পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांछुन्र প্রধান অঙ্গ। কোনও কৰ্ম্মের প্ররোচক ও অস্তনিহিত ভাব ও চিস্তার উপলব্ধি দ্বারা যেমন ঐ কৰ্ম্মের ও কীর যথার্থ স্বরূপ বোধগম্য হয়, তেমনই কোনও জাতির সমাজতত্ত্ব ও” ংস্কৃতির পরিচয়েই জাতীয় ইতিহাসের প্রকৃত স্বরূপ উপলব্ধি হয়। এই সমাজতত্ত্ব ও সংস্কৃতি-তত্ত্বই নৃতত্বের প্রাণ-স্বরূপ। পর্বেই বলিয়াছি যে ভারতের প্রাচীন ঋষিরা এই সত্য সম্যক উপলব্ধি করিয়াছিলেন। মানবের সমাজতত্ত্ব ও সংস্কৃতি-তত্ত্ব পুরাণেতিহাসের অঙ্গীভূত ছিল। মানবের বাহাবয়ব অপেক্ষা অন্তঃপ্রকৃতির উপরেই প্রাচীন হিন্দুঋষিদের অধিকতর দৃষ্টি থাকায় বাহাবয়ব সম্বন্ধীয় নৃতত্ত্ব ( Physical Anthropology) তাহাদিগকে আকৃষ্ট করে নাই । আধুনিক পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের মধ্যে ৪ কেহ কেহ এই বাহ অবয়ব সম্বন্ধায় নৃতত্ত্বের প্রামাণিকতা ও কাৰ্য্যকারিতা সম্বন্ধে সন্দিহান হইতেছেন । বস্তুত: মানবের শ্বেত-পীও-কৃষ্ণ প্রভৃতি বর্ণগত stfe-freto (race-classification ) পশুজগতের কিংবা èfg'i-gʻitvs< gitfs-Qew (differentiation of species ) হইতে অনেকটা বিভিন্ন। পশু বা উদ্ভিদের বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণ যেমন অধিক স্থলে অন্তর্বর হয়, মানবের বিভিন্ন জাতির সংমিশ্রণে সেরূপ বন্ধ্যতা দুষ্ট হয় না। ইহা মানবের মূলতঃ একজাতিত্বের পরিচায়ক। আর দেশভেদে ক্রমে জাতিভেদের উৎপত্তি হইলেও দেশাস্তর-গমন ( migration ) প্রভৃতি কারণে বিভিন্ন দেশের নানা জাতির মধ্যে যুগযুগান্তর হইতে এত সংমিশ্রণ চলিয়াছে যে আধুনিক সকল জাতিই অল্পবিস্তর বর্ণসঙ্কর,—মৃতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতদের এইরূপ অভিমত। ভারতের এই মহামানবের তার্থে বিভিন্ন কালে যে নানা জাতির সমাগম হইয়াছিল বর্তমান ভারতবাসীদের শোণিতে তাহার বিচিত্র স্বর কোথাও কোথাও আংশিকভাবে ধ্বনিত হইতেছে এই অনুমান একেবারে অমূলক বলিয়া মনে হয় না। প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন আৰ্য্যঋষিরা বাহপ্রকৃতির ও মানবের বাহ অবয়বের প্রতি অমনোযোগী ছিলেন না। কিন্তু তাহারা কেবলমানবের বান্ধ অঙ্গ-অবয়বের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ না করিয়া তাহার মধ্য দিয়া মানবের অস্তঃপ্রকৃতির অনুসন্ধান করিতেন ও উভয়ের সম্বন্ধ নির্ণয় করিতে যত্নবান