পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়াছিলেন, এবং ১৮১২ সালের ১৪ই জানুয়ারী গুরুদাস মুখোপাধ্যায় রামমোহন রায়ের বরাবরে এই দুই খানি তালুকের যে কবালা সম্পাদন করিয়াছিলেন, এই দুই খানি । দলীলেক্ট মন্দকুমার শর্ম বা বিদ্যালঙ্কার সাক্ষী আছেন । এই দুষ্ট খানি দলীলের সাক্ষীরূপে স্বাক্ষর স্বীকার করিবার জন্য নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কার জবানবন্দী দিয়াছেন । এই মোকদ্দমার কাগজপত্রের মধ্যে রামমোহন রায়ের জীবনের ইতিহাস সম্বন্ধে তাহার সংক্ষিপ্ত জবানবন্দী সৰ্ব্বাপেক্ষ মূল্যবান । রামমোহন রায়ের বৈষয়িক জীবন-চরিতে কোন বৈচিত্রা বা বৈশিষ্ট্য নাই, এবং তিনি নিজেও বৈষয়িক ব্যাপারে বিশেষ লিপ্ত ছিলেন না, রাজীবলোচন রায় তাহার বিষয়কৰ্ম্ম পরিচালন করিতেন। কিন্তু রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মজীবন বৈচিত্র্য এবং বৈশিষ্ট্যময় । নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কারের জবানবন্দীতে একটি উক্তি আছে যাহা রামমোহন রায়ের ধৰ্ম্মজীবনের ধার বুঝিবার বিশেষ সহায়তা করে। আমরা সংক্ষেপে মোকদ্দমার নিম্পত্তির বিবরণ প্রদান করিয়া এই উক্তিটির আলোচনা করিব । ১৮১৯ সালের ১৪ই মে প্রতিবাদী রামমোহন রায়ের পক্ষের শেষ সাক্ষী যশোদানন্দন ঘোষের জবানবন্দী হইয় :গলে, ২৭শে মে প্রতিবাদীর ব্যারিষ্টার আবেদন করিয়াছিলেন, মোকদ্দমায় গৃহীত জবানবন্দী এবং প্রমাণ প্রকাশিত করা হউক । ইহার অর্থ, উভয় পক্ষের সাক্ষীর জবানবন্দী বন্ধ করিয়া সওয়াল জবাবের দিন ধাৰ্য্য করা হউক । তখন যেন বাদী গোবিন্দপ্রসাদের নিদ্রাভঙ্গ হইল। তিনি ১১ই জুন এফিডেবিট করিলেন, তাঙ্গর পক্ষের দরকারী সাক্ষীগণকে হাজির করিবার জন্য এক মাসের সময় দেওয়া হউক। তদবধি ১৫ই সেপ্টেম্বর পৰ্য্যস্ত মোকদ্দমার ইতিহাস “গোবিন্দপ্রসাদের দাবী” নামক প্রবন্ধে বর্ণিত হইয়াছে। ২৪শে আগষ্ট গোবিন্দ প্রসাদ রায় পপার রূপে সরকারী খরচে মোকদ্দমা চালাইবার অল্পমতি চাহিয়াছিলেন । শেষ পৰ্য্যস্ত এই প্রার্থনাও নামঞ্জুর হইয়াছিল। তার পর কি ঘটিয়াছিল তাহা মুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি স্যার এডোয়ার্ড হাইড ঈষ্ট, এবং বিচারপতি প্রবাসী, ১৩৪৩, পৌষ, ৩৫২—৩৫, পৃঃ স্যার ফ্রানসিস ম্যাকন্যানটেন এবং স্যার আণ্টনী বুলারের রায়ে এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে— “This “alist coming on this day to lie tleliated before thi ( 'onrt in the learnel for the 1 befendant for tlie ('ompluiuiiut. etc." এই গুণাণীর তারিখ ১৮১৯ সালের ১০ই ডিসেম্বর শুক্রবার । বাদীপক্ষের কেহ তথম কোটে হাজির ছিল না। প্রতিবাদী ব্যারিষ্টার আসিয়া বক্তৃতা করিয়াছিলেন । তার পর রায়ে বার্দীর আধিক্তর এবং প্রতিবাদীর জবাবের সার কথা উল্লিখিত হইয়াছে, এবং উপসংহারে বলা হইয়াছে— Whereas after ilu siling of the sail answer find issue joined thereon mild examination of witness's hud and piiblication passed qind upon re:isling to hear .Judgment which issued out thi. heurl und presense of Counsel uıııl iio persion nppeariu: পক্ষের Subpoenn iilli «lity of ()i-tober in the year of our Hard out thousand eight hundred und nineteen und an nilidavi of t it raichund loss sworn this oth day of theolor last of the oltii. service thereof and upon reutlin: the otlive copy of ful outfer of tliis ( ', »iiri, ui;ioli- iii thi- r;iiis• v»ii tlit: * illa day .I lily last pist. iiiid upon heuring what was allowed loy lhe advocates for the IJeferidants. This ( 'ourt dotlı ılıınk fii to huljııdizo ( irili-r ıııııı | ww*rtw* ıuıtl olotli adjudge t )rder and i Moree that the stiid Hill of ( 'ınıııplaint of the said (Toruplain:int in tliis i ail-it: dei stand absolutely this Court with rosts. dismissed ont if iuuel froiii এখানে বাদী গোবিন্যপ্রসাদের দাবী সম্পূর্ণরূপে ডিসমিস্ করা হইয়াছে, এবং প্রতিবাদীর খরচের ভার বাদীর স্বন্ধে চাপাল হইয়াছে । রাজা রামমোহন রায়ের ঘরোয় জীবনের অনেক ঘটনার আভাস পাওয়া যায় বলিয়া আমরা গোবিন্যপ্রসাদ রায়ের আনীত মোকদ্দমার কাগজপর বিস্তুতভাবে আলোচনা করিলাম । এষ্ট আড়াই বৎসর ব্যাপী মোকদ্দমার বা সৰ্ব্বস্ব লষ্টয় টানাটানির ফলে রামমোহন রায় কলিকাতা আসিয় যে বিশ্বজিং যজ্ঞে দীক্ষা গ্রহণ করিয়াছিলেন—লে প্রচার কার্য্যে আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন, তাহার কোন ব্যাঘাত ঘটিয়াছিল কিনা তাহা এখন আলোচ্য। ১৭৬৯ শকের ( ১৮৪৭ সালের ) আশ্বিন মাসের ‘তত্ত্ববোধিনী’ পত্রিকা’য় প্রকাশিত “ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠার বিবরণ” নামক প্রবন্ধে লিপিত হইয়াছে—