পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিষিদ্ধ দেশে সওয়া বৎসর রাহুল সাংকৃত্যায়ন శ్రీ তিব্বতের বিখ্যাত তান্ত্রিক কবি ও সিদ্ধপুরুষ জে-চুনমিল-রে-পার-নির্জনবাসের স্থান বলিয়া লপ-চী ভোটিয়াদ্বিগের নিকট অতি পবিত্র বলিয়া প্রসিদ্ধ। ভুকৃপা লামা ঐখানেই তাহার শেষজীবন নির্জনবাসে অতিবাহিত করিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু লপ-চীর পথের লা (গিরিসঙ্কট) তুষারপাতে দুর্গম বলিয়া কিছুদিনের মত যাত্রা স্থগিত রহিল। কুতীতে রাসস্থান বসতি সবই ভাল, বিশেষতঃ লবণ-ক্রেতাবিক্রেতা অনেক দূরদূরান্তর হইতে আসিয়া ভীড় করিয়াছে, স্বতরাং সেখানেই আরও কিছু দিন তাহার বিশ্রাম করা প্রয়োজন হইল। কুতী পৌছিবার পরদিনই আমি আমার পথপ্রদর্শক ও সাখীকে নেপালী তের মুহর ( el১০ ) দিয়া বিদায় দিলাম। তাতপানী পৰ্য্যন্ত আসার জন্ত তাহার পারিশ্রমিক চার মুহর ধার্ঘ্য হইয়াছিল, সুতরাং ঐ হিসাবে তাহার প্রাপ্য আট মুহুর মাত্র এবং তাঁহাই তাহার নিজের হিসাবে যথেষ্ট । আশাধিক দক্ষিণা পাওয়ায় অতি সন্তুষ্টচিত্তে প্রচুর লবণ কিনিয়া সে দেশে ফিরিয়া গেল। বৰ আগতপ্রায় ; এই সময়ের পূর্বের দুই তিন মাস কাল কুতীর পথঘাট লোকে ভরা থাকে। নেপালীরা চাউল, ভুট্টা ও অন্তান্ত শস্য লইয়া আসে এবং ভোটায়ের দল ভেড়া বা চমরীর পৃষ্ঠে লবণ বোঝাই করিয়া আনে। কুতীতে অনেক নেপালী সওদাগরের দোকান আছে, তাহারা শস্য ও লবণ দুই-ই কিনিয়া রাখে, কেহবা বিনিময়ে সোভ শস্য বা লবণগ্রহণ করে । লবণ ভিন্ন ভোটীয়ের সোড়াও বিক্রীর জন্য আনে ; এই সকল পদার্থই তিব্বতের কয়েকটি হ্রদের কূলে পাওয়া যায় এবং এগুলির উপর গুদ্ধও নির্ধারিত আছে। . কুজীর এই বিরাট হাটে নেপালীর যে-কোন ঘরে আশ্রয় লইয়া থাকে कि cच्छीव्ररक्द्र ८ख्छ ७ श्रृंख् श्रृङ झभौब्र श्रात्णब्र जप्न फेब्रुङ याख्य्नांडे परिच् श्व। - - *~*******कनेिन कूडौ cभौझिलांभ cनहे निनहे कटबक छन নেপালী ব্যবসায়ী লীগচীর (টশী-লুন-পে) পথে কুতীতে আসিল। এই পথে লীগচ-লাসা-যাত্রী নেপালীরা এইখানেই ঘোড়াভাড়ার ব্যবস্থা করে। ভাড়া টনী-লুন-পো পৰ্য্যন্ত ৪০-৪৫ সাং (তখন ১২—দেড় সাং)। এক ঘোড়ায় অত দুর যাওয়া যায় ন, পথে কয়েক বার ঘোড়া বদল করা প্রয়োজন। এই ' ভাড়ায় ঘোড়া বলে মায় খাওয়া থাকার ব্যবস্থা সবই ঘোড়াওয়াল করে। আমিও আমার সঙ্গী এই সওদাগরের দলের সঙ্গে যাইবার অনেক চেষ্টা করিলাম কিন্তু তাহার রাজী হইল না। চারি দিকেই নিরাশ হইলাম, এদিকে ডুকৃপা লামার পূজায় লোকের সমাগম বাড়িয়াই চলিল। চাউল, “খাতা" ও অল্পম্বর মুহুর ক্রমেই স্তুপাকার ধারণ করিতে লাগিল, মাংস ও ডিম্বও নিবেদন হইতে থাকিল। ২৯শে মে ডুকৃপা লামার নিকট “জোঙ-পোন" ( জেলা- . ম্যাজিষ্ট্রেট) মহাশয়ের তলব আসিল । সঙ্গীর দলের কেহ কেহ । আমাকেও ঐ সঙ্গে যাইতে উপদেশ দিলেন এবং বলিলেন “আমরা বলিব তুমি লাখী”। কিন্তু আমার কি জার কাজ নাই তাই “আয় ষাড়, আমায় গুতো” এই উদ্বেপ্তে । যাইব ? স্বতরাং ডুকৃপা লামার দলে আমি যাই নাই। জোঙ-পোন আগেই ডুকৃপা লামার নাম শুনিয়াছিলেন, সুতরাং বিশেষ খাতির করিলেন, লামা মহাশয়ও ভাগ্য-ভবিষ্ণ গণনা ও মন্ত্র-পূজাপাঠ করিলেন। সন্ধ্যার সময় দল ফিরিয়া : আসিল । শুনিলাম এখন এক জন মাত্র জোঙ-পোন আছেন, । অন্ত জন মৃত, তবে তাহার বিধবা সম্প্রতি কিছু কাজকর্ম দেখেন। এখনও অন্ত জোঙ-পোন নিযুক্ত হন নাই। তিব্বতে প্রতি গ্রামে প্রধান ! গোবা ) আছে এবং প্রতি অঞ্চলে ইহামের উপর জোগো থাকে, (জোঙ অর্থে কেল্লা এবং পোস্ অর্থে অধ্যক্ষ বা প্রধান ) এবং এই জোঙ, সাধারণতঃ পাহাড় বা টিলার উপর ক্ষপিত হয়। কৃতীর নিকট সোণপাহাড় না-থাকা কেয়া নীচের স্থাতে স্থাপিত ।