পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SෂෆSෂ প্রবাসী SN?BNーク ডাঃ শযুক্ত শিশিরকুমার মিত্র ডা: শ্ৰীযুক্ত রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, গধু গুণ অনুরূপ। দবা শ্ৰীযুক্ত রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়.

ডাঃ শ্ৰধুক্ত রাধাকমল মুখোপাধ্যায় তাহার বন্দে মাতরম্ গান কংগ্রেসের ও অন্য বহু রাজনৈতিক সভার অধিবেশনের পূৰ্ব্বে গীত হইয় থাকে। প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনে সরকারী চাকুরিয়াগণের প্রভাব বেশী থাকাতে ইহার মধ্যে সাহিত্যের পোষাকী ঠাট বড় হইয়া উঠিয়াছে, এইরূপ একটি অভিযোগ পড়িয়াছি । যাহার এই অভিযোগ করেন, তাহাদের বিবেচনার জন্ত কয়েকটি কথা নিবেদন করিতেছি । আমরা এই সম্মেলনের প্রত্যেক অধিবেশনের কথা এখন স্মরণ করিতে পারিতেছি না । কেবল দুইটির কথা বলিতেছি । গোরখপুরের অধিবেশনে এই প্রভাব ছিল না, কলিকাতার অধিবেশনে ছিল না ; অথচ এই দুই অধিবেশনে সাহিত্যের ঠাট যেরূপ ছিল, অন্য সব অধিবেশনেও সেইরূপ ছিল । বঙ্গের সম্মেলনের উনিশটি অধিবেশন হষ্টয়া গিয়াছে। তাহার উপর সরকারী চাকুরিয়াদের প্রভাব ছিল না। তাহাতে সাহিত্যের ঠাট যেরূপ ছিল, প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনেও ঠাট সেক্ট রকম আছে । রাচির অধিবেশনে অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি সহকারী সভাপতি প্রধান কৰ্ম্মসচিব প্রভৃতি প্রধান কৰ্ম্মকৰ্ত্তাদের অধিকাংশ সরকারী চাকুরিয়া নহেন বলিয়া শুনিয়াছি । স্থাস্তব জগতের বেনাঞ্চনি রাচির বাঙালীরা শুনিতে পাম ষ্ট্র, বা বাংলার যুবকজীবন হইতে তাঙ্গরা বহুদূরে বাস করেন, এরূপ মনে করিবার কোন কারণ নাই । সেখানেও শিক্ষিত বাঙালী যুবকদের মধ্যে বেকার-সমস্তা প্রবল, সেখানেও বাঙালী যুবক অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়া জেলে গিয়াছিলেন আমরা স্বয়ং জানি । রাচির অধিবেশনের কৰ্ম্মীদের মধ্যেও এরূপ লোক ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেনের দুটি অভিভাষণ প্রবাসী বঙ্গসাহিত্য সম্মেলনের রাচি অধিবেশনে শ্রীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন সাধারণ সভাপতি ও সাহিত্য-বিভাগের সভাপতি ছিলেন । র্তাহার পত্নীকে মুমুমু অবস্থায় বাড়ীতে রাথিয় তাহাকে রাচি যাইতে হইয়াছিল । তিনি দীর্ঘকাল ঐ অবস্থায় ছিলেন । হয়ত সেই কারণেই দীনেশবাবু র্তাহার অভিভাষণ দুটি খুব ভাবিয়া চিস্তিয়া লিখিতে পারেন নাই । তাহার রাচি পৌছিবার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই র্তাহার পত্নীর মৃত্যুসংবাদ সেখানে পৌছে, যদিও সে খবর তখন তাহাকে জানান হয় নাই । ইহা সাতিশয় শোকাবহ । দীনেশ বাবু সাহিত্য-বিভাগের সভাপতিরূপে তরুণ সাহিত্যিকদের “কাহারও কাহারও মত” এবং লেখার বিরুদ্ধে মন্তব্য প্রকাশ করায়, সভাস্থলে প্রকাশু আলোচনা না হক্টলেও, আলোচনা খুব হইয়াছিল এবং উত্তাল্পরও আবির্ভাব খুব হইয়াছিল । সব তরুণ লেখকের লেখার র্তাহার উল্লিখিত দোষ নাই—হয়ত তিনিও তাহা মনে করেন না, এবং সব অ-তরুণের লেখা উপনিষদ বা ভগবদগীতার মত নহে । দীনেশবাবু কোন কোন লেখকের লেখা হইতে যাহা উদ্ধত করিয়াছিলেন, তাহা অতি জঘন্ত । শুনিতে লজ্জা বোধ হইতেছিল । তিনি যে অশ্লীল পুস্তকসমূহের তালিকা প্রস্তুত করিয়া তাহ পাঠ করার নিষেধবিধি ঘোষণা করিতে বলিয়াছেন, তাহাতে উল্টা ফল হইবার আশঙ্কা করি—তাহাতে ঐ সকল বহির পাঠকংখ্যা বাড়িবার সম্ভাবনা আছে । দীনেশবাবুর এই অভিভাষণটির বিস্তারিত আলোচনা করা আমাদের উদ্দেশু নহে । তাহার সহিত আমাদের কোন কোন বিষয়ে মতভেদ আছে। যেমন, তিনি “চোখের বালি”র বিনোদিনীর যাহা সহজ পরিণতি বলিয়াছেন, তাহা অবশুম্ভাবী মনে করি না, এবং কবি সেই ‘সহজ পরিণতি না দেখানতে র্তাহার পরিকল্পনা কতকটা inartistic হইয়াছে