পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যায়। উভয়ে একত্র হইয়া কি করিতেন ? শাস্ত্রালোচনা এক কাজ ছিল। তাহ ছাড়া, রামমোহন রায় বোধ হয় নন্দকুমার বিদ্যালঙ্কারের সহিত সাধন ভজন করিতেন— কুলাচারীর সহিত কুলাচার অঙ্গঠান করিতেন। পূৰ্ব্বেল্লিপিত “ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠার বিবরণ" প্রবন্ধে উক্ত হইয়াছে— শযুক্ত রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা শ্রীযুক্ত মন্দকুমার BBBDD LLg BB BKK KK BBBS BBBBBD তীর্থস্বামী কুলবিধৌত নামে খ্যাত হয়েন, তিনি যদিও রাজার সন্নিধানে ছায়াবং অনুগত ছিলেন, কিন্তু তিনি তন্ত্রোক্ত সাধন BBB BB BBB BBB BBBB BBBB BBBBB BDDD মিঠা মাত্র ছিল না । এই বচন পাঠ করিলে মনে হয়, নন্দকুমার বামাচারী ছিলেন। লেখক বামাচারের প্রতি একটু অবজ্ঞাও দেখাইয়ছেন । কিন্তু আস্তরিক সহানুভুতি না থাকিলে রামমোহন রায় যে একজন বামাচারীকে ছায়ার মত সঙ্গে সঙ্গে রাখিতেন এমন মনে হয় না । তিনি স্বয়ং এক সময় বামাচারী সাধক ছিলেন এইরূপ প্রমাণও পাওয়া যায় । ১৮২২ সালের চৈত্র ( মার্চ-এপ্রিল ) মাসে রামমোহন রায় এবং তাহার অনুবৰ্ত্তিগণকে লক্ষ্য করিয়া সংবাদ পত্রে চারিটি প্রশ্ন প্রকাশিত হইয়াছিল। তন্মধ্যে তৃতীয় প্রশ্নটি এই— ব্ৰাহ্মণ সজ্জনের অবৈধ হিংস করণ কোন ধৰ্ম্ম বিশেষতঃ সৰ্ব্বভুতে-fহতেরত অহিংসক পরম কাকুণিক আত্মতত্ত্ব জ্ঞানিদের আত্মোদর ভরণার্থে পরম হর্ধে প্রত্যঙ্গ ছাগলাধি ছেদন কারণ কি আশ্চৰ্য্য, এতাদৃশ সদাচর মহাশয় সকলের স্বহ্মপুরাণ অনুসারে ঐঠিক পাল্পত্রিক কি প্রকার হয় । দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরে রামমোহন রায় লিখিয়াছেন— কৌলের ধৰ্ম্ম যে নিবেদিত মংস্ত মাংসাদি ভোজন ও মংস্য মাংস যে আহার না করে তাঙ্গার প্রতি পশু শব্দ প্রয়োগ ইহাও করিয়া থাকেন কি না । “কোল” অর্থ কুলাচারী বা বামাচারী। কুলাচারীকে বীর বলে। ষে কুলাচার অনুষ্ঠান করতঃ মংস্য, মাংস আহার না করে তাহাকে পশু বলে । তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরে রামমোহন রায় লিখিয়াছেন— কিন্তু ধৰ্ম্মসংস্থাপনাকাঙ্ক্ষী ( চারি প্রশ্নের কর্তৃt ) কিরূপে জানিয়াছেন যে আনিবেদিত ভোজন ও পরম হর্ধে ছেদন কেহ করিয়৷ থাকেন তাঙ্কার বিশেষ লিখেন নাই তিনি কি ছাগ হনন কালে বিদ্যমান থাকিয়৷ নৃত্য কিম্বা উৎসাহ করিতে দেখিয়াছেন কি ভোজন দৃষ্টি করিয়াছেন । দোষোল্লেখ করিবার জন্য ধৰ্ম্ম সংস্থাপনাকাঙ্ক্ষী সত্যকে একেকালেষ্ট জলাঞ্জলি দিয়াছেন ইহাতে আশ্চর্ষ্য কি যাঙ্গার পরমেশ্বরের জন্ম মরণ চৌর্য পরদারাভিমর্ষণ ইত্যাদি দোষকে যথার্থ জানিয়া অপবাদ দিতে পারেন র্তাহার যে কেবল অনিবেদিত ভোজনের পলাল মল্লষকে দিয়া ক্ষাস্ত থাকেন ইহাও আমোদের বিষয় । চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরে স্বরাপানের সমর্থনে কুলার্ণব ও মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র হইতে এই বচন উদ্ধৃত হইয়াছে— কলেী যুগে মঙ্গেশানি ব্রাহ্মণাণাং বিশেষত: | পশুন হ্যাৎ পশুন স্তাং পশুন হ্যাং মমাজ্ঞয়া । অতএব দ্বিজাতীনাং মদ্যপানং বিধীয়তে । কলিকালে ব্রাহ্মণগণ পশু হুইবে না অর্থাং মদ-মাংস বজ্জন করিয়া পশুভাবে সাধন করিবে না । দ্বিজাতির পক্ষে ( সাধনের সময় ) মদ্যপান বিঠি গু হুইয়াছে । তারপর কুলার্ণব ও মহানিৰ্ব্বাণ তন্ত্র হইতে এই কয়টি শ্লোক উদ্ধত হইয়াছে— আলিপান কুলীণাং গন্ধস্বীকার লক্ষণং ॥ সাধুকানাং গৃহস্থানাং পঞ্চপাত্র প্রকীৰ্ত্তিতং ! পানপাত্ৰং প্রকুৰ্ব্বীত ন পঞ্চতোলকাধিতং । মন্ত্রার্থ শরণার্থায় ব্ৰহ্মজ্ঞান স্থিরায় চ। অলিপানং প্রকর্তব্যং লোলুপো নরকম্ব জেৎ ॥ পানে ভ্ৰাস্তির্ভবেৎ যন্ত সিদ্ধিস্তস্য ন জায়তে । কুলবধুর মদ্য পান করিবে না, মদের আভ্রাণ মাত্র লইবে । গৃহস্থ সাধকের পচি পাত্রের অধিক মদ্য পান করিবে না। এক এক পাত্রে পাচ তোলার বেশী মদ ধরিবে না । মন্ত্রার্থের স্ফক্টির জন্য এবং ব্ৰহ্মজ্ঞানের স্থিরতার জন্য মদ্য পান করা কর্তব্য । লোভের বশীভূত হইয়া মদ্য পাণ করিলে নরকে যাইতে হয় । মদ্য পান করিলে যtঙার নেশা হয় সে সিন্ধিলাভ করিতে পারে না । চারি প্রশ্নের উত্তরে রামমোহন রায় যে ভাবে বামাচারের সমর্থন করিয়াছেন তাহাতে অনুমান হয় তিনি নিজে বামাচারী ছিলেন । এই উত্তরের উত্তরে ১২২৯ সনের ২৭শে মাঘ ( ১৮২৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী ) “পাষণ্ড পীড়ন” প্রকাশিত এবং বৈশাখ মাসে বিতরিত হইয়াছিল। “পাষণ্ড পীড়নে”র উত্তরে রামমোহন রায় ১২৩০ সনের ১৫ই পৌষ “পথ্য প্রদান” প্রকাশ করিয়াছিলেন। এই দুই খানি পুস্তকেই গ্রন্থকার নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন— সমামুষ্ঠানাক্ষমতজ্জন্তমনস্তাপবিশিষ্টকর্তৃক । By one who laments his inability to perform all কালে ৰসিয়া স্ব স্ব উপাসনার অনুসারে অনিবেদিত ভোজন করিতে righteousness.