পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-> s to - கரக 酉口° as/ 三ーヒコ帽 পৌষ মাসে বহু সভাসমিতির অধিবেশন ভারতবর্ষ যে-রাজার অধীন, তিনি খ্ৰীষ্টিয়ান এবং তাহার নিযুক্ত প্রধান শাসনকৰ্ত্তারা খ্ৰীষ্টিয়ান । এই কারণে খ্ৰীষ্টিয়ানদের বড়দিন উপলক্ষ্যে এদেশের আপিস আদালত স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি বন্ধ থাকে। আগে দুই-তিন দিন ছুটি হইত। লর্ড কার্জনের আমল হইতে ছুটি দীর্ঘতর হইয়া আসিতেছে। এই বড়দিন পৌষ মাসে পড়ে। অৰ্দ্ধ শতাব্দী পুৰ্ব্বে যখন কংগ্রেসের অধিবেশন আরম্ভ হয়, তখন হইতে পৌষ মাসে কংগ্রেসের অধিবেশন ব্যতীত অন্ত অনেক সভাসমিতির অধিবেশনও হইয়া আসিতেছে । মধ্যে কয়েক বৎসর কংগ্রেসের অধিবেশন পৌষ মাসে না হইয়। অন্ত সময়ে হইয়াছিল ; এবার আবার পৌষেই উহার অধিবেশন হইয়াছিল । ডিসেম্বরের অৰ্দ্ধেক ও জানুয়ারী মাসের অৰ্দ্ধেক পৌষ মাসের মধ্যে পড়ে। গত পৌষে রাষ্ট্রনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাবিষয়ক, ধৰ্ম্মবিষয়ক, সংস্কৃতিসম্বন্ধীয় ও অন্তবিধ এত সভাসমিতির অধিবেশন হইয়া গিয়াছে, যে, তাহাতে যাহা কিছু বলা ও করা হইয়াছে তৎসমুদয়ের উল্লেখ ও আলোচনা একখানি মাসিকপত্রের কয়েকটি পাতায় করা অসম্ভব । বড় বড় দৈনিকেও তাঁহাদের অনেকগুলির সংবাদ সংক্ষেপে দেওয়া হইয়াছে, এবং অনেকগুলির কার্য্যকলাপের কোন আলোচনাই সম্ভবপর হয় নাই । { এত রকমের সভাসমিতির অধিবেশন হইতে ইহা বেশ বুঝিতে পারা যায়, যে, ভারতবর্ষের লোকেরা কেবল রাজনীতির কথা ভাবিতেছেন না, অন্ত অনেক বিষয়েও র্তাহাদের মধ্যে অনেকে মন দিতেছেন। এমন যদি হইতে ”-য় যে, সকলেই, কেমন করিয়া দেশের রাষ্ট্রনৈতিক iী স্বপরিবর্তন হয়, কেমন করিয়া দেশকে স্বাধীন করা গহার চিন্তা ও আলোচনা করিতেন, এবং দেশ স্বাধীন হইবার পর অন্ত সব বিষয়ে মন দিতেন, তাহা হইলে মন্দ হইত না । কারণ, বাস্তবিক পরাধীন দেশে অরাজনৈতিক কোন বিষয়ে কোন দিকে সম্যক উন্নতি হইতে পারে না, সে রকম উন্নতির সর্ববিধ চেষ্টাও পূর্ণমাত্রায় করা যাইতে পারে না। কিন্তু ইহাও সত্য, যে, স্বাধীনতার চেষ্টাও অন্যান্য অনেক দিকে উন্নতির উপর নির্ভর করে । তাহার দু-একটা মাত্র দৃষ্টান্ত দি । সামাজিক তাচ্ছিল্য উপেক্ষ অবহেলা লাঞ্ছনা উৎপীড়ন হইতে দেশের নানা শ্রেণীর অগণিত লোক মুক্তি না পাইলে তাহার স্বাধীনতার জন্য সমবেত চেষ্টায় যোগ দিবে কেমন করিয়া ? অতএব সামাজিক প্রচেষ্টাও চাই। স্বাধীনতা-প্রচেষ্টার বার্তা ও আহ্বান এই বিশাল দেশের সর্বসাধারণের নিকট পৌছাইতে হইলে অন্ততঃ সকল প্রাপ্তবয়স্ক লোককে লিখনপঠনক্ষম করা আবিস্তক । সকল রকমের সংস্কারকার্ষ্য এবং উন্নতি প্রগতি পরস্পরসাপেক্ষ । স্বতরাং রাষ্ট্রনৈতিক ছাড়া অন্ত রকমের বিস্তর সভাসমিতির প্রয়োজন আছে । র্যাহার যেরূপ শক্তি রুচি স্বধোগ অবস্থা তিনি তদনুসারে যেটি বা যে-যে গুলির সহিত সক্রিয় যোগ রাখিতে পারেন, রাখিবেন। অবস্থাবৈগুণ্যে আমাদের দেশের অনেক শিক্ষিত ও বুদ্ধিমান লোকের রাজনৈতিক প্রচেষ্টায় যোগ দিবার যে নাই । তাহারা গবক্ষ্মেণ্টের চাকরী করেন বলিয়া তাহীদের এ বিষয়ে স্বাধীনতা নাই। তাহাদের অনেকের আর্থিক অবস্থা ভাল ; কৰ্ম্মশক্তি অক্সাধিক সকলেরই আছে ; এবং স্বদেশহিতৈষণাতেও তাঁহাদের অনেকে রাষ্ট্রনৈতিক কৰ্ম্মীদের সকলের চেয়ে নিম্নস্থানীয় নহেন ৷ সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে রাষ্ট্রনৈতিক প্রচেষ্টা ছাড়া অন্ত যত রকমে দেশের হিত হইতে পারে, তাহা তাহারা করিলে তাহদের দেশহিতৈষণ সফল হয়, তাহাঁদের শক্তির ও অর্থের সদ্ব্যবহার হয়, এবং দেশের কিছু কল্যাণ হয়। खल्लुक्ल