পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or :ان س o - ১ । গুটি গুইতে সবে প্রজাপতি বাহির হইয়াছে ২ । পরিতক্তি গুটির থালসের উপর প্রজাপতিটি বসিয়া আছে, ডালা বস্তু হইয়াছে শুয়াপোকাটার মাথার দিকে পিঠের উপর খানিকটা স্থান হঠাৎ একটু স্ফীত হইয়া উঠিল এবং সঙ্গে সঙ্গেই চামড়টি ফাটিয়া গেল, এবং ভিতর হইতে উপরের দিক সরু ও নীচের দিক মোটা এক অপূৰ্ব্ব সবুজাভ পিণ্ডাকার পদাৰ্থ বাহির হইতে লাগিল। তখনও শরীরের কাকুনি পূৰ্ব্বমতই চলিতেছে । প্রায় দশ-পনর সেকেণ্ডেশ্ন মধ্যেই দেখিতে দেখিতে উপরের চামড়াটা সম্পূর্ণরূপে গুটাইয়া গিয়া একটু কাল ঝলের মত ৰাষ্টার কাছে আটকাইয়া রহিল। সবুজ পিণ্ডাকার পদার্থ টা সেই ৰোটায় ঝুলিয়াই শষ্ট্ৰীয় একবার প্রসারিত এবং একৰাৰ সঙ্কুচিত করিয়৷ নানাভাবে মাচড় খাইতে লাগিল । পরিবৰ্ত্তিত হষ্টয়া উপরের দিক মোট ও নীচের দিক সরু হইয়৷ গেল। উপরের দিকে পাশাপাশি ভাবে একটু স্ফীত স্থানের উপর উজ্জ্বল সোনালী য়ঙেয় ফেঁটী সারি সারি ফুটিয়া উঠিল। শরীরের নিম্নভাগেও ঐরূপ কয়েকটি সোনালী রঙের ফোট৷ আত্মপ্রকাশ করে । পাঁচ-সাত মিনিটের ভিতরক্ট এমন একটা অদ্ভুত রূপান্তর ঘটিয় ষায় ষে দেখিয় বিস্ময়ে অবাক হইয়া থাকিতে হয় । তার পর সষ্ট অবস্থায় সবুজ রঙের ঠিক ছোট একটি আওর ফলের মত লতার গায়ে ঝুলিতে থাকে। রং প্রথমে হাস্কা সবুজ, পরে গাঢ় সবুজ হইয়া যায় । সোনালী ফেঁটাগুলিতে আলো প্রতিফলিত হইয়। জ্বল হুল করিতে থাকে। কিন্তু পাতার সবুজ রঙের সঙ্গিত ইহাদের গায়ের রঙের এমন অপূৰ্ব্ব সাদৃশ্য যে অনেক ক্ষণ স্থিরদৃষ্টিতে অথেষণ না করিলে সহসা কোন মতেই নজরে পড়ে না । পলর হইতে বিশ দিন পর্য্যস্ত নিশ্চেষ্ট ভাবে ঠিক কানের দুলের মত বলিয়া থাকে। ইহাই প্রজাপতির গুটি বা পিউপ অবস্থ। । বিভিন্ন প্রজাপতির গুটি বিভিন্ন আকারের ও বিভিন্ন রঙের হইয়৷ থাকে কত না তাহদের রঙের বাহার, কত না তাহাদের কাঞ্চকার্য ! বর্ণের ঔজ্জ্বল্যে ও গঠন-পারিপাট্যে মুগ্ধ হইয়া যাইতে হয় । কবির ভাষায় ইহাদিগকে সত্যিকার ‘পরীর কানের স্থল’ বলিতেই ইচ্ছা হয় । দুধ-লতা প্রজাপতির গুটি বা পিউপায় রং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাঢ় সবুজ ; কিও মাঝে মাঝে কতকগুলির রং একেবারে সাদা হইয়। থাকে। সোনালী ফোঁটাগুলি কিন্তু উভয়েরই একই রকমের । পনল্প-বিশ দিন পরে গুটির রং ক্রমশ পরিবৰ্ত্তিত হইতে থাকে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফিকে হইয়া যায়। তখন উপরের আবরণট: অনেক স্বচ্ছ হইয় পড়ে। তখন তাহার মধ্য দিয়৷ ভিতরের প্রজাপতিটিকে আছা ভাবে দেখিতে পাওয়া যায়—যেন ডান মুড়িয়া রহিয়াছে । দেখিতে দেখিতে গুটির মধ্যস্থল হইতে নীচের দিকে একাংশ ফাটিয়া যায় এবং তাছার ভিতর দিয়া প্রজাপতি আস্তে আস্তে মুখ বাহির করিতে থাকে। দু-এক মিনিটের মধ্যেই ডান বাঙ্গিরে আসে তার পর একবারে প্রজাপতির সমস্ত শরীর বহির্গত হয় । খোলস ত্যাগ করিয়া বাহিরে আসিবার সময় তাঙ্গর ডান অতি ক্ষুদ্র অবস্থায় থাকে। লেজের দিকও সেইরূপ অস্বাভাবিক ক্ষুদ্র কিন্তু মোট । বাহিরে আসিয়াই ক্ষুদ্রকায় প্রজাপতিটি তাহার পরিত্যক্ত খোলস অ্যাকড়াইয়া বসিয়া থাকে। সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের পশ্চাদ্ভাগ ও ডানাগুলি তর তর করিয়া বাড়িতে থাকে। প্রায় চার-পাচ মিনিটের মধ্যেই স্বাভাবিক প্রজাপতির অবস্থায় পরিণত হয় । এই সময়ে ডানাগুলি কোমল ও তকতকে থাকে। বেকায়দায় পড়িয়া ডানাগুলি একটু এদিক-ওদিক ৰাকিয় গেলে আর সাঙ্গ হইবায় উপায় থাকে না। স্বাভাবিক অবস্থা প্রাপ্ত হওয়ার পরও প্রায় ঘণ্টাখানেকের উপর প্রেজাপতিটি ডান মুড়িয়া সষ্ট পণ্ডিত্যক্ত থালসের উপরই বসিয়া থাকে। তার পর ডান একবার প্রসারিত কৰিয়। আবার গুটাইয়া পরখ করিয়া দখে ঠিক উড়েবার উপযুক্ত হইয়াছে কিনা । তাহার কিছুক্ষণ পরেই উড়িয়া গিয়া ফুলের মধু আহরণে প্রবৃত্ত হয়। ঐগোপালচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য