পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

एञव्नशं-८ञ्झुन्वतः। বলেছ ত যে বিয়ে হবার আগে কোন ভজ মেয়ে পুরুষমানুষকে ভালবাসে না ? তাহলে পৃথিবীতে ক'টা যে ভদ্র মেয়ে আছে খুজে বার করা শক্ত।” মনীষা বলিল, “তুমি বলতে চাও যে সব মেয়েই ঐ রকম করে ?” স্নেহলতা খুব বিজ্ঞের মত বলিল, “হয় করে, নয় মিথ্যে কথা বলে ।” হৈমন্তী বলিল, “এ তোমার অন্যায় কথা ভাই। মানুষ সব রকমন্স আছে। সবাই তোমার শাস্ত্রও মেনে চলে না, মনীষার শাস্ত্রও মেনে চলে না।” স্নেহলতা বলিল, “বাইরে না মানতে পারে, কিন্তু যোলসতের বছর বয়স হয়েছে, অথচ মনে মনেও কিছু হয় নি, এমন যার বলে তারা মিথ্যে কথা বলে। মানুষ ওরকম ভাবে তৈরিই নয়।” স্বধী বলিল, “তোমার ভালবাসা মানে কি ? কাউকে কারুর একটু ভাল লাগলেই ভালবাসা হয়ে গেল ? অমন ত কত মানুষকেই লোকের ভাল লাগে। পৃথিবীতে জ্ঞান হয়ে পৰ্য্যস্তই ধরতে গেলে ত আমরা মানুষকে ভালবাসি। তার জন্তে বয়স হবার দরকার করে না ।” স্নেহলতা বলিল, “তা কেন ? পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশী ভালবাসা। যার জন্তে বাপ-মাকেও ছেড়ে দেওয় যায়, সেই রকম ভালবাসা। তুমি যেন আর কিছু বোঝ না ?” স্বধা বিস্মিত হইয়া বলিল, “যে তোমার সত্যি কেউ হয় না, তার জন্তে বাপ-মাকে ছেড়ে চলে যাবে? এও কি কখনও হয় ? যে আমন কাজ করতে বলে সে কখনও সতি্যু ভালবাসে না।” মনীষা এইবার গাল ফুলাইয়া বলিল, “দেখলে ত ? এই কথা আমি বলেছিলাম বলে আমায় যা খুশী বললে নিৰ্ব্বিবাদে।” স্নেহলতা বলিল, “স্বধ, তুমিও ভাই মনীষার মত খুকী সেজে না। সত্যি কথা বলতে তোমার ভয় কি ? তোমায় ত কেউ গল টিপে যার তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেবে Fil, ?" হৈমন্ত্ৰী বলিল, “স্নেহ, মনীষার পেছনে অমন ক’রে S2BNー) লেগেছ কেন ভাই ? ওর যা বিশ্বাস তা ও বলবে না ? সব মাতুষই নিজের মতকে সত্য ব'লে মনে করে ।” স্বধী বলিল, “আমি খুকী সাজছি না ভাই। তোমার কথা ভাল ক'রে না বুঝে আমি জবাব দিতে পারব না। আমাকে ভেবে দেখতে হবে ।” স্নেহলতার আজ রোগ চাপিয়া গিয়াছিল। সে বলিল, “ভেবে আবার দেখবে কি ? এত রোমিও জুলিয়েট, আইভ্যান ঙ্গো, শকুন্তল, উত্তরচরিত পড়লে আবার ভেবে না দেখলে বুঝতে পারবে না ? তোমরা প্রমাণ করতে চাওঁ যে আমি সকলের চেয়ে পাক, আর তোমরা এখনও কেউ কিছু বোঝ না। সব ‘ব্রেড এণ্ড বটর মিস ।" এ-কথার কি জবাব দিবে স্বধা ভাবিয়া পাইল না। সে কিছুই বোঝে না বলিলে সভ্য বলা হয় না এবং স্নেহলতাও বিশ্বাস করিবে না, অথচ তাঙ্গর কথা সব ঠিক বুঝিয়াছে বলিলেও মিথ্যা বলা হয় এবং মর্মযার প্রতি অন্তায় করা হয় । বাস্তবিকই তাহাকে ভাবিয়া দেখিতে হইবে । গল্পের বষ্টয়ে অনেক প্রেমের কথা সে পড়িয়াছে বটে, কিন্তু সেগুলি বাস্তবের সহিত মিলাইতে কখনও সে চেষ্টা করে নাই । গল্পেতে সব জিনিষ বাড়াবাড়ি করিয়া লেখার একটা নিয়ম আছে, ইহাঙ্গ সে ছেলেবেলা হইতে মালিয়া লইয়াছিল। স্নেহুলভা শুনিলে চটিয়া যাইবে যে সংস্কৃত ও ইংরেজী সাহিত্যের অনেক প্রেমিক-প্রেমিকার বক্তৃতাই স্বধায় এক এক সময় পাগলের প্রলাপের মত লাগিয়াছে, তাঙ্গ ভাল করিয়া বুঝিয়া দেখিতে অবহু সে বিশেষ চেষ্টাও করে মাই। গল্পাংশটার দিকেই এ-সব সময় তাহার ঝোক থাকে বেশী, অন্য জিনিষগুলিকে অবাস্তর ভাবেই সে গ্রহণ করিয়া গিয়াছে । ঢং ঢং করিয়া ঘণ্টা পড়িল । টিফিনের ছুটি ফুরাইয়া গিয়াছে। সকলে উৰ্দ্ধশ্বাসে সিড়ি বাহিয়া ছুটিতে লাগিল । ইতিহাসের পড়া আছে। মাষ্টার মহাশয় ঘণ্টার আগেই ক্লাসে আসিয়া বসিয়া থাকেন, কে কতখানি দেরী করিয়াছে সব লক্ষ্য করিবেন। বিবাহ বিষয়ে দারুণ তর্কযুদ্ধ আপাতত ধামা চাপা দিয়া সকলকে বষ্ট লইয়া ইংরেজরাজত্বে ভারতের মহোল্পতির কথা চিন্তা করিতে হইবে। মনীষা ও স্নেহলতার তর্বটা কিন্তু স্বধার মনে গভীর