পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SN9BN9 বিদ্যালয়-সংলগ্ন যোগদা সৎসঙ্গ আশ্রমে যে কোনও ধৰ্ম্মাবলম্বী ধৰ্ম্মপিপাস্ক ব্যক্তি সাধন ভজন করিতে পারিবেন। এই প্রতিষ্ঠানের দ্বারা স্থানীয় আদিম অধিবাসীদিগের ও অবহেলিত শ্রেণীর লোকদিগের জন্ত কয়েকটি বিদ্যালয়ের কাৰ্য্যও চলিতেছে। এই সমস্ত জনসেবামূলক কৰ্ম্মের জন্ত এবং বিদ্যালয়ের শিল্পবিভাগাদির জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন । আমরা এই বিদ্যালয় দেখিয়াছি । ইহাতে ছাত্রের স্বশিক্ষা পাইয়া থাকে। ইহা বাঙালীর প্রতিষ্ঠান এবং সৰ্ব্বসাধারণের সাহায্য ও সহানুভূতি পাইবার সম্পূর্ণ যোগ্য । রাচিৱ ‘বালিক শিক্ষাভবন” বাংলা দেশের বাহিরে এবং বাহ বাস্তবিক বাংলা দেশের অন্তর্গত কিন্তু অন্য প্রদেশের সহিত যুক্ত হইয়াছে এরূপ স্থানেও বাঙালী বালকদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা সহজ •হে ; বাঙালা বালিকাদের শিক্ষার ব্যবস্থ করা এরূপ স্থানসমূহে আরও কঠিন । কঠিনতার একটি কারণ এই, যে, এই সকল স্থানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের এবং বাঙালীর সংস্কৃতির সহিত বালক-বালিকাদিগের যোগ স্থাপন ও রক্ষ করা সুসাধ্য নহে । স্থগের বিষয়, নানা বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও এইরূপ অনেক স্থানের বাঙালীরা বালক-বালিকাদিগকে বাঙালী রাখিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন । রণfচর ‘বালিকশিক্ষাভবন” তাহার একটি দৃষ্টান্তস্থল। এই বিদ্যালয়টি হইতে বালিকার কালকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে পারে । আগামী বারে ১৫১৬টি বালিকা এই পরীক্ষা দিবে । ছাত্রীদিগকে এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত উচ্চ-ইংরেজী বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ তিনটি শ্রেণী ইহাতে আছে । মধ্য-ইংরেজী বিদ্যালয়ে আগেকার শিক্ষা পfহয়। ছাত্রীরা এখানে ভক্তি হয়। যাহার। এখান হইতে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা দেয়, তাহাদের এই একটি অন্ধবিধা আছে, ধে, তাহারা রণচিতে পরীক্ষা দিতে পারে না, তাহাদিগকে কলিকাতা কেন্দ্রে গিয়া পরীক্ষা দিতে হয় । ইহাতে ব্যয়বাহুল্য ও অন্ত অসুবিধা :আছে। সকল ছাত্রীর অভিভাবকদের এই অতিরিক্ত গুয়ঞ্জার বহন করিবার ক্ষমতা নাই । বর্তমানে বাংলা ও আসাম এই ছুটি প্রদেশ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকাভুক্ত এই দুটি প্রদেশ ভিন্ন অন্য কোন প্রদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার কেন্দ্র নাই । অন্য কোথাও কেন্দ্র হইতে পারে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বা কোন নিয়মে এরূপ নিষে আছে কি না জানি না । যদি না-থাকে, ভাহা হইলে বর্তমান কৰ্ম্মিষ্ঠ ও বিদ্যোৎসাহী ভাইস-চ্যান্সেলার শ্রীযুক্ত শুামাপ্রসা মুখোপাধ্যায় মহাশয় রাচিতে প্রবেশিকার একটি কেন্তু স্থাপন করিবার ব্যবস্থা করিলে তথাকার পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদিগের কৃতজ্ঞতাভাজন হইবেন । প্রবাসা বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রাচি অধিবেশন প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের চতুৰ্দ্দশ অধিবেশন রাচিতে স্থনির্ববাহিত হইয়াছে । এষ্টরূপ সম্মেলনগুলি হইতে সাক্ষাৎ ভাবে বাংল;-সাহিত্যের উন্নতি হইবার আশা কেহ বঙ্গীয় সাহিত্য সম্মেলন উনিশবার হইয়। গিয়াছে ; কয়েক বৎসর স্থগিত থাকিয়া তাহার বিংশ অধিবেশন চন্দননগরে হইবে । বাংলার নিজস্ব এই সম্মেলনটির দ্বার সাহিত্যের বিশেষ কিছু শ্রবৃদ্ধি হয় নাঙ্গ তথাপি তাহ ব্যর্থ বিবেচিত হয় না । সুতরাং প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের দ্বার। সেরূপ কিছু ফল উৎপন্ন না হইলে তাহা নৈরাপ্তজনক মনে করিবার কোন কারণ নাই । বঙ্গের সাহিত্য-সম্মেললে ভারতবর্ষীয় রাজনীতির আলোচল নিষিদ্ধ কিনা, জানি না । কিন্তু প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনে ভারতবর্ষের রাজনৈতিক কোন বিষয়ের আলোচনা ন-করিবার যথেষ্ট কারণ আছে । প্রবাসী বাঙালীদের মধ্যে অনেকেই গবন্মেন্টের কৰ্ম্মচারী বা পেন্সানভোগী বা তাহাদের পরিবারভুক্ত। এই সম্মেলনের উদ্বেখ্য প্রবাসী সমুদয় বাঙালীকে বঙ্গের সাহিত্য ও সংস্কৃতির সহিত যোগ ও সংস্পর্শ রক্ষা করিবার স্থযোগ দেওয়া। তজ্জন্ত বিশেষ কোণ শ্রেণীর বাঙালীদিগকে ইহা হইতে বাদ দেওয়া যায় না ; এবং সরকারী চাকুরিয়া বা পেন্স্যনভোগীদিগকে ইহার সহিত যুক্ত রাখিতে হইলে রাজনীতির চর্চা ইহার অধিবেশনগুলিতে করা চলে না । রাজনীতির প্রকাগু আলোচনা ন-করিলে সাহিত্যিক, সাহিত্যরসিক বা করে ন! ।