পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sల్ఫిులి প্রবাসী SN9gN9 করাইয়া লওয়া হইয়াছে । কিন্তু অল্পতা সত্বেও যে অনেক কৰ্ম্মচারীকে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময়ের জন্য নির্বাচনপ্রতিযোগিতার-কার্য্যে ব্যাপৃত রাখা হইতেছে, তাহাতে কি উপযুক্ত কাৰ্য্য পরিচালনার ব্যাঘাত হয় না ? এতদ্ব্যতীত কৰ্ম্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাইলেও যে এই পথ অবলম্বিত হইবে ন, তাহারই বা নিশ্চয়তা কি ? কিছু দিন পর্য্যন্ত মন্ত্রী মহোদয়ের পশ্চিম-বঙ্গের নির্বাচনপ্রতিযোগিতার কাজকৰ্ম্ম ডায়মণ্ডহারবার অঞ্চলেই কেন্দ্রীভূত হইয়াছে। রেজিষ্ট্রারের তত্ত্বাবধানে কোনও একটি গেজেটেড, অফিসার সমিতি এবং সমবায়ু-বিভাগের কৰ্ম্মচারিগণের সাহায্যে এই অঞ্চলে মন্ত্রী মহোদয়ের কৃতকাৰ্য্যভার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছেন। শুনা যায়, রেজিষ্ট্রার সাহেবও পল্লী-সংস্কার প্রভৃতি নানা কার্ধ্যের অজুহাতে ঐ অঞ্চলে ঘন ঘন ঘাতায়াত করিয়া নিৰ্ব্বাচন-কাৰ্য্য পরিদর্শনাদি করিয়া থাকেন। আরও শুনা যায়, যে মন্ত্ৰী-মহাশয়ের সাহায্যকল্পে সমবায়-বিভাগের প্রেসিডেন্সী ডিভিজন এলাকাস্থ কতক কৰ্ম্মচারীকে মফস্বল হইতে কলিকাতা আনা হইয়াছে। কলিকাতার কৰ্ম্মচারীদের মধ্যেও অনেকে এই কম্মে ব্যাপৃত হইয়াছেন। মন্ত্ৰী-মহাশয়ের অধীনস্থ অন্য এক বিভাগের জনৈক উচ্চ কৰ্ম্মচারীও র্তাহার এই অঞ্চলস্থ জমীনারী এবং পৈত্রিক প্রতিপত্তির বলে মন্ত্রীমহাশয়ের বিশেষ সাহায্যে রত আছেন । আমরা পূৰ্ব্বেহ বলিয়াছি যে সমবায়-সমিতিসমূহের রেজিষ্ট্রীর মহোদয় কৃষি ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী মহোদয়ের নিৰ্ব্বাচন ব্যাপারে এক প্রকার এই প্রদেশের প্রধান কাৰ্য্যকৰ্ত্ত হিসাবে কাৰ্য্য করিয়া আসিতেছেন। তাহার এই কাধ্যে বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীরূপে তিনি ডিপার্টমেন্টের এক জন গেজেটেড অফিসারকে পাইয়াছেন। এই অফিসারটি সমবায়-বিভাগের বিশেষ কার্ধ্যের জন্য বিশেষভাবে নিযুক্ত। অনুসন্ধান করিলে জানা যাইবে যে যে-কার্ধ্যের জন্য তিনি নিযুক্ত হইয়াছেন সেই কাৰ্য্যের সঙ্গে র্তাহার সম্বন্ধ যতটা তাহ হইতে অনেক বেশী হইতেছে রাজনৈতিক কাজ ; যথা কাউন্সিলের মেম্বারগণকে ঠিক পথে চালান, সমবায় কৰ্ম্মচারী নিয়োগ এবং বদলি ও সায়েস্তা করার কার্ষ্যে রেজিষ্ট্রারকে উপযুক্ত পরামর্শ ইত্যাদি দান এবং যে-সকল সমিতি কিংবা কৰ্ম্মচারিকে রেজিষ্ট্রার এবং মন্ত্রীর আজ্ঞাধীনে আন প্রয়োজন তাহার ব্যবস্থা ; র্তাহার উপর কলিকাতার একটি বিশিষ্ট সমিতির কার্য্যভার ন্যস্ত করা হইয়াছে, তাহ হইতে নানা প্রকার সাহায্য প্রয়োজন হইলে এই সকল কাৰ্য্যের উন্নতির জন্য নিয়োগ, ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যবস্থা-পরিষদে শ্ৰীযুক্ত নরেন্দ্রকুমার বস্থর চেষ্টায় কাউন্সিলে সমবায়-বিভাগ সম্বন্ধে যে আলোচনা হইয়াছিল, তাহাতে মন্ত্রী সাহেবের কৃতকাৰ্য্যত এবং উপরোক্ত সভাটির পরাজয় অনেকট এই গেজেটেড অফিসারটির উপযুক্ত লবিষ্টঙের ( lobbying-এর ) ফল-স্বরূপ। কিছু দিন পূৰ্ব্বে এই সমিতির সভাপতিরূপে শ্ৰীযুক্ত মোহিনীকান্ত ঘটক মহাশয় নিযুক্ত হন। যখন দেখা গেল, তিনি বিভাগের আজ্ঞাধীনে থাকিবার মত লোক মহেন, তখন হঠাৎ র্তাহাকে সরাইয়৷ মন্ত্রী সাহেবের এক জন প্রতিপত্তিশালী আত্মীয়কে ( যাহার নির্বাচনের জন্য একটি উপযুক্ত কেন্দ্রের অতুসন্ধান চলিয়াছিল ) নিযুক্ত করা হইয়াছে। শ্ৰীযুক্ত মোহিনীকান্ত ঘটক এই সমিতির অপূর্ব কাৰ্য্যাবলী সম্বন্ধে গবন্মে টিকে জ্ঞাত করিয়াছেন । কিন্তু উপযুক্ত তদ্বিরের ফলে তিনি যাহা জানাইয়াছেন তাহ চাপা পড়িয়া আছে । আমরা আশা করি বাংলা-সরকার এবং গবর্ণরের দৃষ্টি এ-বিষয়ে আকৃষ্ট হইবে। মন্ত্রী-মহাশয়ের প্রতিপত্তিশালী সমর্থনকারীদের মধ্যে বীরভূম ও নদীয়া অঞ্চল হইতে কংগ্রেস-মনোনীত প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে র্যাহারা দাড়াইয়াছেন তাহারাও কি মন্ত্রী সাহেবের নির্বাচন-প্রতিযোগিতায় যে-সকল উপায় অবলম্বিত হইয়াছে তাহারই সাহায্যে প্রতিদ্বন্দ্বীদিগকে পরাজিত করিতে আশা করেন ? এদেশে সমবায়-সমিতিসমূহের স্বষ্টির সময়েই রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ব্যাপারে নিরপেক্ষতা একটি অবিfগুক নীতিরূপে গৃহীত হইয়াছিল। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবেও সমবায়-বিভাগের এই জাতীয় কার্ধ্যে হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ। কিন্তু আসন্ন নিৰ্ব্বাচনে সমবায়-বিভাগের প্রধান কৰ্ম্মচারী হইতে আরম্ভ করিয়া অনেকেই কৃষি ও শিল্প বিভাগের মন্ত্রী মহাশয়ের সাহায্যের জন্য রাজনৈতিক কার্ষ্যে রত থাকিয়া এই রীতি লঙ্ঘন করিয়া আসিতেছেন। যদি সরকার-পক্ষ