পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ৰিৰিখ প্রসঙ্গ—রণfচ ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয় রাচি ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয়ের আচার্য্য, অধ্যাপকগণ, ছাত্রবৃন্দ ও তিন জন অতিথি রাচি ব্রহ্মচৰ্য্য বিদ্যালয় ১৯১৬ সালে যুৱক সন্ন্যাসী স্বামী যোগানন্দ সহকস্মিগণসহ কলিকাতার প্রাস্তে একটি ক্ষুদ্র আশ্রম ও তৎসংলগ্ন বিদ্যালয় স্থাপন করেন। পরে তিনি একটি আদর্শ বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য স্বৰ্গীয় মহারাজ মণীন্দ্রচন্দ্র নদীর নিকট নানা যুক্তি দিয়া একটি আবেদন করেন। মহারাঙ্গ আবেদনপত্র পাইয়া কলিকাতার ঐ ক্ষুদ্র আশ্রম-বিদ্যালয় দেখিয়া খুলী হন এবং একটি ব্রহ্মচৰ্য বিদ্যালয় স্থাপন ও চালনার সম্পূর্ণ পৃষ্ঠপোষক হইতে স্বীকৃত হইলে ১৯১৭ সালে দামোদর ষ্টেশনের নিকট দামোদর-তীরে স্বামী যোগানন্দ কর্তৃক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯১৮ সালে এই বিদ্যালয়টি রাচিতে স্থানান্তরিত হয়। মৃত্যুদিন পৰ্য্যন্ত. তিনি ইহার একমাত্র পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে তিনি বিদ্যালয়ের জন্ত কোনও স্থায়ী স্থান বা অল্প বম্বোবস্ত করিতে পারেন নাই । A=t অন্যান্ত কম্বিগণ হঠাৎ পৃষ্ঠপোষকহীন হইয়া অতিকষ্টে বিদ্যালয় চালাইতে থাকেন । এই অভাবের মধ্যেও বিদ্যালয়ের কোন বিভাগের কৰ্ম্ম বন্ধ হয় নাই । ১৯৩৫ সালে স্বামী যোগানন্দ ১৫ বৎসর পর আমেরিকা হইতে আগমন করিয়া বিদ্যালয়টিকে স্থায়ী ভাবে প্রতিষ্ঠিত করিবার ইচ্ছা করিয়া তাহার আমেরিকান শিষ্য ও বন্ধুবর্গের এবং বাংলা দেশের কোন মহাকুণ্ডব ব্যক্তির অর্থসাহায্যে রাচির ৭০ বিঘা বিস্তীর্ণ বাগানটি আশ্রমের জন্ত খরিদ করেন। তাহার অনুরোধে বর্তমান মহারাজা শ্রীশচন্দ্র নন্দী কিছু কম মূল্যে এই বাগান বিক্রয় করেন। স্থায়ী স্থান পাইয়া বিদ্যালয় নানা ভাবে কৰ্ম্মে অগ্রসর হইতেছে । নানা স্থান হইতে সাহায্য পাইবারও সম্ভাবনা হইয়াছে । . বর্তমানে বিদ্যালয়টি.“যোগদাসৎসঙ্গ সোসাইটি” নামে ১৮৬০ সালের ২১ আইন অনুসারে রেঙ্গেীকৃত সমিতির ট্রাটগণের অধীন। ইহা এখন কাহারও নিজস্ব সম্পত্তি নহে ।