পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

అSది প্রবাসী RN98N9 নুতন আইনটার সাহায্যে দেশের লোকদের যথাসম্ভব স্ববিধা করিয়া লইবার কথা বোম্বাইয়ের সরু চিমন লাল সেতলবাদ প্রভৃতি উদারনৈতিক নেতারা আগেও অনেক বার বলিয়াছেন। অথচ সেটাকে তাহারা সাতিশয় অসন্তোষজনক ও গ্রহণের সম্পূর্ণ অযোগ্যও বলিয়াছেন। তথাপি সেটাকে কামধেন্সবৎ মনে করিবার কারণ কি ? বালি সাধারণ গ্রন্থাগারের সুবর্ণজয়ন্তী পৌষে বালি সাধারণ গ্রন্থাগারের স্থবৰ্ণজয়ন্তী হইয় গিয়াছে । বালির মত ছোট একটি নগরে ৫০ বৎসর ধরিয়; একটি সাধারণ গ্রন্থাগারের কাজ ক্রমোন্নতি সহকারে চলিয়া আসা তথাকার নাগরিকদের জ্ঞানানুরাগ ও সাৰ্ব্বজনিক কাজে উৎসাহের পরিচায়ক । ইহা বলিবার বিশেষ কারণ আছে । বালির এই সাধারণ গ্রন্থাগারের বাড়ীটি এবং শুহার অনেক হাজার পুস্তক কোন এক বা দুই-এক ধর্মী ব্যক্তির দানে নিৰ্ম্মিত ও ক্রীত হয় নাই। এগুলি বহু ব্যক্তির অল্পাধিক দানের পরিচায়ক । বালির নাগরিকের কেবল ষে টাকাই দিয়াছেন, তাহা নহে। তাহারা তাহণদের গ্রন্থাগারটির জন্য সময় এবং শক্তিও ব্যয় করিয়াছেন । ইহার সর্বববিধ কাজ অবৈতনিক কৰ্ম্মীদের দ্বারা এ-পর্ধ্যস্ত নিৰ্ব্বাহিত হইয়া আসিতেছে। এই গ্রন্থাগারের জন্য পুস্তকক্রয় বিচার পূর্বক করা হয়, এবং ভাল বহি যাহাতে পঠিত হয়, তাহার চেষ্টা করা হয়। র্যাহারা সামান্ত চাদাও দিতে অসমর্থ অথচ যাহাদের পাঠাকুরাগ আছে, এই গ্রন্থাগার তাহদেরও পড়িবার যথাসাধ্য সুবিধা করিয়া দিয়া থাকে । দেশে গ্রন্থাগার যত বাড়ে এবং তথায় রক্ষিত ভাল ভাল বহি যতই পঠিত হয়, ততই ভাল। কারণ, আমাদের দেশের দারিদ্র্য শুধু আর্থিক নহে, মানসিক দারিদ্র্যও খুব বেশী। স্থব্যবহৃত গ্রন্থাগারসমূহ মানসিক দারিদ্র্য দূর করিবার অন্যতম প্রধান উপায় । নিখিল ভারত নারীরক্ষা সম্মেলন পৌষে কলিকাতায় নিখিল ভারত নারীরক্ষা সম্মেলনের অধিবেশন হইয়া গিয়াছে। ইহা কেবলমাত্র নারীদের সম্মেলন । নারীরা যে এই কাজে মন দিয়াছেন, তাহী সন্তোষের বিষয়, কিন্তু পুরুষদের অগৌরবের বিষয়ও বটে । পুরুষদের মধ্যে দুবৃত্ত নরপিশাচ এত বেশী না-থাকিলে নারীরক্ষা সমিতি ও নারীরক্ষ সম্মেলনের প্রয়োজন হঠত না। এক দিকে যেমন এই পিশাচদের কুপ্রবৃত্তি ও গুণ্ডামি আছে, তেমনি যদি অন্য দিকে অন্য পুরুষদের সুবুদ্ধি, পৌরুষ ও সাহস থাকিত তাত হইলেও নারীরক্ষা সমিতি ও নারীরক্ষা সম্মেলনের প্রয়োজন না। রাষ্ট্রের অপেক্ষাকৃত ঔদাসীন্য এবং আবশ্যকমত আইন প্রণয়নে অবহেলা ৪ বৰ্ত্তমান আইন কাৰ্য্যতঃ প্রয়োগে অবহেলা ৪ ভারতবর্ষে ও বঙ্গে নারীনিগ্রহের প্রাদুর্ভাবের জন্য দায়ী । হিন্দুসমাজ দুৰ্ব্বন্ত পুরুষকে সমাজচ্যুত করিবার ক্ষমতা হারাষ্টয়াছে, কিন্তু নিরপরাধা অপহৃত ধষিত নিগৃহীত। নারীদিগকে এখনও অনেক স্থলে গৃহে ও সমাজে আশ্রয় হইতে বঞ্চিত করে। এ-বিষয়ে সমাজকে দ্যায়পরায়ণ, সহৃদয় ও দূরদর্শী হইতে হইবে। নারীদিগকেও স্বশিক্ষার দ্বারা, র্তাহাদের দেহমনের শক্তি বাড়াইয়া, আত্মরক্ষণয় সমণ করিতে হইবে । নারীনিগ্রহের প্রতিকার ও তাহার উচ্ছেদ সাধন করিতে হইলে এইরূপ নানা উপায় অবলম্বন করিতে হইবে । ইহ'ত শিক্ষার উন্নতির ওজুহাতে শিক্ষার সঙ্কোচ ব্রিটিশ-ভারতবর্ষের সর্বত্র শিক্ষার উৎকর্ষ সাধন ব্যপদেশে, প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে বিশ্ববিদ্যালয় পৰ্য্যস্ত সৰ্ব্বত্র, তাহার সঙ্কোচসাধনের চেষ্ট হইতেছে, এবং এই সঙ্কোচসাধন প্রয়াসের ঢেউ দেশী রাজ্যগুলিতেও অবহু গিয়া পৌছিড়েছে। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালিত রাষ্ট্রগুলিতে কিন্তু দোষক্ৰটি সংশোধনের নামে সংহার বা সঙ্কোচসাধন করা হয় না। আমাদের প্রাথমিক পাঠশালাগুলিকে অকেজো বলা হয়, তাহাতে লিখনপঠনক্ষমত্ব পর্য্যস্ত অনেক ছাত্রছাত্রীর হয় না বলা হয়। অনেক স্থলে তাঁহা সত্যও হইতে পারে। কিন্তু এই দোষ সংশোধনের