পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JJo প্রবাসা Sఆe;ఆగా মুস্কিল, স্বমিত্রার পাট যেমন শক্ত তেমনই লম্ব । কি ষে করি !" মাধুরী কুমার সাজিবে কুমারের কথাবাৰ্ত্তাগুলি একটা কাগজে সে লিখিয়া লইয়াছে, সেইটা হাতে লইয়া দাড়াইয়া ছিল—বলিল, “আপনার সব কতবার করেছেন, আর পারেনও ভাল—আপনাদের আবার মুক্ষিল কি নীহারদি । আমি যা ফ্যাসাদে পড়েছি সে আমিই জানি, একে ত কুমারের মুখে হাসির নাম নেই কোনখানে— আর ভাই ঐ নীলিমাকে যেই বলতে যাচ্ছি “আমারে কি করেছিস অরি বৃহকিনি এমন হাসি পাচ্ছে যে কিছুতে রাখতে পারছি নে। আর নীলিমাটা কি বেঁটে রে বাবা—আমার পেট অবধি ওর মাথাটা আসে । সত্যি, আমাকে যাই-ই দিন নীহারদি-অমি সব আপনাদের খারাপ ক'রে ফেলব।” মাধুরী হাসিতে লাগিল, কিন্তু রমলা মিত্র ধমক দিলেন। “তোমাদের অবধি সব আর সাধতে পারি নে। সবার মুখে কেবল ঐ এক কথা করব না আর পারব না। আর আমার নিজের পাট মুখস্ত চুলোয় গেল, আমার এখন কাজ হয়েছে তোমাদের সকলকে সেধে বেড়ান । ও সব চলবে না—যার উপর ধী ভার দেওয়া হয়েছে তার আর নড়চড় হবে না মনে রেথ । একবার যখন সব নেমেছ তখন কাজটা শেষ অবধি ক'রে তবে ছাড়াণ পাবে। নিজের নিজের পাট ভাল করে মুখস্ত করে পরও আবার এইখানেই সবাই আসবে, বুঝেছ ?...ওহো দেখেছ । আসল কথাই ভুল হয়ে যাচ্ছিল। শঙ্করের পাট করবে কে ? সেটা ত ঠিক হ’ল না।” বুদ্ধ শঙ্কর সাজিতে কেহই রাজী নহে। সকলকেই একবার করিয়া অনুরোধ করা হইয়া গিয়াছে, কিন্তু ফল হয় নাই। শঙ্কর বৃদ্ধ, শঙ্কর তৃত্য, শঙ্কর সাজিলে দাড়ি পরিতে হইবে ইত্যাদি কারণে শঙ্করের পাট কেহ করিতে চাহে না। নীলিমা একবার ভাবিয়াছিল ষে করিবে কিনা— কিন্তু শঙ্করের ত গান নাই—নীলিমার গানটা তাহা হইলে মাঠে মারা যায়। তাই তাহাকে ও পাট দেওয়াতে কাহারও মত হইল না। আপাতত: শঙ্কর-সমস্ত সকলকে ভাবাইয়া তুলিয়াছে। নীহারিক বলিলেন, “আচ্ছ ভাই, ছোটবোঁদিকে শঙ্কর সাজালে কি হয় ? একটু বয়েসও হয়েছে, আর ওকে যা বল ও তাইতেই রাজী, কোনও গোল নেই। সবাই মিলে একটু চেপে ধরলে ও ঠিক রাজী হয়ে যাবে। একটু মোট বেশী-পুরুষমানুষ সাজলে হয়ত ঠিক মানাবে না, কিন্তু তা আর কি করা যায়! ও-ই ঠিক হয়ে যাবে। দাড়াও আমি গাড়ী পাঠাচ্ছি।•••এই প্রীতি, যাও ত ভাই আমার গাড়ীতে, ছোটবোঁদিকে ধ’রে আন ত। এই ত বাড়ী— যাবে আর আসবে, দেরি করে না । রমলা মিত্র উচ্ছ্বসিত ভাবে বলিলেন, “সত্যি ঠিক মনে করেছেন। আপনার কিন্তু খুব উপস্থিতবুদ্ধি। আমি ত আজি কতবারই ভেবেছি যে ও পাটটি কাকে দেওয়া যায়—কিন্তু ছোটবৌদির নামটা ত কই মনে পড়ে নি। বাঃ বেশ বুদ্ধি দিয়েছেন আপনি ! সাতটা মাথা নইলে কি আর এ-সব কাজ হয়! একটা মাথায় আর কত দিকে ভাবব বলুন ?” ছোটবৌদি অর্থাৎ শ্রীমতী সরোজিনী দেবী কোনও অজ্ঞাত কারণে সকলেরই ছোটবৌদি। নীহারিকারও ছোটবোঁদি ; নীহারিকার একাদশবৰ্ষীয়া কন্যা রমারও ছোটবোঁদি এবং মিসেস্ চ্যাটাজী, মিসেস্ মিত্র, প্রীতি, মাধুরীরও ছোটবৌদি। প্রীতি কিছুক্ষণ পরে যখন এ হেন ছোটবোঁদিকে লইয় আসিয়া পৌছাইল, তখন রিহাসাল পুরাদমে চলিয়াছে। ছোটবৌদি ঘরে ঢুকিয়া হাসিয়া বলিলেন, “হ্য। ভাই তোমরা সব ক্ষেপলে নাকি ? তোমরা সব কি থিয়েটার করছ শুনছি, আমাকে নাকি তাতে কি সাজাবে ? তা যদি কিছু সাজাও ত বরং না-হয় রূপীর্বাদর সাজাও—তোমাদের থিয়েটারে নাচব । তাছাড়া ত আর কিছু সাজলে আমাকে মানাবে না ভাই।" রমল মিত্র, মিসেস চ্যাটাঙ্গী, নীহারিক, মাধুরী সকলে রিহাসাল ফেলিয়া মহাসমারোহে ছোটবোঁদিকে অভ্যর্থনা করিলেন, “আম্বন আম্বন ছোটবৌদি—বাচালেন আপনি এসে । কই, দাও, দাও শঙ্করের পাট ষে আলাদা করে লেখা আছে, এনে দাও শীগগির ছোটবোঁদিকে। আপনি না হ’লে এ পার্ট আমাদের হচ্ছিলই নী—মাটি হচ্ছিল সব।