পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( পূজ্যপাদ রবীন্দ্রনাথের ) কাছে উপস্থিত হই। ইচ্ছা ছিল, গুরুদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করিয়া পরে বড় বাৰু মহাশয়ের ( আমরা দ্বিজেন্দ্রনাথকে বড় বাবু মহাশয় বলিতাম ) নিকট যাইব । তিনি কিন্তু ইহারই মধ্যে আমার সেখানে আসার কথা শুনিয়াই চাকর পাঠাইয়া সংবাদ দিলেন যে, আমি যেন অবিলম্বে গিয়া তাহার সঙ্গে দেথা করি । আমি গিয়া দেখিলাম তিনি ভিতর বাড়ীতে খুব বড় একখানি খাটে শুষ্টয়া আছেন। আমি ঘরে ঢুকিতেই থাটের উপরে অৰ্দ্ধোখিত অবস্থায় আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া বলিলেন, “আমুন শাস্ত্রী মহাশয়, আঞ্চন। শুকুল, আমি এক শ্লোক রচনা করিয়াছি।” এই বলিয়াই তিনি হো হো করিয়া হাসিতে লাগিলেন । সে যে কি হাসি, তা যে তাহার হাসি না শুনিয়াছে সে বুঝিতে পারিবে না। নীচু বাঙলায় র্তাগর হাসাশক আমরা বর্তমানের ‘আদি কুটীরে’র কাছে শুনিতে পাইয়াছি । তিনি তখন আমাকে ঐ থাটের একপাশে বসাইয় শ্লোকটি পাঠ করিলেন— ডাক্তারা ৰহব? সস্তি patientকে দগ্ধে-মারিণ: । দুলভাস্তে তু ডাক্তারা: patientকে শাস্তিদায়িনঃ ॥ শ্লোক পড়িয়াই আবার সেক্টরূপ উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিলেন । ইহ থামিতে একটু সময় লাগিয়াছিল। পূর্বেই বলিয়াছি, তাহার ডাক্তারদের প্রতি শ্রদ্ধা ছিল না, ঐ শ্লোকে তাহাই কেমন চমৎকার ভাবে প্রকাশ পাইয়াছে। তাহার এই রচনাটি হইতেছে নিমিলিথিত শ্লোকটির পরিহাসাত্মক wood (parody): গুরবো ৰহব? সন্তি শিষ্যবিত্তাপহারকাঃ । গুরবে দুলভাস্তে তু শিষ্যসস্তাপহারকাঃ ॥ দ্বিজেন্দ্রনাথ মধ্যে মধ্যে বিশুদ্ধ সংস্কৃতেও এইরূপ দুষ্টএকটি কবিতা রচনা করিতেন। তিনি একখানি চিরকুটে লিখিয়া আমাকে পাঠাইয়াছিলেন— “শাস্ত্রী মহাশয়, আমি যে শ্লোকটার দুষ্ট চরণ আপনাকে শুনাইয়াছিলাম, তাহার চারি চরণ পূরণ করিয়া দিলাম, যথা— পয়সা কমলং কমলেন পয়ঃ, পয়স কমলেন বিভাতি সরঃ । মণিন বলয়ং বলয়েন মণিমণিন বলয়েন বিভাতি কর: ॥ নিশয় চ শশী শশিনা চ নিশ, নিশয় শশিনা চ বিভাতি শরৎ। রবিণ চ বিধুবিধুনা রবী রবিণ। বিধুনা চ বিভাতি জগৎ ॥ কেমন হইল এবার ?” “পয়সা কমলং” হইতে “বিভাতি করঃ” এই পধ্যস্ত একটি সম্পূর্ণ শ্লোক, ইহা প্রাচীন । দ্বিজেন্দ্রনাথ ইহাকেই দুই চরণ ধরিয়া শেষের নিজ কৃত সম্পূর্ণ শ্লোকটিকে অপর দুই চরণ বলিয়া ধরিয়াছেন। “রবিণ” হইতে “জগং" পয্যন্ত লিখিয়া তিনি যে আর একটি অর্থের ইঙ্গিত করিয়াছেন তাহ কেহ কেহ সঙ্গজেই বুঝিতে পারিবেন। তিনি স্থললিত বাঙলায় পদ্যে এই কবিতা দুষ্টটির অনুবাদও করিয়াছিলেন, কিন্তু আমি তাহা হারাইয়া ফেলিয়াছি । দ্বিজেন্দ্রনাথের সঙ্গে আমার অনেক সময়ে অনেক আলোচনা অন্যান্ত নানা কাজে আবদ্ধ থাকিতে হইত বলিয়। সব সময়ে তাহার কাছে আমার যাওয়া সম্ভব হহত না । তিনিও তভক্ষণ অপেক্ষা করিয়া থাকিতে পারিতেন না। তাই অনেক সময় ছোট ছোট চিরকুটে আমাদের প্রশ্নোত্তর চলিত। তিনি যে সব চিরকুট পাঠাইতেন তাহাদের অনেকের মধ্যে বড় চমৎকার কথা থাকিত। ওগুলি যত্ন করিয়া রাগিলে খুব ভাল হইত। পানকতক মাত্র আছে, তাহাঙ্গ প্রকাশ করিতেছি । سسامتة 落ぎマ 1 (S ) “শাস্ত্রী মহাশয়, আমি খুব জানি যে, আপনার মতো সাধুসঙ্গন ব্যক্তিরও সহিষ্ণুতার সীমা আছে, এই জন্য এবারে আমার বক্তব্যটা অতীব সংক্ষেপে সাfরলাম। সে কথা এষ্ট 2– আপনি যদি পক্ষপাতিত দোয গায়ে মাখিয়া লইয়া কালিদাসের ত্রৈমুম্বকের ব্যাল খান, এবং করশুবের ব্যালা আমার প্রতি থ গহস্ত হন—তবে আমি নাচার। নাছোড়বন্দ দ্বিজ ।” একটা শব্দের বুৎপত্তি আলোচনায় তিনি ইহা লিখিয়াছিলেন । ( & ) “শাস্ত্রী মহাশয়, আপনার চতুষ্পাঠীর বিদ্যাভূষণর ঘদি মাঝের