ছিলেন। অঙ্গপ্রত্যঙ্গের আয়তন পরিমাপের অপেক্ষ তাহাদের আকার হাতহাস ও নৃতত্ত্ব ՏցՆԴ &RER e Stäxjgat: (expressionq: ) &tql f:fsi ব্যক্তির ও জাতির অস্তঃপ্রকৃতির পরিচয়ের সন্ধানে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন। যদিও তাহারা আদিম অসভ্য জাতিদের “কৃষ্ণত্বক” “খৰ্ব্বদেহ” ও “অঙ্কল্পত নাসিক" প্রভৃতি লক্ষ্য করিয়াছিলেন, তথাপি তাহাদের মস্তিষ্কের ও মাসিঞ্চার দীর্ঘ বা চ্যাপট বা মধ্যবিধ আকার অন্তসারে সমগ্র মানবজাভির জাতিবিভাগ করেন নাই। সংস্কৃতিতে সম্যক্ উন্নত ব্যক্তি মাত্রই আয্য পদবাচ্য হইতে পারিতেন । পূৰ্ব্বেষ্ট বলিয়াছি যে প্রাচীন আৰ্য্যঞ্চযিদের দৃষ্টি বিশেষভাবে অস্তমুর্গা ছিল। তাঙ্গর পর্য্যবেক্ষণের সাহায্যে পৰ্য্যাপ্ত দুষ্টান্ত সংগচ পরিয়া ব্যাপ্তি সিদ্ধাস্থের ( induction ) দ্বারা মানবের অস্থঃপ্রকৃতির সৎ-রজ”-তমঃ গুণ গুয়ের পরস্পরের আপেক্ষিক আধিক্য ও নুৱেত অনুসারে ‘ব্রাহ্মণ ‘ক্ষত্ৰিয় বৈশ্ব' ‘শদ্র’ এই চারি বর্ণে সমগ্র মানব-জাতিকে বিভক্ত করিয়াছিলেন। বিভিন্ন ব্যক্তির প্রকৃতি ও দেহাবয়বের ও চিত্তরত্তির উপর তাহাদের জাতাহের গ্রহ-নক্ষত্র ও চন্দ্রয্যের প্রভাব লক্ষ্য করিয়া এবং জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর সহিত মানবের শরীরের ও মনের সম্বন্ধ বৈজ্ঞানিক অন্তশীলনের দ্বার নির্ণয় করিয়া এইরূপ বর্ণবিভাগের পোষকতা করিয়াছিলেন। এই প্রাকৃতিক বর্ণবিভাগের সঠিত লৌকিক জাতি-বিভাগের কোনও সম্বন্ধ নাষ্ট । উপজাবিক-ভেদে যে ব্যাবহারিক জাতিভেদের উৎপত্তি হইয়াছে তাহার প্রত্যেক জাতিই বিভিন্ন স্বাভাবিক বর্ণের ব্যক্তিসমষ্টি । আয্যঋষিরা বংশগত স্বভাব ও সংস্কারের এবং উপজীবিকার প্রভাব অগ্রাহা করিতেন না বটে, কিন্তু কৌলিক ও লৌকিক জাতি-বিভাগকে অনমনীয় বা অপরিবর্তনীয় মনে করিতেন না । হিন্দুজাতির ও সমাজের অধঃপতনের সঙ্গে সঙ্গে ঐ পুস্তিগত জাতিভেদ সম্পূর্ণ বংশগত ও অপরিবর্ত্তনায়ু হৰ্ভয় পড়ে ও অস্পৃশ্যতা প্রভৃতি কুসংস্কারে দুষ্ট হইয়া সমাজকে বিকলাঙ্গ ও বিকারগ্রস্ত করিয়া ফেলে। বর্তমান বংশগত বিকৃত জাতিভেদ-প্রথা প্রাচীন ভারতের শাস্ত্রোক্ত গুণগত বর্ণভেদ-প্রথাকে ছায়াচ্ছন্ন করিয়া ক্রমে নিৰ্ব্বাপিত করিয়া ফেলিয়াছে । কিন্তু প্রাচীন আধ্যঋষিগণ এই গুণগত বর্ণভেদের উপরেই গুরুত্ব আরোপণ করিতেন । বস্তুতঃ নৃতত্ত্বের বা বিজ্ঞানের দিক্ দিয়া ভারতের বৃত্তি ও বংশগত