাটার মধ্যে বিষ্ণুপ্রিয়ার একটা গান চমৎকার লাগিয়াছিল বলিয়া শিখিয়া লইয়াছিলাম, এবং , বেশ ভাল গাহিতে পারিতাম । নয়নে কখনো হেরিব না নাখ, দেখা হৰে মনে মনে । আমার নিশাৰ স্বপনে এসে এস তত্র, জাৰৱণে । খুড়ীমা প্রায়ই বলিতেন—পাবু, সেই গানটা গাও ত ? খুড়ীমা So) গ্রামের লোকে অনেকে কিন্তু খুড়ীমাকে দেখিতে পারিত না । * আমার কানেও এ-রকম কথা গিয়াছে। একবার রায়-বাড়ীর বড়গিল্পীকে বলিতে শুনিলাম—কি জানি বাপু জানি নে, ও সব কলকেতার কাও । সোয়ামী যার পাগলাগারদে, তার এত চুলবাধার ঘটাই বা কিসের, অত পাতাকাটার বাহারই বা কিসের, এত হাসিখুলীই বা আসে কোথা থেকে ! কিবে চং, কিবে শাড়ীর রং--না বাপু, আমার ত ভাল লাগে না—তবে আমরা সেকেলে বুড়েহাবড়, কলকেতার ফেশিয়ান ত জানি নি ? এ-রকম কথা আমি আরও শুনিয়াছি অন্ত অল্প লোকের মুখে । ● মনে হইত তাদের নাকে ঘুষি লাগাইয়া দিই, তাদের সঙ্গে ঝগড়া করি, তাদের বলি–ন, তোমর জান মা । তোমাদের মিথ্যা কথা । তোমাদের অনেকের চেয়ে খুড়ীমা ভাল—খুব ভাল । কিন্তু যাহার বলে তাহার। গ্রামসম্পর্কে গুরুঞ্জল, বয়স অনেক বেশী। কাজেই চুপ করিয়া থাকিতাম । তাহার চেহার, মুখশ্ৰী এতকাল পরে আমার খুব যে স্পষ্ট মনে আছে, তাহ নয় । কেবল এক দিনের উার অপূৰ্ব্ব কৌতুকোজ্জল হাসিমুখ গভীর ভাবে আমার মনে ছাপ ধিয়াছিল। যখন সে-মুখ মনে পড়ে তপন একটি উনিশ-কুড়ি বছরের কৌতুকপ্রিয়, হান্তমুখী সুন্দরী তরুণীকে চোখের সামনে স্পষ্ট দেখিতে পাই । সে-বার আমাদের গ্রামে কোথা হইতে এক দল পজপাল আসিয়াছিল । গাছপাল, বাশবন, সজনেগাছ, ঝোপঝাপ পঙ্গপালে ছায়া ফেলিল । খুড়ীমা ও আমি ছাদে দাড়াইয়া এ-দুগু দেখিতেছিলাম—দু-জনের কেহুই মার যে কখনও পঙ্গপাল দেখি নাই, তাহ বলাহু বাংল্য । হঠাৎ খুড়ীমা বিশ্বয়ে ও কৌতুকে আঙুল বাড়ায় দেখাইয়া বলিলেন— ও পাবু, দ্যাৰ্থ দ্যাথ—রায়েদের মিগাছে একটা পাতাও রাখে নি, শুধু গুড়ি আর ...Y. কাও ত কপনও দেখি নি—ও মাগো ! বলিয়াই কৌতুকে ও আনন্দে বালিকার মত খিলখিল